1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গারা চরম সংকটে

২৭ মার্চ ২০১৩

প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হয়েছে বাড়ি-ঘর ছেড়ে৷ সেই থেকে আশ্রয় শরণার্থী শিবিরে৷ মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা সেখানেও পড়েছেন চরম সংকটে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে খাবার-ওষুধপত্র নিয়ে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার৷

In this photo taken Jan. 1, 2013, a boat carrying 73 Rohingya refugees is intercepted by Thai authorities off the sea in Phuket, southern Thailand. Officials said the refugees from Myanmar's Rohingya minority found adrift off a Thai resort island will be repatriated to their homeland. Phuket provincial Governor Maitri Inthusut said Wednesday they declared they were unable to continue their hoped-for journey to Malaysia due to exhaustion and fear of mishaps at sea. (Foto:AP/dapd)
ছবি: AP

মিয়ানমারে প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার বাস৷ কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে দেশের সরকার তাঁদের নাগরিক বলেই গণ্য করে না৷ সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকের স্বীকৃতি নেই, সরকারের কাছে রোহিঙ্গারা মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী৷ নিজের দেশেও পরবাসী এই রোহিঙ্গা মুসলমানরা গত বছর বৌদ্ধদের হামলায় বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়৷ দেশের ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সরকারি হিসেবেই এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার ঘরছাড়া৷ বাধ্য হয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে খাবার-ওষুধপত্র নিয়ে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকারছবি: AFP/Getty Images

সেখানে জীবন যাপনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার অনেক কিছুই পাচ্ছেননা৷ এ পরিস্থিতিতে অনেক মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে৷ কিন্তু বাধা আসছে মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকে৷ সাহায্য নিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না কাউকে৷ দীর্ঘ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফিল রবার্টসনের আশঙ্কা, বর্ষা শুরু হলে শরণার্থী শিবিরের আশ্রিতদের ওপর বড় রকমের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে৷

মিয়ানমারে থেকে থেকেই শুরু হয় বৌদ্ধ আর রোহিঙ্গা মুসলমানদের দাঙ্গা৷ গত বছর তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল৷ গত কয়েকদিনেও দাঙ্গায় মারা গেছে ৪০ জন৷ বৌদ্ধদের হামলায় নিহত হওয়ার পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরেও মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয় রোহিঙ্গাদের৷ আরাকান রাজ্যের অনেক শরণার্থী শিবির নিচু এলাকায়৷ অনেক ধান ক্ষেতও এখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল৷ এমনিতে মিয়ানমারে বর্ষা শুরু হয় মে মাসের দিকে৷ এবারও যদি তা হয় তাহলে অনেক শরণার্থী শিবিরই বণ্যায় প্লাবিত হতে পারে৷ এসব ভেবেই মিয়ানমার সরকারের প্রতি মানবিক আচরণের আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ সবার আগে দরকার রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক সাহায্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি৷ মিয়ানমার সরকার এ অনুমতি না দিলে অনাহারে-অর্ধাহারে, রোগ-শোকে অনেক রোহিঙ্গা মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা মানবাধিকার সংস্থাটির৷

এসিবি / জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ