1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন'

৭ মার্চ ২০১৮

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত মঙ্গলবার এ কথা বলেন৷ কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পর এমন মন্তব্য করেন অ্যান্ড্রু গিলমুর৷

Bangladesch Myanmar - Grenzgebiet Rohingya - Flüchtlinge
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mustafa

তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন এখনও চলছে৷ কক্সবাজারে আমি যা দেখেছি, শুনেছি, মনে হয় না এর বাইরে অন্য কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারি৷

‘‘নির্যাতনের প্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে৷ রক্তপাত আর গণধর্ষণ থেকে সরে এসে এখন রোহিঙ্গাদের ভয় দেখানো ও তাঁদের অনাহারে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ মিয়ানমারে এখনও থাকা রোহিঙ্গারা যেন পালিয়ে যায় সে লক্ষ্যে এমন করা হচ্ছে,'' এক বিবৃতিতে বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব গিলমুর৷

অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি ‘অচিন্ত্যনীয়' বলেও মনে করছেন তিনি৷  ‘‘মিয়ানমারের সরকার বিশ্বকে এটা বলতে ব্যস্তযে তারা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে৷ একই সময়ে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করছে৷'' বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাওয়া অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন গিলমুর৷

How Myanmar can guarantee Rohingya security

02:51

This browser does not support the video element.

উল্লেখ্য, সাংবাদিক, কূটনীতিক ও ত্রাণ সংস্থাদের উত্তর রাখাইনে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার৷ শুধু মাঝেমধ্যে সরকারের তত্ত্বাবধানে ট্যুরের ব্যবস্থা করা হয়৷

এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জেমস গোমেজ বলেন, জাতিসংঘের পাওয়া নতুন তথ্য ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের পাওয়া তথ্যের প্রতিধ্বনি'৷

হাতির হামলায় ১০ রোহিঙ্গার মৃত্যু

 কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরটি যেখানে অবস্থিত সেটি একসময় বুনো হাতির বিচরণ এলাকা ছিল৷ ঐ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের মধ্যে খাবারের সন্ধানে যাতায়াত করতো হাতি৷ কিন্তু এখন সেখানে রোহিঙ্গা শিবির থাকায় হাতিরা সমস্যায় পড়েছে৷ মাঝেমধ্যে তারা হাতিরা শিবিরের মধ্যে ঢুকে পড়ে৷ এমন কয়েকটি ঘটনায় ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এসব ঘটনায় অনেক রোহিঙ্গা আহতও হয়েছেন৷ শিবিরে থাকা তাদের জিনিসপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার' বা আইইউসিএন-এর সঙ্গে একটি প্রকল্প শুরু করেছে৷ এর আওতায় হাতি যেন শিবিরে ঢুকতে না পারে সেজন্য কী করতে হবে সে ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ