1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা কি হবে?

৯ মে ২০১৮

গত এপ্রিলে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-র আছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন এক কৌঁসুলি৷ এবার সে বিষয়ে বাংলাদেশের মতামত জানতে চেয়েছে হেগভিত্তিক সংস্থাটি৷

UN-Delegation besucht Rohingya-Flüchtlingscamp in Bangladesch
ছবি: Reuters/M. Nichols

গত এপ্রিলে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধআদালত (আইসিসি)-র আছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন এক কৌঁসুলি৷ এবার সে বিষয়ে বাংলাদেশের মতামত জানতে চেয়েছে হেগভিত্তিক সংস্থাটি৷

গত ৯ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার আইসিসির আছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন ঐ আদালতেরই কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা৷ বিষয়টি নিয়ে একটি শুনানি আয়োজনের অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি৷ আইসিসির রায় বেনসুদার পক্ষে গেলে তিনি রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়ে তদন্ত করার সুযোগ পাবেন৷

বেনসুদার তদন্ত করার পরিকল্পনা স্বাভাবিক কারণেই মিয়ানমারকে অস্বস্তিতে ফেলে৷ তবে তদন্ত করার এখতিয়ার আদৌ আছে কিনা সেই বিষয়ে আইসিসির শুনানি এখনো হয়নি৷এ বিষয়েই বাংলাদেশের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আইসিসি৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ শামসুল হক আইসিসির চিঠি প্রাপ্তির খবর নিশ্চিত করেছেন৷

চিঠিতে তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশের মতামত জানতে চেয়েছে আইসিসি৷ এর মধ্যে প্রধান দু'টি বিষয় হলো – এক, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পারিপার্শিক অবস্থা এবং দুই, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সম্ভাব্য তদন্তের এখতিয়ার আইসিসির আছে কিনা৷

এখতিয়ারের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য হলেও মিয়ানমার নয়৷ তবে গত এপ্রিলে বিষয়টি উত্থাপনের সময়ই আইসিসির কৌসুলি বেনসুদা জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করেন, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হলেও তদন্ত করা যেতে পারে৷ তাঁর যুক্তি, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের সঙ্গে যেহেতু সীমান্ত পারাপারের সম্পর্ক আছে, তাই আইসিসি তদন্ত করার পক্ষে রায় দিলে তা বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতেই পরিচালনা করা সম্ভব৷ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টমিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরুর পর রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে৷ এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ আশ্রিত রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে৷ সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে ঘরবাড়ি পোড়ানোর অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা৷ তবে মিয়ানমার সরকার বলে আসছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিরা অন্তত দু'ডজন পুলিশ ক্যাম্প এবং একটি সেনা ছাউনিতে হামলা চালালে বাধ্য হয়েই জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়৷

এসিবি/ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ