মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরব বান কি মুন
১৬ অক্টোবর ২০১০মুনের নতুন আহ্বানের প্রেক্ষাপট
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন৷ এর আগে দেশটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে৷ সেখানে বিজয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সুকি৷ কিন্তু তখন সামরিক সরকার তাকে ক্ষমতা নিতে দেয়নি৷ বরং গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই নেত্রী কাটিয়েছেন কারাগারে৷ গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বিরল সফরে যান মিয়ানমারে৷ সেই সময় মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাঁকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটিতে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে৷ তো সেই পরিবেশ কতটুকু তৈরি হয়েছে তা নিয়েই জাতিসংঘ মহাসচিব সরব হয়েছেন৷
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ
শুক্রবার বান কি মুন যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে যে মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি এখনও সন্তুষ্ট নন৷ অন্যদিকে তাঁর সফরের পর মিয়ানমার সরকার যে কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোকেও সমর্থন করেছেন তিনি৷ যেমন, গত সেপ্টেম্বর মাসে জান্তা সরকার ১৩০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে৷ তবে বান কি মুন অভিযোগ করে বলেছেন যে মিয়ানমার প্রশাসন তাঁকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে ধীরগতি অবলম্বন করছেন৷ বিশেষ করে অং সান সুকি সহ যেসব রাজনৈতিক বন্দী এখনও কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের নির্বাচনের আগেই মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত ৪২টি দল নাম লিখিয়েছে৷ কিন্তু অং সান সুকির দল এনএলডি সহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না৷
আলোচনার চাপ
এটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক চালাচালি অব্যাহত রয়েছে৷ আলোচনার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর বিশেষ দূত ভিজয় নামবিয়ারকে মিয়ানমারে পাঠাতে চাচ্ছেন৷ কিন্তু মিয়ানমার প্রশাসন এই মুহুর্তে তাঁকে সফরের অনুমতি দিতে চাচ্ছে না৷ তারা জানিয়েছে, জাতিসংঘের দূতকে নির্বাচনের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে৷ এটা নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷ তিনি এজন্য মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার