রোহিঙ্গা শরণার্থী
১৬ জুন ২০১২![Rohingya refugees from Myanmar sit on a boat as they try to get into Bangladesh in Teknaf June 13, 2012. The UN Refugee Office (UNHCR) has called on Bangladesh to keep its borders open given the rapid escalation of violence in the northern Rakhine State of Myanmar, UN spokesman Martin Nesirky told reporters on Tuesday. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: SOCIETY IMMIGRATION CIVIL UNREST) TEMPLATE OUT](https://static.dw.com/image/16023816_800.webp)
এদিকে বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা বলছেন মিয়ানমারকে তার অভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সৃষ্টি করা উচিত৷
টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিজি কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ জাহিদ হাসান জানান, কক্সবাজার এবং টেকনাফ সীমান্তে কঠোর নজরদারীর কারণে এখন রোহিঙ্গারা আর অনুপ্রবেশ করছেনা বললেই চলে৷ যারা এসেছিলেন তাদের প্রায় ৭৫০ জনকে ফেরত পাঠান হয়েছে৷
তবু্ও জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যস্ত কিছু কিছু রোহিঙ্গা টেকনাফ এলাকায় প্রবেশের পর লুকিয়ে আছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়৷ কেউ কেউ তাদের মানবিক কারনে আশ্রয় দিয়েছেন৷
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মনজুর রশীদ মনে করেন বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ইস্যুতে সক্রিয় করা৷ যাতে তারা মিয়ানমারকে তাদের অভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধানে চাপ সৃষ্টি করে৷তিনি বলেন আপাতত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সমুদ্রে বড় জাহাজে রাখা যেতে পারে৷
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতা ভাল নয়৷ তাই বাংলাদেশকে না বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারকে বলা৷
এদিকে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশি জেলে ও মাঝিদের নাফ নদী বা সমুদ্রে নামতে দেয়া হচ্ছেনা৷ সেন্টমার্টিন দ্বীপে দেশি বিদেশি পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়