1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবর্তনের হাওয়া

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২

নতুন সরকারের উদ্যোগে মিয়ানমারে পরিবর্তনের হাওয়া কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ কিন্তু প্রবাসীরা দলে দলে আবার দেশে ফিরতে শুরু করেছেন, তা আশাবাদের এক সূচক৷ নতুন করে দেশ গড়ার কাজে তাদের দক্ষতা কাজে লাগবে৷

Supporters hold signboards to welcome Myanmar's pro-democracy leader Aung San Suu Kyi at Warthinkha village in Kawhmu township, the constituency she will contest in the April by-elections, February 11, 2012. Tens of thousands of cheering, flag-waving supporters lined the streets to give a rapturous welcome on Saturday to Suu Kyi throughout her seven-hour crawl to the rustic constituency. The signboard reads "Warm welcome to the National League for Democracy Party". REUTERS/ Soe Zeya Tun (MYANMAR - Tags: POLITICS ELECTIONS)
মিয়ানমারে পরিবর্তনের হাওয়াছবি: REUTERS

স্বাধীন মিয়ানমারের ইতিহাসের প্রায় সবটা জুড়েই রয়েছে সামরিক শাসনের কালো ছায়া৷ এই অবস্থায় দেশের সেরা শিক্ষক, প্রকৌশলি, বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বিদেশে নির্বাসনের জীবন বেছে নিয়েছিলেন৷ যে কোনো দেশ বা সমাজের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি মোটেই মঙ্গলজনক হতে পারে না৷ কিন্তু মিয়ানমারের নতুন সরকারের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ এবং সেই উদ্যোগের প্রতি বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি'র সমর্থন ও সক্রিয় সহযোগিতা বিদেশে বসবাসরত বর্মীদের মনেও সাড়া তুলেছে৷ সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের অনেকেই দেশে ফিরতে শুরু করেছেন৷ নতুন করে দেশ গড়ার কাজে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

অং নাইং ও'র কথাই ধরা যাক৷ প্রায় ২৫ বছর পর তিনি দেশে ফিরেছেন৷ ১৯৮৮ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে তিনি আজ সফল এক শিক্ষাবিদ৷ মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্সে সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে বলেছেন, এমন দৃষ্টান্তের খবর পেয়ে বাকিরাও দেশে ফিরতে উৎসাহ পাচ্ছেন৷ তাঁর মতে, এই প্রবণতা মিয়ানমারের ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত জরুরি৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিটি ধাপে পরিকল্পনা রূপায়নের জন্য দক্ষ ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন৷ তাদের অভাব দেখা দিলে সংস্কারও বেশিদূর এগোতে পারবে না৷ গোটা বিশ্ব মিয়ানমারের সংস্কার প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে৷ তারা নিষেধাজ্ঞাগুলিও একে একে তুলে নেবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল – আইএমএফ মিয়ানমারের অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে মনে করে৷ তবে দুর্বল অবকাঠামো সহ অনেক অর্থনৈতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান করাই সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷

ফাইল ছবিছবি: REUTERS

গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা ছিল করুণ৷ সামরিক শাসকরা ছাত্র রাজনীতির ভয়ে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে নি৷ দুর্নীতি, স্বজনপোষনের মতো সমস্যার কারণেও সেদেশে উপযুক্ত শ্রমিক বা কর্মীদের সংখ্যা কম৷ তার উপর ছিল নিপীড়ন ও পেশাগত সুযোগের অভাব৷ ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে দলে দলে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে৷ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও পশ্চিমা দেশগুলিতে ছড়িয়ে আছে তারা৷ এদের একটা বড় অংশকে দেশে টানতে সরকার একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ এর মধ্যে আছে আয়করের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড়, আইনি পথে দেশে অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা ইত্যাদি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ