1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে আবারও উত্তেজনা

৫ আগস্ট ২০১৭

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যালঘু একটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তত ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী৷ এছাড়া মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তারা৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan

শনিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রাখাইন রাজ্যের রাথেডাউং শহরে প্রায় ৬০০ গ্রামবাসীকে ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী৷ তবে তাঁরা বলছেন, সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে এমন ছ'জন সন্ত্রাসীকে খুঁজছেন তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তা জ উইং অং সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ‘সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাতে গেলে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করে গ্রামবাসী৷ তাই তাদের সতর্ক করতে পুলিশ ৪০ থেকে ৫০টি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে তারা৷'

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর৷ বৃহস্পতিবার রাখাইন রাজ্যের মোংদাও শহরের কাইগি এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী তিন পুরুষ ও তিনজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এখনও নিখোঁজ সেখানকার দুই অধিবাসী৷ নিহতরা ম্রো সম্প্রদায়ের বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কর্তৃপক্ষ বলছেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও তারা নিশ্চিত নন৷



গত ন'মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকার কর্মী এবং ত্রাণ কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে পারছে না৷ মাঝে শুধুমাত্র দু-একবার নির্দিষ্ট কয়েকজনকে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছিল৷



গত বছরের অক্টোবরে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলায় ন'জন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷ অভিযোগ রয়েছে, এরপর সেনাবাহিনী যে অভিযান শুরু করে তাতে নির্বিচারে গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানো হয়, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হয় এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়৷ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওই অভিযানের ফলে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যান৷ রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখের বেশি মুসলিমের বাস৷ তবে মিয়ানমারের সরকার তাঁদের বাংলাদেশি শরণার্থী বলে মনে করেন৷



এদিকে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশন ওআইসি-র মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমদ আল-ওসাইমিন৷ তিনি বলেছেন, এই সংকট সমাধানে ওআইসি এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একজোটে কাজ করবে৷

শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷ এ সময় তিনি শরণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তাঁরা যাতে বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়৷ চারদিনের বাংলাদেশ সফরে আল-ওসাইমিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ