1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামবিরোধী বক্তব্য বন্ধের নির্দেশ

১৫ জুলাই ২০১৬

হেট স্পিচ মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে যায়৷ মানুষে মানুষে বাড়ায় বিভেদ, বাড়ায় সহিংসতা৷ মিয়ানমারের ধর্ম মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নির্দেশ দিলেন, দেশে যেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আর ইসলামবিরোধী ‘ঘৃণা বক্তব্য' না দেয়৷

Protest gegen die Einführung des Wahlrechts für White Card-Inhaber in Myanmar
ছবি: Soe Than Win/AFP/Getty Images

বৌদ্ধভিক্ষুদের একটি দল ‘মা বা থা' ইসলামবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে৷ বুধবার তারা তাদের বক্তব্যে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ‘স্বৈরশাসক' হিসেবে উল্লেখ করে৷ তাদের মতে, সুচি এবং তার দল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে নিচু করে দেখে৷ ‘মা বা থা'-র বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিভিন্ন সভায় মুসলিমবিরোধী দীর্ঘ বক্তব্য রাখে৷ তাদের এই বক্তব্যের কারণেই মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ঘৃণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এমন বেশ কয়েকটি দল গড়ে ওঠে, যারা মুসলিমবিরোধী৷ দলগুলো বড় বড় জনসভার আয়োজন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিমদের কঠোর সমালোচনা করে৷

তবে সম্প্রতি ওই দলগুলোর সেই আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়েছে৷ মিয়ানমারের বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো এই দলগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে৷ ক্ষমতাসীন দল এনএলডি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷ এমনকি তাদের নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ করার কথাও ভাবছে সরকার৷ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নতুন ধর্ম মন্ত্রীর পদক্ষেপ তারই ইঙ্গিত বহন করে৷

যেসব ব্যক্তি ঘৃণা বক্তব্য ছড়ায় তাদের হুশিয়ার করে মন্ত্রী অং কো বলেছেন, ‘মা বা থা' যেভাবে ঘৃণা বক্তব্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাতে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত৷ সরকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

এই প্রথমবারের মতো সুচি সরকারের কোনো শীর্ষ মন্ত্রী ‘মা বা থা' দলের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে এমন মন্তব্য করলেন৷ ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক মাসে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী সুচি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েন৷ সহিংসতা দমন করতে না পারাকে তার দলের বড় ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করে তারা৷ সম্প্রতি বৌদ্ধরা দুটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়ায় এই সমালোচনা আরো বেড়ে যায়৷ এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো মানবিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেও সমালোচনা হয় সুচি'র৷

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘মা বা থা গ্রুপ' রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে৷ রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে রোষের মুখে পড়ছে৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ‘মা বা থা' বলছে বাঙালি বিরোধী আন্দোলন৷

গত মাসে ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান সুচি৷ বরং রাখাইন রাজ্যের মুসলিম গোষ্ঠী হিসেবে তাদের অভিহিত করার আহ্বান জানান৷ বৌদ্ধভিক্ষুর দলটি এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এবং রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি' হিসেবে চিহ্নিত করে শুরু করে ঘৃণামূলক প্রচারণা৷

অস্ট্রিয়ার ‘ঘৃণা বক্তা'র কারাদণ্ড:

এবু তেজমা, যিনি তার ‘হেট স্পিচ' বা ঘৃণা বক্তব্যের মাধ্যমে ১৫০ জন ইউরোপীয় নাগরিককে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, অস্ট্রিয়ার আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ বুধবার তাকে এই সাজা দেন গ্রাৎস-এর অপরাধ আদালত৷ দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে, প্রথমটি হলো, তিনি একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আর অন্যটি জঙ্গি তৎপরতায় তরুণদের উৎসাহিত করা৷ সার্বিয়ার এই নাগরিকের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে অস্ট্রিয়ার দুই কিশোরীকে সিরিয়ায় গিয়ে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠায় প্রথম পরিচিতি পান৷ দুই কিশোরির মধ্যে একজন সেখান থেকে পালিয়ে আসার সময় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৩৫ বছর বয়সি তেজমাকে আটক করা হয়৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ