গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে মিয়ানমার৷ ১৩৮ দেশের তালিকায় ৩৫ নাম্বারে মিয়ানমার, আর বাংলাদেশ রয়েছে ৪৬ নাম্বারে৷ এই তালিকায় প্রথম পাঁচটি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপান৷

মিয়ানমারের চেয়ে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন গুণ হলেও সেনাসদস্যের সংখ্যায় মিয়ানমার অনেক এগিয়ে৷ মিয়ানমারের সক্রিয় সেনাসদস্যের সংখ্যা মোট চার লাখ ছয় হাজার, বাংলাদেশের রয়েছে মোট এক লাখ ৬০ হাজার সক্রিয় সেনাসদস্য৷ দুই দেশের কোনোটিরই রিজার্ভ সেনাসদস্য নেই৷

প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে অবশ্য মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ মিয়ানমারের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ৩৮০ কোটি ডলারের৷

এখানেও এগিয়ে মিয়ানমার৷ বাংলাদেশের ১৭৭টির বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ২৭৬টি এয়ারক্রাফট৷

নৌশক্তিতেও মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷ মিয়ানমারের রয়েছে ১৮৭টি জাহাজ, বাংলাদেশের রয়েছে ১১২টি৷

বাংলাদেশের কমব্যাট এয়ারক্রাফট বা যুদ্ধবিমান রয়েছে ৪৪টি, মিয়ানমারের রয়েছে ৫৯টি৷

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৭টি হেলিকপ্টারের বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ৮৬টি হেলিকপ্টার৷

বাংলাদেশের কমব্যাট ট্যাঙ্ক রয়েছে ২৭৬টি, মিয়ানমারের রয়েছে ৪৩৪টি৷

বাংলাদেশের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ১২৩০টি, মিয়ানমারের ১৩০০টি৷

স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারিতে অনেক এগিয়ে মিয়ানমার৷ দেশটির স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারির সংখ্যা ১০৮টি, বাংলাদেশের মাত্র ১৮টি৷

ফিল্ড আর্টিলারিতেও মিয়ানমার কয়েকগুণ এগিয়ে আছে৷ মিয়ানমারের ১৬১২টি ফিল্ড আর্টিলারির বিপরীতে বাংলাদেশের রয়েছে কেবল ৪১৯টি ফিল্ড আর্টিলারি৷

বাংলাদেশের ৭২টি রকেট প্রজেক্টরের বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ৮৪টি রকেট প্রজেক্টর৷

সাবমেরিনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ৷ মিয়ানমারের একটি সাবমেরিনের বদলে বাংলাদেশের রয়েছে দুটি৷

বাংলাদেশ বা মিয়ানমার কোনো দেশেরই বিমানবাহী জাহাজ নেই৷

দেশদুটির কোনোটিরই ডেস্ট্রয়ার নেই৷

এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ৷ দেশটির রয়েছে আটটি ফ্রিগেট, অন্যদিকে মিয়ানমারের রয়েছে পাঁচটি৷

বাংলাদেশের করভেটের সংখ্যা মিয়ানমারের দ্বিগুণ৷ মিয়ানমারের তিনটির বদলে বাংলাদেশের আছে ছয়টি৷

উপকূলে টহল দেয়ার জন্য মিয়ানমারের রয়েছে ১১৭টি নৌযান৷ বাংলাদেশের রয়েছে ৩০টি৷

মিয়ানমারে ৬৪টি বিমানবন্দর রয়েছে৷ বাংলাদেশে রয়েছে ১৮টি৷

এক্ষেত্রে দুদেশ সমানে সমান৷ দুই দেশেরই তিনটি নৌবন্দর ও টার্মিনাল রয়েছে৷

৮৩ দেশের সাড়ে আট কোটির বেশি মানুষকে খাবার ও সহায়তা দেয়৷

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক শিশুর জন্য টিকা সরবরাহ করে৷ এর ফলে বছরে প্রায় ৩০ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা পায়৷

যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে পালানো আট কোটির বেশি মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে জাতিসংঘ৷ তাদের বিভিন্ন সহায়তাও দিয়ে থাকে৷

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখতে ১৯৬টি দেশের সঙ্গে কাজ করছে জাতিসংঘ৷

সারা বিশ্বে পরিচালিত ১৩টি শান্তিরক্ষা মিশনে ৯৫ হাজার নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত আছেন৷ এর মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ছয় হাজার ৭৩১ জন, যা সবচেয়ে বেশি৷

বিশ্বের প্রায় ২২০ কোটি মানুষ পানি সমস্যায় রয়েছে৷ এই সমস্যা লাঘবে কাজ করছে জাতিসংঘ৷

৮০টি চুক্তি/ডিক্লারেশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে জাতিসংঘ৷

প্রায় ১১ কোটি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিতে ২৮.৮ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ৷ এই অর্থ পেতে কাজ করছে সংস্থাটি৷

প্রতিবছর প্রায় ৫০টি দেশে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করে জাতিসংঘ৷ এই সময় সংঘাত এড়াতে কূটনীতিও কাজে লাগায় সংস্থাটি৷

মাসে প্রায় ২০ লাখ নারীকে গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার সময় সহায়তা প্রদান করে৷

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গত ৭৫ বছরে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর শক্তিগুলোর মধ্যে সামরিক সংঘাত এড়াতে সক্ষম হওয়া৷