1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের এলাকায় রাখাইনদের ঘর

১৬ মার্চ ২০১৮

সেনা অভিযানের মুখে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের যে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে রাখাইনদের বসতি৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, মুসলিমমুক্ত এলাকা গড়তেই নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ৷

Myanmar Zerstörung von Dörfern der Rohingya
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/AP Photo/DigitalGlobe

কো তান কাউক গ্রামে ধীরে ধীরে বাড়ছে গরিব রাখাইনদের ভিড়৷ একদিকে বিশাল এলাকাজুড়ে বুলডোজারে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া রোহিঙ্গাদের পোড়া ঘর-বাড়ির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিহ্ন, অন্যদিকে গড়ে উঠছে ছোট ছোট সাজানো-গোছানো ঘর-বাড়ি৷ ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে সেনাবাহিনীর সহায়তা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে৷ প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে মাত্র সাড়ে চারশ' মার্কিন ডলার৷ বোঝাই যায়, ঘরগুলো তৈরি করা হচ্ছে দরিদ্রদের জন্য৷ ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ৬৪টি ঘর৷ ২৫০ জনের মতো দরিদ্র রাখাইন এসে ঠাঁই নিয়েছেন সেখানে৷

এতদিন কেন সেখানে আসেননি? এখন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে চিট সাইন ইয়েইন বললেন, ‘‘আমরা আসলে ওই কালাদের (রোহিঙ্গা) ভয় পেতাম৷ তাই এতদিন এখানে আসার কথা ভাবতেই পারিনি৷ কিন্তু এখন তো ওরা নেই, তাই আমাদের আত্মীয়দের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেলাম৷ ''

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সময়ের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত লোকালয়ে ‘মুসলিমমুক্ত এলাকা' গড়ে তোলার জন্যই এভাবে পরিকল্পনামাফিক রাখাইনদের জন্য আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে৷ এ আশঙ্কা যে ভুল নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেল উ হ্লা স-এর কথায়৷ রাখাইন রাজ্যের এই সাংসদ এএফপিকে জানালেন, ‘‘এই পুরো এলাকাটা মুসলিমদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল৷ সেনা অভিযানের পর তারা পালিয়ে গেছে৷ তাই এখন এখানে আমাদের রাখাইনদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে৷''

২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট ব্যাপক সেনা অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি৷ গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রথম ধাপে ৮০৩২ জনকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের বিস্তারিত তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছিল৷ কিন্তু মিয়ানমার জানিয়েছে, ৮০৩২ জনের মধ্যে মাত্র ৩৭৪ জনকে ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব৷ দেশটির দাবি, বাকিরা যে মিয়ানমারে ছিলেন তা প্রমাণের জন্য উপযুক্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ