1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার-ভারত

২৮ মে ২০১২

একের পর এক সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ, আর তারই ধারাবাহিকতায় অং সান সু চি’র উপনির্বাচনে জয়লাভ - এসব কারণে মিয়ানমারের প্রতি বাকি বিশ্বের দৃষ্টি এখন সুপ্রসন্ন৷ ভারতও এবার এই দলে যোগ দিল৷

ছবি: dapd

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং সোমবার মিয়ানমারের সঙ্গে ১২টি চুক্তি সই করেছেন৷

চুক্তির বিষয়

নিরাপত্তা, সীমান্ত এলাকা ও দুদেশের মধ্যে পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে চুক্তি হয়েছে৷ সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মনমোহন সিং আজ সোমবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তেইন সেইন'এর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেসময় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়৷ জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে একটি বন্দর নির্মাণে মিয়ানমারকে সহায়তা করবে ভারত৷

কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই সফর

সাবেক শাসক জেনারেল থান শো'য়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন মনমোহন সিংছবি: AP

অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ৷ কেননা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইছে অনেকেই৷ মিয়ানমারের রয়েছে তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুত৷ তাই দেশটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে সেটা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর জন্য ভালো হবে৷ এছাড়া কৌশলগত কারণেও ভারতের মিয়ানমারকে প্রয়োজন৷ কেননা ইতিমধ্যে মিয়ানমারের উপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে চীন৷ ভারত চাইছে তাতে কিছুটা ভাগ বসাতে৷ এছাড়া আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতেও মিয়ানমারকে প্রয়োজন হবে ভারতের৷

কেমন ছিল সম্পর্ক?

দু'দেশের সম্পর্কটা আসলে একেক সময় একেক রকম ছিল৷ যেমন, শুরুর দিকে অং সান সু-চি'র প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখালেও নব্বইয়ের মাঝামাঝি জুনতা শাসকের দিকে কিছুটা হেলে পড়েছিল ভারত৷ সেজন্য পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনাও শুনতে হয়েছে৷ আর ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, চীনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে ভারত৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ডলার৷ চীনের ক্ষেত্রে যেটা ছিল প্রায় চারগুণ বেশি৷ আরেক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চীন মিয়ানমারে গত বছর ৮৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করলেও ভারত করেছে মাত্র ১৯ কোটি ডলার৷ তবে মনমোহনের এই সফরের মধ্য দিয়ে সব দিক দিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভারত৷ এজন্য প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজে নন, সঙ্গে নিয়ে গেছেন উচ্চ পর্যায়ের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (এএফপি)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ