1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসলো ভাষণ

১৬ জুন ২০১২

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দীর্ঘ একুশ বছর পরে অসলোয় ভাষণ দিলেন অং সাং সু চি৷ বললেন দেশের পরিস্থিতি৷ দাবি করলেন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য৷ আর প্রত্যাশা রাখলেন ভবিষ্যতের শুভবোধের৷

Myanmar opposition leader Aung San Suu Kyi speaks at Oslo City Hall June 16, 2012. Aung San Suu Kyi finally accepted her 1991 Nobel Peace Prize in Oslo on Saturday after spending a total of 15 years under house arrest and said full political freedom in her country was still a long way off. REUTERS/Lise Aserud/NTB Scanpix/Pool (NORWAY - Tags: POLITICS SOCIETY TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

অনেক সময় লেগেছে৷ প্রায় দুটি যুগ পার হয়ে গিয়েছে এই সময়ের মধ্যে৷ মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চি ১৯৯১ সালে যখন নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন, সেদিন তিনি গৃহবন্দি৷ সামরিক শাসনের চাপে ওষ্ঠাগত প্রাণ গোটা দেশের৷ ‘সেই বন্দিত্বের মধ্যেও এই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সংবাদে নিজের একাকীত্ব ভুলে গিয়েছিলাম৷ মনে হয়েছিল, গোটা বিশ্ব আমার পাশে আছে৷ নতুন করে লড়াইয়ের প্রেরণা দিয়েছিল আমায় এই পুরস্কার৷ তাই নোবেল কমিটিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ৷'

অসলোয় নোবেল পুরস্কারের ভাষণে একুশ বছর পরে সেদিনের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন সু চি৷ দাবি তুলেছেন, তাঁর দেশের অভ্যন্তরে জেলখানায় আটক থাকা সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য৷ বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে, তার মানে এই নয় সামরিক শাসনের অন্ধকার কেটে গিয়েছে৷ গোটা বিশ্বের কাছে এই মহান নেত্রীর আবেদন, মিয়ানমারের দিকে তাকান৷

সু চিকে স্বাগত জানাচ্ছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী স্টোলটেনবের্গছবি: Reuters

সু চি-র এই ভাষণ এমন সময়ে শোনা গেল যখন অন্যসব কিছু ছাপিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সমস্যা ক্রমশ বেড়ে উঠছে৷ রাখাইন প্রদেশে শুরু হওয়া জাতিগত দাঙ্গার বলি হয়েছেন মোট ৫০ জন, এমন খবর শোনা গেছে শনিবার সকাল থেকেই৷ মিয়ানমারের জাতীয় মিডিয়া স্বয়ং জানিয়েছে এই তথ্য৷ সু চি অবশ্য তাঁর ভাষণের কোথাও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে সরাসরি কোন কথা বলেন নি৷ কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন৷ বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সরকারের চলতি সংঘর্ষের কথা বলেছেন তিনি৷ উত্তর এবং পূর্ব মিয়ানমারের অস্থির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেছেন৷ মিয়ানমারের জন্য শান্তি আর গণতন্ত্রের বার্তা নিজের দেশের সীমানার বাইরে অন্য সকলকে জানাতে পেরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সু চি৷

শান্ত কিন্তু দৃঢ় স্বরে সু চির ভাষণ এদিন অসলোর সিটি হলে নোবেল কমিটির আমন্ত্রিত ৬০০ মানুষকে মুগ্ধ করেছে৷ নরওয়ের রাজা হ্যারল্ড, রাণী সোনিয়া সহ শত শত আমন্ত্রিত এদিন মোট দুইবার সু চি কে দাঁড়িয়ে উঠে অভিবাদন জানান৷ আর তাঁর পুরো ভাষণের সময়ে হল জুড়ে বিরাজ করেছে পিনপতন নীরবতা৷

এসইউবি (এএফপি, রয়টার্স) / আরআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ