মিয়ানমারে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভে নিরপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সেনাঅভ্যুত্থানের পর এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো৷
শনিবার দেশটির সশস্ত্রবাহিনী দিবসে রাজধানী নেপিডো, বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাসিওসহ আরো কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীরা সামরিক শাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে৷ বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে৷
নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সি এক শিশু এবং স্থানীয় একটি অনুর্ধ্ব ২১ ফুটবল ক্লাবের সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে৷
নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ দেশটিতে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় বলেন ‘‘নিরস্ত্র মানুষ ও শিশু হত্যার এ বিষয়টি কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷'' মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে এমন অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও৷
উল্লেখ্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন৷ তবে শনিবারই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটলো৷
আরআর/এডিকে (এপি)
মিয়ানমার: সেনাশাসন, বন্দুকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও গুলতির প্রতিরোধ
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনাশাসনে৷ সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভের ওপর চলছে গুলি৷ গুলির জবাব দেয়া হচ্ছে গুলতিতে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: REUTERS
প্রতিদিন রাজপথে রক্ত
১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি-কে আটক করে সেনাবাহিনী৷ এভাবে সেনাশাসন শুরুর পর সু চি-র মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামে জনতা৷বিক্ষোভ মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলা চলতে থাকে নিয়মিত৷ হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৮০ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন৷ ছবিতে গুলিতে আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যা্চ্ছেন বিক্ষোভকারীরা৷
ছবি: REUTERS
শেষ শ্রদ্ধা
সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ১৯ বছর বয়সি তরুণ খান্ত নিয়ার-হাইন৷ অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময় তাকে তিন আঙুলে স্যালুট জানাচ্ছেন স্থানীয়রা৷
ছবি: REUTERS
গুলতিই তার হাতিয়ার
সেনাশাসনের দ্রুত অবসান চায় বিক্ষোভকারীরা৷ দাবি আদায়ে মরিয়া তারা৷ প্রতিরোধে তারা মরিয়া৷ তাই এক তরুণ সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়ছে গুলতি হাতে৷
ছবি: REUTERS
আহতদের প্রতি সেনাবাহিনীর আচরণ
বিক্ষোভ, আন্দোলনের শুরুর দিকে কিছুটা সহনশীলতা দেখালেও এক সময় আগ্রাসী হয়ে ওঠে সেনাবাহিনী৷ গুলিতে আহতদের এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া এখন প্রায় নিয়মিত দৃশ্য৷
ছবি: via REUTERS
আরেক আহত
গুলিতে আহত আরেকজনকে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাসপাতালের দিকে ছুটে যাওয়ার মুহূর্ত৷
ছবি: REUTERS
গুলতিযোদ্ধা
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলতি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কয়েকজন তরুণ৷
গত ১৩ মার্চ রাতে সারা দেশে মশাল মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা৷ ওপরের ছবিটি সাগাইং অঞ্চলের খিন উ শহরের৷
ছবি: REUTERS
আহত ভিক্ষু
মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এবারও সেনাশাসনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়৷ ২০০৭ সালের মতো এবারও বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন দল বেঁধে৷ ছবিতে আহত এক ভিক্ষুকে হাসপাতালে নেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: REUTERS
স্বজনের কান্না
গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেয়া অং থান-কে শেষ বিদায় জানানোর সময় স্বজনদের কান্না৷
ছবি: REUTERS
মোমবাতি মিছিল
ইয়াঙ্গনের হ্লেডান জংশন এলাকায় সেনাশাসনের অবসান ও অং সান সু চি-র মুক্তি দাবিতে মোমবাতি মিছিল৷ ১৪ মার্চের ছবি৷