1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারকে চাপে ফেলতে চায় বাংলাদেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৪ নভেম্বর ২০১৬

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ৷ এ নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কুটনীকিদের ব্রিফ করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী৷

Indonesien Rohingya Flüchtlinge
ছবি: Reuters/Beawiharta

বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রনালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এরইমধ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি৷ বুধবার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছে৷ এখন বিদেশি কুটনীতিকদের অবহিত করবো৷ তাঁদের আমরা আমাদের অবস্থান জানাবো৷ তাঁরা যাতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারকে শক্ত চাপ দেয় সেই আহ্বান জানাবো৷''  তবে এ বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি৷

বাংলাদেশে অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিবন্ধন দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাঁদের আপাতত উদ্বাস্তু হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না৷ তবে মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিকদের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়েছে এবং সেই জরিপের তথ্য আমাদের কাছে আছে৷''

সুলতানা কামাল

This browser does not support the audio element.

এখন মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেনা জানিয়ে পররাষ্ট্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকানো এত সহজ নয়৷ আর কিছু ক্ষেত্রে একান্ত মানবিক কারণে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে৷''

এর আগে বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিও মিন্ট থানকে তলব করে ‘চরম উদ্বেগের' কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের হাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক পত্র তুলে দেয়া হয়৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সচিব কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা আমাদের চরম উদ্বেগের কথা জানিয়ে  মিয়ানমারের লোকজন যাতে ফেরত যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি৷ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করছে বাংলাদেশ৷''

একইদিন আরেকটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হক বলেছেন, ‘‘একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে যতটুকু করা দরকার, বাংলাদেশ ততটুকুই করছে৷ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য সমস্যার উৎস জানতে হবে৷ এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে৷''

ইউএনএইচসিআর-এর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে কক্সবাজার অঞ্চলের তিনটি ক্যাম্পে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছেন৷ তবে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর সংখ্যা ওই এলকায় সাড়ে তিন লাখ বলে ধারণা করা হয়৷

অক্টোবর মাস থেকে নতুন করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত ৮৬ জন নিহত হয়েছে বলে জাসিংঘ জানিয়েছে৷

এদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে চাওয়া আরো ১৭৭ জন রোহিঙ্গাকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি৷ এ পর্যন্ত  কয়েক দফায় ৭ শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ তবে নানাভাবে দেড় হাজারের মতো রোহিঙ্গা টেকনাফ এলাকায় ডুকে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে৷ আর নৌকায় আসা আরো অনেক রোহিঙ্গা নাফ নদীতে ভাসছে বলে জানাগেছে৷

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, কারণ আমাদের প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার এবং সেখানে রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হচ্ছে৷ এই চাপ যেন বড় ধরণের চাপ হয়৷ বাংলাদেশের একার পক্ষে এই নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সবকিছু করা সম্ভব নয়৷ তবে আমরা মুখ ফিরিয়েও থাকতে পারিনা৷ আমাদেরও মানবিক বিষয় দেখতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ