1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দীর্ঘ আলোচনা

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তিনদিনের ভারত সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। বুধবার তার বৈঠক হয়েছে জয়শংকরের সঙ্গে।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে হাছান মাহমুদ
ভারত সফরে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদছবি: Satyajit Shaw/DW

ভারত সফরে এসে মিয়ানমার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। বুধবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের আগে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।

রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, একাধিক বিষয় নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মিয়ানমার সংকট। বস্তুত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে। বেশ কিছু সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। কীভাবে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নিয়ে মিয়ানমারের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে মিয়ানমার সংকট কীভাবে কাটানো যায়, তা নিয়েও দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে বলে মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন। যদিও এবিষয়ে ভারতের তরফে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

সীমান্তে হত্যা আর কতদিন?

56:09

This browser does not support the video element.

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে এসেছিলেন। সে সময়েও রোহিঙ্গা সমস্যার কথা আলোচনায় এসেছিল। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা অবসানের জন্য ভারতের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল সে সময়ে। ভারত একটি বিষয় সে সময় স্পষ্ট করে দিয়েছিল। মিয়ানমারের সঙ্গে এবিষয়ে তারা কোনো আলোচনায় যাবে না। কিন্তু এদিন হাছান মাহমুদের কথায় স্পষ্ট, দুই দেশ এবিষয়ে একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩৫ হাজার শিশু। বাংলাদেশেই যাদের জন্ম হয়েছে। এই পরিমাণ মানুষকে দিনের পর দিন দেশে রাখা সম্ভব নয়। কীভাবে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে ভারতও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দুই দেশই এনিয়ে আলোচনা করেছে। আলোচনা হয়েছে সীমান্তবর্তী সুরক্ষা নিয়েও।

হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। সে কারণেই ভারতের ডাকে সারা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভারত সফরে এসেছেন তিনি। রোহিঙ্গা ছাড়াও সীমান্তবর্তী বিষয়, সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য নিয়ে জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তার বক্তব্য, গত ১০-১২ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। বিষয়টিকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে এদিন আলোচনা হয়েছে।

আগামী মার্চ মাস থেকে রমজান মাস শুরু হবে। তার আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনির আমদানি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এবিষয়েও তার জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এরপর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করার কথা হাছান মাহমুদের। বুধবার তিনি দিল্লির জাতীয় প্রেস ক্লাবেও গেছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে মালা দিয়েছেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ