1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মিয়ানমারকেই তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে হবে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ অক্টোবর ২০১২

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে আবারো জাতিগত দাঙ্গার কারণে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে৷ কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা বাংলাদেশের নেই৷

SITTWE, MYANMAR - OCTOBER 28: Khin Khin Thant, 23yrs old mother of four children, displaced by the recent violence between Buddhist Rakhine and Muslim Rohingya in Kyukphyu township, sits with people after arriving to Thae chaung refugee campOctober 28, 2012 in Sittwe, Myanmar. Over twenty thousand people have been left displaced following violent clashes which has so far claimed a reported 80 lives. Clashes between Rakhine people, who make up the majority of the state's population, and Muslims from the state of Rohingya began in June. (Photo by Kaung Htet/Getty Images)
ছবি: Getty Images

জাতিসংঘের হিসাবে মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গায় এখন গৃহহীনের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার৷ এছাড়া নিহত হয়েছেন অন্তত ৮২ জন, যাঁদের প্রায় সবই রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমান৷ সেখানে এখন দ্বিতীয় দফা জাতিগত দঙ্গায় নতুন করে উদ্বাস্তু হচ্ছেন রোহিঙ্গারা৷ কিন্তু তাঁরা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজার ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন৷

গত কয়েকদিনে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ৪০টি ট্রলারে করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু নৌ-বাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের ঢুকতে দেয়নি৷ এছাড়া ৬০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ ঢাকার বাইরে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে বলেছেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা বাংলাদেশের নেই৷ মিয়ানমারকেই তাঁদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির দিকে বাংলাদেশ নজর রাখছে৷

এখন দ্বিতীয় দফা জাতিগত দঙ্গায় নতুন করে উদ্বাস্তু হচ্ছেন রোহিঙ্গারাছবি: Reuters

এদিকে, সাবেক কূটনীতিক ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যোগী হতে হবে৷ নয়তো শেষ পর্যন্ত এই চাপ বাংলাদেশের ওপরই পড়বে৷ তিনি প্রয়োজনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানান৷

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা৷

বাংলাদেশের টেকনাফ এবং উখিয়ায় ২টি ক্যাম্পে ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থি আছেন৷ আর বাইরে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে দু'লাখেরও বেশি৷ দ্বিতীয় দফায় দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর টেকনাফ এবং কক্সবাজার সীমান্ত সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ