প্রশ্নটা নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে রীতিমতো বিতর্ক৷ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গ না তোলার প্রধান কারণ প্রধান চীনের বৃত্ত থেকে মিয়ানমারকে ভারতমুখী করা৷ যৌথ বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গ ধামাচাপা পড়ায় মনঃক্ষুণ্ণ বাংলাদেশ৷
বিজ্ঞাপন
কূটনৈতিক শিবির মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে চীনের আগ্রাসী ভূমিকায় ভারতের কপালে ভাঁজ৷ তার পালটা হিসেবে মিয়ানমারকে কাছে টানতে কৌশলগত অবস্থানে পরিবর্তন আনতে চাইছে মোদী সরকার৷ কারণ নতুন দিল্লির কাছে মিয়ানমারের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে৷ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক যোগসূত্র মিয়ানমার৷ ‘লুক ইস্ট' পলিসি কার্যকর করতে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করা দরকার, সম্ভবত এমনটাই মনে করছে মোদী সরকার৷ তাই চীনে ব্রিকস সম্মেলনশেষে ফেরার পথে ইয়াঙ্গুন সফরে অং সান সু চি ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী৷
কিন্তু শেষ র্যন্ত দেখা গেল ৬ই সেপ্টেম্বরের যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কোনো উল্লেখই নেই৷ কূটনৈতিক মহল এবং বাংলাদেশ আশা করেছিল যে, শরণার্থীদের ফেরত পাঠাবার একটা সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছাতে মিয়ানমার নেতৃত্বকে মোদী রাজি করাতে পারবেন৷কিন্তু যৌথ বিবৃতি যদি কোনো ইঙ্গিত হয়ে থাকে, তাহলে বলা বাহুল্য সে গুড়ে বালি৷ মোদীর এই নীরবতা নিয়ে স্বভাবতই মনঃক্ষুন্ন বাংলাদেশ৷ যদিও রাখাইন প্রদেশে হিংসা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কিন্তু একটি বারের জন্যও রোহিঙ্গা ইস্যু উচ্চারণ করেননি তিনি৷ উল্লেখ করা হয়েছে, রাখাইন প্রদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা৷ কূটনৈতিক সূত্রের একাংশের বক্তব্য, প্রকাশ্যে না বললেও অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত রোহিঙ্গা ইস্যু তুলেছিলেন মোদী৷ কিন্তু মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার বিষয়ে একেবারেই রাজি নয় বলেই হয়ত যৌথ বিবৃতিতে তার উল্লেখ নেই৷ শরণার্থীদের ফেরত না নেবার কারণ, রোহিঙ্গারা নাকি রাখাইন প্রদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত৷ তারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাচ্ছে– এমনটাই দাবি ইয়াঙ্গুনের৷
রোহিঙ্গা সংকট: কার কী অবস্থান?
হিংসালীলা ও বৈরি মনোভাবের মুখে মিয়ানমার থেকে দলে দলে পালাতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমাজে সহানুভূতি সত্ত্বেও মূলত কৌশলগত কারণে বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Armangue/AP
বাংলাদেশ
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশেই আশ্রয় নিচ্ছে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ এত সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেওয়া অবশ্যই বিশাল চ্যালেঞ্জ৷ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ চলছে৷ শরণার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ নিয়ে তথ্যভাণ্ডার গড়ার কথা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/AA/Z. H. Chowdhury
ভারত
দেশের উত্তর পূর্বে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে এবং চীনের প্রভাব সীমিত রাখতে ভারতের একের পর এক সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রথম মিয়ানমার সফরে গিয়ে সে দেশের সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যেও প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে ভারত৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
তুরস্ক
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে তুরস্ক৷ শুধু কথায় নয়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সাহায্য দিতেও তৎপর সে দেশ৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷ জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরতেও তৎপর হতে চায় তুরস্ক৷
ছবি: picture-alliance/abaca/K. Ozer
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয়ের আশ্বাস দিয়েছে৷ তবে অন্যান্য নথিপত্রহীন বহিরাগতদের মতো তাদেরও নির্দিষ্ট কেন্দ্রে আটক রাখা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি৷ তাই সেখানে শরণার্থীরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Reuters/Stringer
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-র প্রতি অগাধ আস্থা দেখিয়েছিলেন৷ বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়নি৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেও সরাসরি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক অবস্থান নেয় নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Watson
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সহযোগিতা দাবি করেছে৷ সেইসঙ্গে এই সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর উপর নিপীড়ন বন্ধ করার ডাক দিয়েছে ইইউ৷ শরণার্থীদের সহায়তা করতে বাংলাদেশে ত্রাণ সাহায্য পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে এই রাষ্ট্রজোট৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
চীন
মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে চীনের দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে৷ সে দেশে কৌশলগত স্বার্থের খাতিরেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সরকারের বিরোধিতা করছে না চীন৷ জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমারের সরকারের জন্য জরুরি৷
ছবি: Reuters/R. Dela Pena
রাশিয়া
চীনের মতো রাশিয়াও মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে৷ জাতিসংঘে সে দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে এই দুই ভেটো শক্তি৷ এদিকে রাশিয়ার মুসলিম-প্রধান চেচনিয়া অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z.Bairakov
জাতিসংঘ
জাতিসংধের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতির মোকাবিলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে হিংসালীলা বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন৷ প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নানের নেতৃত্বে এক কমিশন পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে৷ তবে নিরাপত্তা পরিষদ এখনো প্রকাশ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতেরও গলার কাঁটা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আর ভারতে ৪০ হাজার৷ এর একটা বিহিত করতে গত শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন নতুনদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী৷ হাইকমিশন সূত্রে বলা হয়, রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক সমাধানের জন্য ইয়াঙ্গুনের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে ঢাকা৷ সেজন্য দিল্লিকে পাশে পাওয়া দরকার৷ বৈঠকের পরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করে দিল্লির অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়৷ তাতে বলা হয়, রাখাইন প্রদেশের হিংসা এবং ঐ অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নজনিত পরিস্থিতিতে ভারত উদ্বিগ্ন৷ ঢাকা এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে৷ পাশাপাশি, গত সপ্তাহে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মত বিনিময় হয় পররাষ্ট্র সচিব জয়শংকর এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের মধ্যে৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে, তার প্রতি তিনিও দিল্লির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ নতুন দিল্লির পূর্বতন বাংলাদেশ হাইকমিশনার তারেক করিম মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটা মাপকাঠি৷ শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে প্রচণ্ড চাপের মুখে, সেটা দিল্লির অনুধাবন করা বাঞ্ছনীয়৷
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতবিরোধী জঙ্গি তত্পরতা দমনে ঢাকা যে সাফল্য দেখিয়েছে, সেটা ভারতের ভুলে যাওয়া অনুচিত৷ দিল্লির তরফে বলা হয়,ভারতের ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ১৪ হাজার রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে৷ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও এরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে৷ কোন রাজ্যে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা আছে, তা খতিয়ে দেখতে প্রতিটি রাজ্যকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে৷ দিল্লি এদের ফেরত পাঠাতে মরিয়া, কারণ ভবিষ্যতে এদের সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার বলেছেন, মিয়ানমার থেকে উত্খাত যেসব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু এই রাজ্যে রয়েছে, তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না৷ মানবিকতার খাতিরেই তাদের এই রাজ্যে থাকতে দেওয়া হবে৷
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশ যাত্রা
নিজের দেশে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা৷ তবে জাতিসংঘের অনুরোধ সত্ত্বেও সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত রেখেছ বাংলাদেশ৷ আজও রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী মনে করে মিয়ানমার৷
আশ্রয়ের সন্ধান
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের পরিকল্পিত হামলার জের ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর দমনপীড়ন শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী৷ ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে ছুটছেন রোহিঙ্গারা৷ সর্বশেষ অস্থিরতায় ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে একশ’র বেশি মানুষের৷
ব্যাপক উদ্বাসন
বাংলাদেশের সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার মাঝখান থেকে এক রোহিঙ্গা শিশুকে পার করছেন এক ব্যক্তি৷ মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা সাতটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, একটি চেকপোস্ট এবং এক শহরের দুই প্রান্তে হামলা করেছে৷
ছবি: Getty Images/R.Asad
বৌদ্ধ শরণার্থীরা ছুটছে দক্ষিণের দিকে
নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার বৌদ্ধরাও নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজছেন৷ রোহিঙ্গা মুসলমান এবং রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ২০১২ সালে সেখানে রক্তাক্ত দাঙ্গা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রবেশ নিষেধ
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা আশ্রয়প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ তবে এ সব বাধার মাঝেও তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন৷ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চারলাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
মানবিক সংকট
একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার কর্মী লিখেছেন: ‘‘অনেক রোহিঙ্গাকে আমরা অসুস্থ অবস্থায় পাচ্ছি৷ এর কারণ তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশের আগে দীর্ঘসময় সীমান্তে আটকে ছিলেন৷ অসুস্থদের মধ্যে নারী এবং শিশুদের সংখ্যা বেশি৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Alam
বাংলাদেশে স্বাগত নয়
কক্সবাজারের কুতুপালাং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া একদল রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের একটি দ্বীপে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে যেটি বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ সময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
নো ম্যান’স ল্যান্ডের আটকে থাকা
পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গা শিশুরা৷ এই মুহূর্তে ছ’হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
7 ছবি1 | 7
গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি ধীরাজ সেনগুপ্ত ডয়চে ভলেকে বলেন, ‘‘ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির উচিত রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক সমাধানে জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকার দাবি জানানো৷ ভারতেরও উচিত নয় শরণার্থী ইস্যু নিয়ে এতটা স্পর্শকাতর না হওয়া৷ ভারত অতীতে তিব্বতি, পাখতুন ও সিংহলি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে৷ তারা যদি জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপদ না হয়ে থাকে, তাহলে রোহিঙ্গারা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপদের কারণ হবে কেন ?''