মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এক রোহিঙ্গা নেতা৷ অং সান সু চি-কে বন্দি করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানান তিনি৷
বিজ্ঞাপন
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেন, "আমরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার এই জঘন্য চেষ্টার নিন্দা জানাই৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই, আপনারা এগিয়ে আসুন, যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন৷”
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ও অং সান সু চি সহ বেসামরিক নেতাদের আটকের খবরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
ছবি: AFP via Getty Images
বাংলাদেশ
‘‘মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছি৷ এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও ধারাবাহিক প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে,’’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷ ‘‘আমরা আশা করি, এই প্রক্রিয়াগুলো সঠিক ও আন্তরিকভাবে চলতে থাকবে,’’ বলেও বিবৃতিতে আশা করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Pacific Press Agency/B. H. Rana
চীন
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমারের সব পক্ষ সাংবিধানিক ও আইন মেনে তাদের মধ্যকার মতপার্থক্যের একটি সমাধান খুঁজবে বলে মিয়ানমারের বন্ধু প্রতিবেশী দেশ চীন আশা করছে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/L. Zheng
ভারত
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমরা মিয়ানমারের খবর দেখেছি৷ মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভারত সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Nv
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের প্রতি বার্মার জনগণের প্রত্যাশার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আছে৷ সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত পালটাতে হবে৷’’
ছবি: Carlos Barria/REUTERS
হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি জানানো হয়েছে৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পালটে দেয়া বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র৷’’ মিয়ানমারে নতুন করে সিদ্ধান্ত না বদলালে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি৷
ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance
জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারে যা ঘটেছে তা ‘গণতান্ত্রিক সংস্কারের উপর মারাত্মক বাধা’৷ তিনি সব নেতৃবৃন্দকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার ও মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন৷
ছবি: Michael Sohn/AP Photo/picture alliance
জার্মানি
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল ও সেইসঙ্গে আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি৷ সামরিক বাহিনীর এই কার্যক্রম মিয়ানমারে এতদিন যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উন্নতি এসেছে তা ঝুঁকিতে ফেলবে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/T.A. Clary
ব্রিটেন
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি মিয়ানমারে অভ্যুত্থান ও অং সান সু চিসহ অন্যদের বেআইনিভাবে আটকের নিন্দা করছি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘জনগণের দেয়া ভোটকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং বেসামরিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে৷’’
ছবি: Paul Grover/AFP/Getty Images
ইউরোপীয় কাউন্সিল
কাউন্সিলের প্রধান চার্ল মিশেল টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷’’
ছবি: Aris Oikonomou/dpa/picture-alliance
9 ছবি1 | 9
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর সোমবার ভোরে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷ এতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়লো এবং অনিশ্চয়তা বাড়লো বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভাগ্যেও৷
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের' হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান৷ যার ফলে গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়৷ তাদের কথায় উঠে আসে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলেছে জাতিসংঘ৷
২০১৮ সালে জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহারে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি নির্মূল করাই ছিল ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য৷ ওই অভিযানে অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয় বলে তদন্তকারীদের ধারণা৷
ভাসানচরে স্থানান্তর: কী বলছেন রোহিঙ্গারা
শুক্রবার রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচ ভাসানচরে পৌঁছেছে৷ তাদের অনেকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধা দেখে ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন৷ তবে জোর বা নির্যাতন করে রোহিঙ্গাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও আছে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
ভাসানচর প্রকল্প
প্রায় তিন হাজার একশ কোটি টাকা খরচ করে ভাসানচরে আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, ভাসানচরে যাওয়া প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবার আলাদা ঘর পাচ্ছে, আছে রান্নার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পানি আর পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা৷ সেই সঙ্গে আছে খেলার মাঠ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ৷
ছবি: DW/A. Islam
প্রথম ব্যাচ পৌঁছেছে
বাসে ও জাহাজে করে প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছেছেন৷ পরে তাদের অনেককে মোবাইল ফোনে কক্সবাজারে থাকা সঙ্গীদের ভাসানচরের খবর দিতে দেখা গেছে৷ কেউ কেউ ভিডিও কলও করেছেন৷
ছবি: bdnews24.com
বাবা-মাকে আনতে চান হোসেন
কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্প থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাসনচরে গেছেন মোহাম্মদ হোসেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে অনেক ভালো লাগছে৷ আমি এখানে ঘুরেফিরে আবার কক্সবাজার যাবো৷ ওখানে গিয়ে তাদের (বাবা-মা ও ভাইয়ের পরিবার) নিয়ে আসবো৷ তারা যদি না আসে, তাহলে আমি আবার এখানে ফিরে আসবো৷’’
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
‘আল্লাহ মিলায়ে দিছে’
কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে গেছেন মোহাম্মদ জোবায়ের৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘এত ভালো পরিবেশের কথা আমরা ভাবতেই পারছি না৷ জীবনে আমরা এত ভালো বাসায় থাকতে পারিনি, থাকতে পারব এটাও আশা করিনি৷ আল্লাহ আমাদের মিলায়ে দিছে৷’’
ছবি: bdnews24.com
নিরাপত্তাবোধ
বালুখালীর ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাওয়া আবদুর রহমান এখন নিজেকে কিছুটা নিরাপদ ভাবছেন৷ ‘‘ওখানে (বালুখালী ক্যাম্পে) ঘরের বেড়া কেটে চুরি করে নিয়ে যেতো৷ ঘুমিয়ে থাকলে ছুরিও মারতো৷ এখানে তা পারবে না৷ যে ঘরটা পেলাম, সেটা খুবই নিরাপদ৷ কেউ চাইলেই চুরি করতে বা ঘরে ঢুকতে পারবে না৷’’
ছবি: DW/A. Islam
‘লেখাপড়ার জন্য স্কুল, মাদ্রাসা আছে’
বালুখালীর ক্যাম্প থেকে স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে ভাসানচরে যাওয়া আব্দুস সামাদ বলেন, ‘‘এখানে এসে খুব ভালো লাগছে৷ ঘরবাড়ি অনেক৷ অনেক বড় বড় রুম৷ এখানে লেখাপড়ার জন্য স্কুল, মাদ্রাসা আছে৷ বড় খেলার মাঠ আছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে জায়গা কম৷ মানুষ অনেক৷ একজন বের হলে আরেকজন বের হওয়ার জায়গা থাকে না৷’’
ছবি: DW/N. Conrad
পার্থক্য
ভাসানচর আর কক্সবাজারের পরিবেশের পার্থক্য সম্পর্কে জমিনা আক্তার বলেন, ‘‘এখানে বেশি ভালো লাগছে৷ ভালো ঘর, থাকার জায়গা ভালো৷’’
ছবি: bdnews24.com
নির্যাতনের অভিযোগ
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছিল৷ সেখানে উপস্থিত ৬০ বছর বয়সি শরণার্থী সুফিয়া খাতুন এএফপিকে জানান, ‘‘আমার ছেলে যেন ঐ দ্বীপে যেতে রাজি হয় সেজন্য তারা আমার ছেলেকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে, তার দাঁত ভেঙে ফেলেছে৷ আমি এখানে তাকে ও তার পরিবারকে হয়ত শেষবারের মতো দেখতে এসেছি৷’’
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
‘নিজের ইচ্ছায় যাচ্ছে না’
ট্রানজিট ক্যাম্পে উপস্থিত আরেক শরণার্থী হাফেজ আহমেদ এএফপিকে বলেন, ‘‘গত দুইদিন ধরে আমার ভাই নিখোঁজ ছিল৷ আমরা জানতে পেরেছি, সে এখানে আছে৷ এখান থেকে তাকে দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সে সেখানে নিজের ইচ্ছায় যাচ্ছে না৷’’
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
জাতিসংঘের আশঙ্কা, অভিযোগ
জাতিসংঘের আশঙ্কা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ভাসানচরে পানি উঠে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবন বিপদাপন্ন হয়ে উঠতে পারে৷ এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে যুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের৷ ভাসানচরে স্থানান্তর প্রসঙ্গে রোহিঙ্গারা যেন ‘স্বাধীন ও তথ্যসমৃদ্ধ’ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
ছবি: DW/A. Islam
‘ভুল ব্যাখ্যা’ না দেয়ার অনুরোধ
রোহিঙ্গারা ‘স্বেচ্ছায়’ ভাসানচরে গেছে জানিয়ে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ বলেছে, ‘‘জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একমাত্র বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হওয়া উচিত প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে ও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হওয়া, সেটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান৷ একইসঙ্গে বাংলাদেশের আন্তরিক চেষ্টাকে খাটো করা ও ভুল ব্যাখ্যা না করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে সবার প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি৷’’
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
বিএনপির বক্তব্য
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ায় তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছে বিএনপি৷ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে উপেক্ষা করে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে ‘আত্মহনন’ বলেও আখ্যায়িত করেছে দলটি৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
12 ছবি1 | 12
আর অং সান সু চির বেসামরিক সরকার ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারকে উসকে' দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ‘আলামত ধ্বংস' করেছে এবং সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে ‘ব্যর্থ হয়েছে'৷
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷ রোহিঙ্গারা তাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ কিন্তু সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন নিয়ে তার দীর্ঘ নীরবতায় বিশ্বের সেই আস্থা টলে যায়৷ এক পর্যায়ে সু চি তার অবস্থান স্পষ্ট করতে শুরু করলে তখন তা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেই চলে যায়৷
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দ্য হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে বক্তব্য দিতে তিনি ওই অভিযোগকে ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর'হিসেবে বর্ণনা করেন, যা নিপীড়িত ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে হতাশার জন্ম দেয়৷