1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

৩০ অক্টোবর ২০১২

সরকারি হিসেবে গত ক’দিনের দাঙ্গায় মারা গেছে ৮৮ জন৷ জাতিসংঘ বলছে, এ সময়ে গৃহহারা হয়েছে ২৮ হাজার মানুষ৷ মিয়ানমারের এ পরিস্থিতি দেখে ব্রিটেন দ্রুত সেখানে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে৷

Shofica Belcom, 25, waits with other mothers at a Myanmar Red Cross health clinic near Sittwe, capital of Myanmar's Rakhine state October 14, 2012. Violence erupted in June 2012 between ethnic Buddhist Rakhines and Rohingyas in the northwest Rakhine state, killing at least 77 people and displacing tens of thousands. Belcom and her family have been living in a camp for displaced members of the Rohingya community since June, when the inter-communal violence destroyed her home. The internally displaced persons (IDPs) in Rakhine are accommodated in 40 camps and temporary locations in Sittwe and Kyauktaw townships, with more than 67,700 in nine camps outside Sittwe. Picture taken October 14, 2012. REUTERS/Joe Cropp/International Federation of Red Cross/Handout (MYANMAR - Tags: POLITICS) FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
Myanmar Birma Unruhenছবি: Reuters

মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল গত জুনে৷ এক বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণের ঘটনার জেরে শুরু হওয়া দাঙ্গায় তখন শতাধিক নিহত এবং অসংখ্য মানুষ গৃহহারা হয়৷ মুসলিম রোহিঙ্গা এবং বৌদ্ধদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা দাঙ্গা শুরু হয় কয়েকদিন আগে৷ তাতে এ পর্যন্ত ৮৮ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮০ জন৷ মিয়ানমারের এক সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে৷

রোববার পাউকতাও শহরে শ'তিনেক বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয় বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি কর্মকর্তা জানান৷ সোমবারও মিয়ানমারে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ তবে মৃতদের সকলেই ক'দিন আগের দাঙ্গায় আহত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা-বৌদ্ধদের দাঙ্গা নতুন কিছু নয়৷ সে দেশে রোহিঙ্গাদের মনে করা হয় অবৈধ অভিবাসি৷ লেখাপড়া, চাকরি এবং আরো কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের অধিকার সীমাবদ্ধ৷ দাঙ্গা বাঁধলেও রোহিঙ্গারা পড়েন অসহায় অবস্থায়৷ শনিবার উপগ্রহ থেকে তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির তোলা ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ চিত্র৷ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কিয়াকপু অঞ্চলে চালানো ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দেখে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একে ‘‘ব্যাপক ধ্বংসলীলা'' হিসেবে বর্ণনা করেছে৷

নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির তোলা ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ চিত্রছবি: Reuters

গৃহহারা রোহিঙ্গাদের বর্ণনাতেও উঠে আসছে ভয়াবহ চিত্র৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আশরা বানু বলেছেন, ‘‘ওরা বলেছিল আমাদের ঘরে থাকতে৷ পরে ওরাই এসে ঘরে আগুন দিয়ে দেয়৷ আমরা যখন পালাচ্ছি, তখন রাখাইনরা আর পুলিশ পেছন থেকে গুলি করছিল৷''

জাতিসংঘ বলছে সাম্প্রতিক দাঙ্গায় মিয়ানমারে এ পর্যন্ত গৃহহারা হয়েছেন ২৮ হাজার মানুষ৷ তবে সংস্থার মিয়ানমারের আবাসন এবং মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক অশোক নিগম সোমবার বলেছেন, নৌকায় চড়ে যাঁরা পালিয়ে গেছেন তাঁদের এ হিসেবের আওতায় আনা যায়নি বলে সংখ্যাটা আরো বেশি হওয়াই স্বাভাবিক৷

ব্রিটেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু করা দরকার বলে মনে করছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘‘রাখাইন রাজ্য থেকে যে সহিংসতার খবর আসছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ সাম্প্রতিক হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷ অবিলম্বে তাঁদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত৷ যুক্তরাজ্য আবারও সব পক্ষের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছে৷ ওই অঞ্চলে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সে দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান – আপনারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করুন৷''

আশ্রয়হারা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ মুসলমান ধর্মাবলম্বীছবি: CHRISTOPHE ARCHAMBAULT/AFP/Getty Images

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারে শনিবারের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত৷ কিন্তু দু'সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া দাঙ্গার কারণে অনেক মানুষ এখনো গৃহহারা৷ জুন মাসের মতো এবারের দাঙ্গার পরও উপদ্রুত এলাকা থেকে শত শত মানুষ নৌকায় চড়ে আশ্রয় নিয়েছে রাখাইন প্রদেশের সিতওয়েতে৷ স্থানীয় প্রশাসন এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলছিলেন, ‘‘হাজার হাজার লোক যে এভাবে চলে আসছে, তা কিন্তু শহরের নিরাপত্তার জন্য ভালো নয়৷ আমরা এখানে আর কোনো হানাহানি দেখতে চাইনা৷ তাই গৃহহারাদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়া উচিত৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি,এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ