হেট স্পিচ মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে যায়৷ মানুষে মানুষে বাড়ায় বিভেদ, বাড়ায় সহিংসতা৷ মিয়ানমারের ধর্ম মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নির্দেশ দিলেন, দেশে যেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আর ইসলামবিরোধী ‘ঘৃণা বক্তব্য' না দেয়৷
বিজ্ঞাপন
বৌদ্ধভিক্ষুদের একটি দল ‘মা বা থা' ইসলামবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে৷ বুধবার তারা তাদের বক্তব্যে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ‘স্বৈরশাসক' হিসেবে উল্লেখ করে৷ তাদের মতে, সুচি এবং তার দল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে নিচু করে দেখে৷ ‘মা বা থা'-র বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিভিন্ন সভায় মুসলিমবিরোধী দীর্ঘ বক্তব্য রাখে৷ তাদের এই বক্তব্যের কারণেই মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ঘৃণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷
সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এমন বেশ কয়েকটি দল গড়ে ওঠে, যারা মুসলিমবিরোধী৷ দলগুলো বড় বড় জনসভার আয়োজন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিমদের কঠোর সমালোচনা করে৷
মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
মিয়ানমারে গত এক সপ্তাহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে৷
ছবি: Getty Images
সোনার দোকান থেকে শুরু
মার্চের ২০ তারিখে রাজধানী নেপিদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের শহরে মেইকটিলার একটি সোনার দোকানে তর্কাতর্কি থেকে দাঙ্গার শুরু৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, দোকানের মালিক ছিলেন মুসলমান আর ক্রেতা এক বৌদ্ধ দম্পতি৷
ছবি: Reuters
পুড়ছে মসজিদ
সশস্ত্র দাঙ্গাকারীরা একাধিক মসজিদ ও বাড়িঘর পুড়িয়েছে৷ রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷ এছাড়া তারা পথে সাংবাদিকদের ভয়ও দেখিয়েছে৷ দাঙ্গাকারীদের মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও ছিল বলে প্রকাশ৷
ছবি: Reuters
সব শেষ!
ছবিতে এক ব্যক্তিকে দাঙ্গায় পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
সরকারের উদ্যোগ
সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করে৷ এছাড়া নিয়োগ করে দাঙ্গা পুলিশ৷
ছবি: AFP/Getty Images
পাহারায় পুলিশ
অস্ত্র হাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষীদের মেইকটিলা শহর পাহারা দিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
মুসলিম নেতাদের দাবি
মিয়ানমারের মুসলিম নেতারা বলছেন, দাঙ্গা পুলিশের সামনেই সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে৷ তাই পরিস্থিতি শান্ত করতে তারা প্রেসিডেন্ট তেইন সেইনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
শরণার্থী শিবির
দাঙ্গা শুরুর পর মুসলিম শরণার্থীরা এই শিবিরে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
গত বছরের দাঙ্গা
এটি গত বছরের দাঙ্গার ছবি৷ সেসময় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গা মুসলমানরা৷ এতে অনেকের প্রাণও গেছে৷
ছবি: Reuters
শঙ্কায় রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ!
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে খাবার-ওষুধপত্র নিয়ে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷
ছবি: Getty Images
9 ছবি1 | 9
তবে সম্প্রতি ওই দলগুলোর সেই আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়েছে৷ মিয়ানমারের বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো এই দলগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে৷ ক্ষমতাসীন দল এনএলডি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷ এমনকি তাদের নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ করার কথাও ভাবছে সরকার৷ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নতুন ধর্ম মন্ত্রীর পদক্ষেপ তারই ইঙ্গিত বহন করে৷
যেসব ব্যক্তি ঘৃণা বক্তব্য ছড়ায় তাদের হুশিয়ার করে মন্ত্রী অং কো বলেছেন, ‘মা বা থা' যেভাবে ঘৃণা বক্তব্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাতে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত৷ সরকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রবেশের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ অনেক বাংলাদেশিও আছেন তাঁদের মাঝে৷ থাইল্যান্ডে গিয়ে কবরেও ঠাঁই হয়েছে অনেকের! আজকের ছবিঘরটি তাঁদের নিয়েই৷
ছবি: Reuters/R: Bintang
আটকে পড়া
গত ১০ মে চারটি নৌযানে করে ইন্দোনেশিয়ার আচে প্রদেশে প্রবেশ করে ৬০০ রোহিঙ্গা৷ একই সময়ে লাংকাওইতে প্রবেশ করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা৷ সমুদ্র থেকে স্থলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাঁদের ঘিরে ফেলে৷ ভাগ্যান্বেষণে দেশ ছাড়া মানুষগুলো এখনো মুক্ত নয়৷
ছবি: Reuters/R. Bintang
ক্লান্ত
মানবপাচারকারীরা তাঁদের ছেড়ে যাওয়াতে সমুদ্রবক্ষে বিপদেই পড়েছিলেন রোহিঙ্গারা৷ আনুমানিক সপ্তাহ খানেক সমুদ্রপথে ঘুরে অবশেষে ভীষণ ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত অবস্থায় তাঁরা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান৷ দীর্ঘ অর্ধাহার, অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷
ছবি: Reuters/R: Bintang
ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা
প্রতিবছর এভাবেই মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে শত শত রোহিঙ্গা৷ মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কিছু বাংলাদেশিও থাকেন সব সময়৷ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী তোলায় অনেক নৌযান ডুবে যায় সাগরে, সলিলসমাধি হয় অনেকের৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছেন অন্তত ২৫ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি৷
ছবি: Asiapics
ওদের কোনো দেশ নেই!
বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে ৮ লক্ষের মতো রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস৷ তবে সংখ্যাটা দ্রুতই কমছে৷ বৌদ্ধদের সঙ্গে দাঙ্গার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই৷ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকারই করে না৷ তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘বাংলাদেশি অভিবাসী’৷ আবার বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে ঐতিহাসিক কারণেই তাঁদের মিয়ানমার থেকে আগত বহিরাগতের মর্যাদা দেয় বাংলাদেশ৷
ছবি: Reuters/R: Bintang
আধুনিক দাস-বাণিজ্য
মানবপাচারকারীদের কাছে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ছাড়া রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা যেন ক্রীতদাস৷ মাত্র ২০০ ডলারের বিনিময়ে নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নৌযানে তুললেও যাত্রীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়৷ খেতে না দেয়া, ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য করা, শারীরিক নির্যাতন – বলতে গেলে সব ধরণের অত্যাচারই চলে তাঁদের ওপর৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Yulinnas
থাইল্যান্ড নিয়ে আতঙ্ক
রোহিঙ্গারা থাইল্যান্ডেও যান৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ২০১২ সালে আড়াই লাখ মানুষ অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন৷ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য থাইল্যান্ড অবশ্য একেবারেই নিরাপদ ঠিকানা নয়৷ মানবপাচারকারীরা সে দেশে নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে৷ মুক্তিপণ না দিলে মেরেও ফেলা হয়৷ সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে বেশ কিছু গণকবরের সন্ধান পেয়েছে থাই সরকার৷
ছবি: Reuters/D. Sagolj
পরিত্যক্ত
থাইল্যান্ড সরকারের অভিযান শুরুর পর অনেক রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিকে গভীর জঙ্গলে ফেলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়৷ মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে এ পর্যন্ত অন্তত শ’ খানেক অভিবাসন প্রত্যাশীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে থাই কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: AFP/Getty Images/Str
7 ছবি1 | 7
এই প্রথমবারের মতো সুচি সরকারের কোনো শীর্ষ মন্ত্রী ‘মা বা থা' দলের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে এমন মন্তব্য করলেন৷ ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক মাসে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী সুচি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েন৷ সহিংসতা দমন করতে না পারাকে তার দলের বড় ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করে তারা৷ সম্প্রতি বৌদ্ধরা দুটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়ায় এই সমালোচনা আরো বেড়ে যায়৷ এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো মানবিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেও সমালোচনা হয় সুচি'র৷
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘মা বা থা গ্রুপ' রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে৷ রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে রোষের মুখে পড়ছে৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ‘মা বা থা' বলছে বাঙালি বিরোধী আন্দোলন৷
গত মাসে ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান সুচি৷ বরং রাখাইন রাজ্যের মুসলিম গোষ্ঠী হিসেবে তাদের অভিহিত করার আহ্বান জানান৷ বৌদ্ধভিক্ষুর দলটি এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এবং রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি' হিসেবে চিহ্নিত করে শুরু করে ঘৃণামূলক প্রচারণা৷
মিয়ানমারের যে স্কুলে সব ধর্মের সমান সুযোগ
মিয়ানমারে এমন এক স্কুল আছে যেখানে শিশুদের শেখানো হয় ধর্মে, বর্ণে যে যা-ই হোক না কেন, পৃথিবী সুন্দর হয় মিলেমিশে থাকলে৷ শেখানো হয়, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে, কারণ, খেলাধুলা সবাইকে এক হয়ে চলতে শেখায়!
ছবি: DW/S. Hofmann
শিশুদের আনন্দনিবাস
মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের ফাউং ডাও উ স্কুল৷ সেখানে গেলেই দেখবেন, শিশুরা লেখাপড়ার ফাঁকে চুটিয়ে আনন্দ করছে, ফুটবল খেলছে৷ আসল বল না থাকলে, চটের ব্যাগ বা কাপড় গোল করে বেঁধে তা নিয়েই তারা নেমে পড়ে মাঠে৷ ফাউং ডাও উ স্কুল বাচ্চাদের শুধু লেখাপড়াই শেখায়না, শরীর সুস্থ আর মনটাকে আনন্দে রাখতেও শেখায়৷
ছবি: DW/S. Hofmann
খেলো নয়তো দেখো
স্কুলে বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের সামনে দুটো পথ খোলা থাকে, ১. খেলা ২. খেলা দেখা৷ এর বাইরে অন্য কিছু করার কোনো উপায় নেই৷ তাই খেলোয়াড় বা দর্শকের অভাব হয়না ফাউং ডাও উ স্কুলে৷
ছবি: DW/S. Hofmann
পুরো স্কুলই যেন খেলা দেখার গ্যালারি
স্কুলের মূল ভবন দুটি৷ একটিতে শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের বিশ্রামাগার, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় এবং প্রশাসনিক কার্যালয়, অন্যটি শিক্ষার্থীদের আবাস৷ যে কোনো ভবনের ব্যালকনিতে বসে বা দাঁড়িয়ে দিব্যি স্কুল চত্বরের খেলা দেখা যায়৷
ছবি: DW/S. Hofmann
খেলার আনন্দ
ফাউং ডাও উ কনভেন্ট স্কুল থেকে চেঁচামেচির শব্দ ভেসে এলেও একটু দূরে থাকা স্থানীয়দের বুঝতে অসুবিধা হয়না যে, বাচ্চারা খেলছে৷ যেখানেই একটু ফাঁকা জায়গা, শিক্ষার্থীরা সেখানেই আসল বা কাপড়ের তৈরি নকল বল নিয়ে খেলা শুরু করতে একটুও দেরি করেনা৷
ছবি: DW/S. Hofmann
সাইকেল চালিয়ে স্কুলে
ফাউং ডাও উ স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজারের মতো৷ কিন্ডারগার্টেন থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত থাকায় সব ক্লাসের ছেলে-মেয়েরাই পড়ে এখানে৷ মাত্র সাড়ে চারশ শিক্ষার্থীর জন্য স্কুলে থাকার ব্যবস্থা আছে৷ বাকিরা বাড়ি থেকে হেঁটে বা সাইকেল এসে ক্লাস করে৷ ছবির এই ছোট শিশুটির মতো অনেক ছোট ছোট ছেলে-মেয়েও সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায়৷
ছবি: DW/S. Hofmann
জার্মানির অবদান
মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল আছে ফাউং ডাও স্কুলে৷ হোস্টেলটি তৈরি হয়েছে জার্মান অনুদানে৷ মূলত বিদেশি অনুদানেই গড়ে তোলা হয়েছে ফাউং ডাও স্কুল৷ মিয়ানমারের আলোচিত এই স্কুল নির্মাণে জাপান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে৷
ছবি: DW/S. Hofmann
শিক্ষার অধিকার সবার
দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা একসময় লেখাপড়ার সুযোগই পেতো না৷ ফাউং ডাও উ স্কুল প্রতিষ্ঠার পর মান্দালয়-এ সে অবস্থায় পরিবর্তন এসেছে৷ এই স্কুলে মূলত দরিদ্র পরিবারের সন্তানদেরই সুযোগ দেয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Hofmann
বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান পাশাপাশি
মিয়ানমারে বৌদ্ধ-মুসলিম দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খবর প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে আসে৷ দাঙ্গার কারণে প্রচুর মুসলমান দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন৷ তবে মান্দালয়-এর এই স্কুলে ধর্মীয় বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই৷ বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান ধর্মের শিশুরা শান্তিতে মিলেমিশে লেখাপড়া, খেলাধুলা করে সেখানে৷ তাই দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে মান্দালয়ে চলে আসেন শুধু এই স্কুলটি দেখতে৷
ছবি: DW/S. Hofmann
8 ছবি1 | 8
অস্ট্রিয়ার ‘ঘৃণা বক্তা'র কারাদণ্ড:
এবু তেজমা, যিনি তার ‘হেট স্পিচ' বা ঘৃণা বক্তব্যের মাধ্যমে ১৫০ জন ইউরোপীয় নাগরিককে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, অস্ট্রিয়ার আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ বুধবার তাকে এই সাজা দেন গ্রাৎস-এর অপরাধ আদালত৷ দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে, প্রথমটি হলো, তিনি একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আর অন্যটি জঙ্গি তৎপরতায় তরুণদের উৎসাহিত করা৷ সার্বিয়ার এই নাগরিকের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে অস্ট্রিয়ার দুই কিশোরীকে সিরিয়ায় গিয়ে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠায় প্রথম পরিচিতি পান৷ দুই কিশোরির মধ্যে একজন সেখান থেকে পালিয়ে আসার সময় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৩৫ বছর বয়সি তেজমাকে আটক করা হয়৷