1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে আবারো নতুন করে ঝড় হওয়ায় দুর্দশা বাড়ছে

দেবারতি গুহ১৬ মে ২০০৮

এ দুর্দশায় ও ঘূর্ণিঝড় নার্গিসে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ লক্ষ মানুষ অনাহারের শিকার হতে পারে বলে পশ্চিমাবিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, জান্তা সরকার দাবি করেছে যে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তত্‌পরতা দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবেই চলছে৷

খাদ্যের অভাব ও কলেরা দেখা দিয়েছে মিয়ানমারেছবি: AP

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থান শো বলেন, যে প্রথম ধাপে ত্রাণ বিতরণ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং এখন তারা দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে৷ শোনা যাচ্ছে যে এই পর্যায়ে পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়া হবে৷ তবে প্রধানমন্ত্রী থান শো এ-কথা বললেও, মিয়ানমারে অবস্থিত জাতিসংঘের তথ্যকেন্দ্রের মুখপাত্র আই ভিন কিন্তু অন্যরকমই এক ইঙ্গিত দিলেন৷ তিনি বলেন, যে মিয়ানমারে সাহায্য আসতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া জাতিসংঘের কাছে মস্ত এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ রাজধানীতে কোন ত্রাণবাহী বিমান এসে পৌঁছোলে, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছোতেই লেগে যাচ্ছে প্রায় দু-দিন৷ আর কয়েকটি জায়গায় তো যাওয়াই যাচ্ছে না৷


তাই, ঘূর্ণিঝড়ের পর রোগ ও অনাহারে আরও প্রাণহানী রোধ করতে মিয়ানমারে আরো বিদেশি সাহয্যকর্মীদের ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিতরণ করতে দেওয়ার জন্য দেশটির সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জনিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জন হোমস৷ তবে জান্তা সরকার সে আহ্বানে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি বলেই প্রকাশ৷ হোমস অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অবস্থা সত্যিই দূর্ভাগ্যজনক৷ কারণ, বৈদেশিক সাহায্য বহনকারী যে বা যারা মিয়ানমারে অবশেষে পৌঁছোতে পেরেছে, তাদের শুধুমাত্র ইয়েঙ্গুনেই থাকতে হচ্ছে৷ দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ার তাদের কোন অধিকারই দেওয়া হচ্ছে না৷ তাই, সাহায্যই ঠিক মতো পৌঁছোচ্ছে না সেখানে৷

সুতরাং, ত্রাণ সরবরাহে সামরিক জান্তার এই কড়াকড়ির কারণে, মিয়ানমারে স্বাভাবিকভাবেই অনাহার ও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে৷ ইরাবতী ব-দ্বীপ অঞ্চলে ইতিমধ্যেই কলেরা দেখা দিয়েছে৷ থাই প্রধানমন্ত্রী সামাক সুন্তরাভেই, মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থিয়েন সিয়েনের সঙ্গে ইয়াঙ্গুনে দেখা করে তাকে ত্রাণকর্মীদের ভিসা শিথিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ অথচ থিয়েন তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে মিয়ানমার নিজেই সঙ্কট সামাল দিতে সক্ষম৷ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ইরাবতী ব-দ্বীপ অঞ্চলে কার্যরত World Vision-এর শীর্ষ কর্মকর্তা টিম কস্টেলো জানান, এখানকার অবস্থা আগের মতোই খারাপ৷ পরিবহন ব্যবস্থা এক্কেবারে অচল হয়ে পড়েছে৷ রাস্তা-ঘাট নেই৷ পুলগুলিও ভেঙে পড়েছে৷ ৫ থেকে ৬ টনের বেশি ভারী কোন সামগ্রিই সেখানে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না৷ তাই, সাহায্য-প্রক্রিয়া চলছে খুব ধীর গতিতে৷ সেখানে আরো হেলিকপ্টার দরকার৷ দরকার আরো মানুষ৷

এদিকে, মিয়ানমারের ত্রাণ সংকট নিয়ে জরুরী বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন৷ তিনি বলেছেন, যে মানবিক প্রতিক্রিয়া বাড়াতে একটি কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্যে তিনি কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানাবেন৷ এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এবং মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বান কি মুন সাংবাদিকদের এ-কথা বলেন৷ এছাড়াও, দাতা সম্মেলন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোট, আসিয়ানের যৌথ ত্রাণ সমন্বয়ক নিয়োগেরও আহ্বান জানান বান কি মুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ