1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার নিয়ে মোদী-বাইডেন কথা

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে দীর্ঘ কথা হলো মোদীর। এশিয়া প্যাসিফিক থেকে মিয়ানমার সব বিষয়েই কথা বললেন তাঁরা।

মোদী-বাইডেন

জো বাইডেন আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই প্রথম তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনার পরে বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন মোদী। জানিয়েছেন, পরিবেশ থেকে মিয়ানমার-- বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

সোমবার রাতে মোদী যে টুইট করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বস্তুত, ট্রাম্পের আমলে ভারতের সঙ্গে, বিশেষত নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর হয়েছিল। চীনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দূর বিস্তৃত করেছিলেন। ডেমোক্র্যাট বাইডেন চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবেন বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। এবং সে ক্ষেত্রে ভারতকে ট্রাম্প যে গুরুত্ব দিয়েছেন, বাইডেন তা দেবেন না বলেও অনেকে মনে করছেন। সোমবার মোদী-বাইডেন কথায় অবশ্য সে ইঙ্গিত মেলেনি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে এ দিন তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের শক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে চীনের শক্তি কমাতে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জোট তৈরি করেছিল অ্যামেরিকা। এ দিনের বৈঠকেও সে বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক প্রসঙ্গও উঠেছে। মোদী টুইটে লিখেছেন, 'রুলবেসড ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার' রক্ষার জন্য দুইটি দেশই সরব হবে। এখানেই মিয়ানমারের প্রসঙ্গ প্রচ্ছন্ন ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকে। তবে অ্যামেরিকা জানিয়েছে, মিয়ানমার নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা হয়েছে।

পরিবেশ এবং জলবায়ু নিয়ে কার্যত উদাসীন ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বাইডেন এসেই ফের জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে গেছেন। এদিনের বৈঠকেও জলবায়ু এবং পরিবেশ নিয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে। বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় দুই দেশ একত্রে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কি বাইডেন মোদীকে কোনো প্রশ্ন করছেন? দুই দেশের দেওয়া বিবৃতি থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বাইডেন ঘনিষ্ঠ কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মিনা হ্যারিসকে নিয়ে বিজেপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন উঠেছে। মিনা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। যার জেরে প্রকাশ্যে তাঁর ছবি পুড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, পিটিআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ