1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে সু চি’র প্রথম ভাষণ

২৫ জুলাই ২০১২

মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি বুধবার সেদেশের সংসদে প্রথম ভাষণ প্রদান করেছেন৷ সু চি মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নে সংসদের প্রতি আহ্বান জানান৷

ছবি: dapd

গত এপ্রিলে মিয়ানমারের উপ-নির্বাচনে একটি আসনে জয়লাভ করেন অং সান সু চি৷ এই জয়ের মাধ্যমে সু চি'র জীবনে এক বড় পরিবর্তন আসে৷ দীর্ঘদিন ধরে রাজবন্দি থাকা সু চি সেদেশের সংস্কারে বড় ভূমিকা পালনের সুযোগ পান৷ সংসদে বুধবার প্রথম ভাষণে সু চি সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের দিকে জোর দেন৷ এজন্য তিনি অন্যান্য সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সমর্থনও আশা করেন৷

মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা সু চি সংসদে বলেন, ‘‘ঐক্য, সম-অধিকার এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি সংসদের সকল সদস্যের প্রতি সংখ্যালঘুদের সম-অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছি৷''

বলাবাহুল্য, মিয়ানমারের উত্তরের কাচিন রাজ্যে এখনো সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে৷ ফলে সেই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে৷ এই অবস্থার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকার সেদেশের বিভিন্ন সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা করছে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷

সংসদে সু চিছবি: dapd

এদিকে, রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলমান রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রতিক দাঙায় কয়েক ডজন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে বিদেশি মনে করে৷ সেদেশের অনেক নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে এবং তাদেরকে শত্রু মনে করে৷ সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় মিয়ানমারের আট লাখ রোহিঙ্গার প্রতি সাহসী সমর্থন প্রকাশ করেননি সু চি যা অনেক মানবাধিকার কর্মীকে হতাশ করেছে৷ সংসদে বুধবারের ভাষণেও রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করেননি সু চি৷

বিশ্লেষকরা মনে করেন মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের সমর্থন ধরে রাখতে রাজনৈতিক কারণেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যত নিরব থাকছেন সু চি৷ তবে মিয়ানমারের মূলধারার রাজনীতিতে ৬৭ বছর বয়সি সু চি'র প্রবেশ সেদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির এক বিরাট উদাহরণ৷ গত বছরের মার্চ মাসে সেদেশের সামরিক জান্তা সরকার দৃশ্যত বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়৷ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন সাবেক সামরিক জেনারেল হলেও সেদেশে বেশ কিছু নাটকীয় সংস্কার সাধন করেছেন৷ এসবের মধ্যে রয়েছে কয়েকশত রাজবন্দিকে মুক্তি প্রদান, মুদ্রা বাজার সংস্কার এবং বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি৷

এআই / জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ