‘মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ ‘স্ট্রং' অবস্থান নিয়েছে’
Sanjiv Burman২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এখনও বিশ্বাস করতে চান, মিয়ানমারের গোলা ‘ভুলক্রমে' বাংলাদেশে এসে পড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার যে অঙ্গীকার ইয়াঙ্গন করেছে, তা তারা পূরণ করবে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত অবস্থান নিচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন হেনে এক সাংবাদিককে মন্ত্রী বলেছেন, তিনি যুদ্ধ বাধাতে চান কি না৷
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়৷
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা সাপ্তাহিকের একজন সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে; ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ বাংলাদেশ এ বিষয়টি জাতিসংঘে তুলবে কি না, এ বিসয়ে সরকারের ‘স্ট্যান্ড আরো স্ট্রং হওয়া' উচিত কিনা৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে সেই সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে: ‘আপনি কি ধরনের স্ট্রং মনে করেন? কি হইলে স্ট্রং মনে করেন?' সেই সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশের একটা সেনাবাহিনী আছে...' জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘আপনি কি যুদ্ধ বাধাতে চান?'
সাংবাদিক উত্তরে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্ট্যান্ডটা আমি জানতে চাচ্ছি৷' পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বলেন, ‘এই যে সংঘাত হচ্ছে, এটা মিয়ানমারের সংঘাত৷ তাদের এখানে দুই দল মারামারি করছে আর যেহেতু অনেকগুলো লোক রোহিঙ্গা, এই সব লোক বর্ডার এলাকায়, নো ম্যানস ল্যান্ডে৷ বর্ডার এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকে৷ তার ফলে তারা সেখানে এই মিয়ানমারের ঠিক সংঘাতে… সময়ে সময়ে সময়ে আপনার কিছু গোলাগুলি…৷''
অভ্যুত্থান বিরোধীদের গ্রাম পোড়াচ্ছে মিয়ানমার
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থান হয়েছে৷ যারা এর বিরোধিতা করছে তাদের এলাকা পুড়িয়ে দিচ্ছে সামরিক বাহিনী৷
ছবি: REUTERS
একশোর বেশি গ্রামে আগুন
অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘ডাটা ফর মিয়ানমার’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একশোর বেশি গ্রাম পুরোপুরি বা আংশিক পুড়িয়ে দিয়েছে৷ গতবছরের অভ্যুত্থানের বিরোধীদের দমাতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বেসামরিক ভবন পোড়ানো হয়েছে৷
ছবি: REUTERS
ছবি কথা বলে
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-ইমেজিং কোম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবস ও নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে গ্রাম পোড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে৷ এসব গ্রামে প্রধানত বৌদ্ধরা থাকতেন৷
ছবি: PLANET LABS PBC/REUTERS
কেন সাগাইং
কারণ প্রায় এক বছর ধরে ঐ এলাকায় মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ পিডিএফ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর লড়াই চলছে৷ পিডিএফ হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর সাবেক সাংসদদের নিয়ে গড়া মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ এনইউজির সশস্ত্র শাখা৷ মিয়ানমারের সামরিক সরকার এনইউজি ও পিডিএফকে অবৈধ ঘোষণা করেছে৷ এবং তাদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছে৷
ছবি: REUTERS
পলায়ন
সামরিক বাহিনীর হামলা ও আগুনের কারণে গ্রামবাসীরা অন্যত্র পালিয়ে গেছেন৷ জাতিসংঘ বলছে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন৷
ছবি: REUTERS
পুড়ে যাওয়া বিন গ্রাম
৭ ফেব্রুয়ারির এই স্যাটেলাইট ইমেজে সাগাইং এলাকার বিন গ্রামের কিছু অংশ পোড়া দেখা যাচ্ছে৷ সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, ৩১ জানুয়ারি তাদের গ্রামে আগুন দেয়া হয়৷ প্রায় একশোর মতো বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ তবে কেউ মারা যায়নি বা কাউকে হত্যা করা হয়নি৷
ছবি: PLANET LABS PBC/REUTERS
আগের ছবি
বিন গ্রামটি দেখতে এরকম ছিল৷ গতবছর ২৭ নভেম্বর তোলা ছবি৷
ছবি: PLANET LABS PBC/REUTERS
পুরনো কৌশল
বিরোধীদের দমাতে গ্রামে আগুন দেয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি পুরনো কৌশল বলে কয়েকজন বিশ্লেষক রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গ্রামেও আগুন দিয়েছিল তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Marchand
7 ছবি1 | 7
মোমেন বলেন, ‘‘আমাদের বাংলাদেশের ওই এলাকার বর্ডারটা খুব ক্রিসক্রস৷ কখনো এটা বোঝা মুশকিল৷ তো সেই কারণে ওরা বলেছে যে তারা টার্গেট করে আমাদের এখানে কিছু ফেলছে না৷ একটা দুটো যে পড়েছে, সেইগুলো বাই মিসটেক৷সুতরাং আমরা তাদের ডেকেছি৷ তারা আমাদের অঙ্গীকার করেছে যে তারা এ ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করবে৷''
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে৷ সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অধিকাংশই সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন৷
তাদের ফেরত নিতে দুই দেশের সরকার চুক্তিবদ্ধ হলেও পাঁচ বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি, আর সেজন্য মিয়ানমারকেই দায়ী করে আসছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷
সোমবার ঢাকায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিবিদ এবং মঙ্গলবার বাকি সব দেশের মিশন প্রধানদের ডেকে বাংলাদেশের অবস্থান তাদের সামনে তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম৷ পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এলে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে এদিকে গোলা পাঠাচ্ছে কি-না৷
নৌবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তা উত্তরে বলেন, ‘সেটা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় না৷ ইচ্ছা করে করুক বা যা কিছুই করুক, আমরা যেটা বলি যে, এটা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে ফেলবে৷ কাজেই মিয়ানমার সরকারকে এটা বুঝতে হবে, তাতমাদোকে (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী) বুঝতে হবে যে, তারা যেটা করতেছে…''
এদিকে ইয়াঙ্গনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ব্যাখ্যা তার সামনে তুলে ধরে সোমবার৷
সেখানে সীমান্তে মর্টার হামলার দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর চাপানো হয়৷ পাশাপাশি বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ‘ঘাঁটি' থাকার অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত ও অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে৷
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে হরতাল
এক বছর আগে সেনা বিদ্রোহে ক্ষমতা হারিয়েছিল মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার৷ অভ্যুত্থানের এক বছরে প্রতিবাদে সামিল অসংখ্য মানুষ৷ তারা সামরিক আদেশ অমান্য করেছেন, হরতালে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বেরোননি কেউ৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফাঁকা ইয়াঙ্গন
স্ট্র্যান্ড রোড হলো ইয়াঙ্গনের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা৷ মঙ্গলবারে সেটি একেবারে শুনশান ছিল৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দক্ষিণ এশীয় দেশ মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছিল এক বছর আগে৷ সামরিক অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদ জানিয়ে হরতালের ডাক দেয়া হয়েছিল মিয়ানমারে৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
ব্যবসা চালু রাখার আদেশ অমান্য
মান্দালায় রেলস্টেশনের সামনের প্লাজাটি ছিল একেবারে ফাঁকা৷ অ্যাক্টিভিস্টদের কথায়, এটি ছিল ‘নীরব হরতাল’৷ হরতালে অংশ নিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি দিয়েছিল জুন্টা৷ প্রতিবাদ জানালে কিংবা সেনার বিরুদ্ধে কোনওরকম মিছিল বা সমাবেশ বা প্রচার করলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের হুমকি দেওয়া হয়েছিল৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
পথে নেমে প্রতিবাদ..
গ্রেপ্তারের হুমকিকে পরোয়া করেননি অনেক প্রতিবাদী৷ মান্দালায় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল গণতন্ত্রপন্থী ব্যানার৷ তাতে লেখা ছিল, ‘জনগণের ইচ্ছার বিরোধিতা করার স্পর্ধা দেখায় কে’৷ তবে সেদিন কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
জুন্টাকে সমর্থন
মিয়ানমারের স্টেট নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, রাজধানী নেপিদোতে মঙ্গলবার সেনাশাসকদের সমর্থনে সমাবেশ হয়েছিল৷ জুন্টা কিছু ক্ষেত্রে সমর্থন পেলেও তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে যথেষ্ট প্রতিরোধ রয়েছে৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, একাধিক হত্যা, নির্যাতন ও অপহরণ করছে জুন্টা৷ পাশাপাশি, সহিংসতার অভিযোগে জুন্টার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা যৌথভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
বিচার চলছে সু চির
মিয়ানমারে নেত্রী অং সান সু চি সেনা অভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতাচ্যুত হন৷ সরিয়ে দেওয়া হয় তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে (এনএলডি)৷ গ্রেপ্তার করা হয় সু চিকে৷ একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা চালু করা হয়েছে৷ এর ফলে ১৫০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে নেত্রীর! ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে৷
ছবি: REUTERS
‘সিভিল ডিসওবেডিয়েন্স’
গত এক বছরে, বিক্ষোভকারীরা অহিংসভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ একাধিক কর্মসূচি সংগঠিত করেছেন৷ সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী এবং একাধিক পরিষেবার কর্মীদের হরতালে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ এর আগে সর্বশেষ দেশব্যাপী ধর্মঘট হয়েছিল গত ডিসেম্বরে৷ মিয়ানমার জুড়ে শহর ও শহরতলি ছিল একেবারে ফাঁকা৷ মঙ্গলবার ইয়াঙ্গনের বিখ্যাত শোয়েডাগন প্যাগোডার সামনে দেখুন, কোনও মানুষজন নেই৷
ছবি: AFP/Getty Images
সংঘর্ষের এক বছর
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে, মিয়ানমারে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে৷ সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো প্রতিরোধকে সমূলে বিনাশের চেষ্টা করেছে৷ অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে অহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ সেই সময় সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে৷ ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভের আঁচ আরও বেড়ে গিয়েছিল৷ তখনকার ছবিতে ধরা পড়েছে, ব্যারিকেডের পিছনে লুকিয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
নথিভুক্ত হওয়া প্রথম মৃত্যু
স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির অনুমান, মিয়ানমারে সামরিক শাসনকালে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে৷ জাতিসংঘ মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে৷ গত ২১ ফেব্রুয়ারি একজন প্রতিবাদীকে হত্যা করা হয়েছিল৷ তার অন্তিমযাত্রার ছবি দেখা যাচ্ছে এখানে৷ এই মৃত্যুটি প্রথম নথিভুক্ত হয়েছিল৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
8 ছবি1 | 8
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খুরশেদ আলম বলেন, ‘‘এটা মিয়ানমার আজকের কথা না, তারা প্রথম থেকেই এ ধরনের কথা বলে আসতেছে৷ কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে নীতি সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতা… আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি৷''
‘‘কাজেই অন্য দেশের কোনো রকম কাউকেই আমরা বাংলাদেশে স্থান দিয়ে মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল করার অভিপ্রায় বাংলাদেশের কোনোদিন ছিল না, এখনো নাই, ভবিষ্যতেও থাকবে না৷''
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে ‘মানবিক কারণে' আশ্রয় দেওয়া হবে কিনা, আরেক সাংবাদিক তা নিউ ইয়র্কের ব্রিফিংয়ে জানতে চেয়েছিলৈন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এবারে আমরা আপনার স্ট্রং পজিশন নিয়েছি৷ আমরা আমাদের এনটায়ার বর্ডারটা সিল করে দিয়েছি৷ যাতে একটাও রোহিঙ্গা আমাদের এদিকে ঢুকতে না পারে৷''
এরই মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা চীন সীমান্তের দিকে যাচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দিকে সাহস করে আসেনি৷ কারণ আমরা খুব শক্ত অবস্থান নিয়েছি যে এবারে আমরা একটা লোককেও…৷ কারণ যেগুলো আছে, ওইগুলোই এখনো ফেরত পাঠাতে পারি নাই৷ শুধু আশায় আশায় আছি৷ ইনশাল্লাহ ওরা ফেরত যাবে৷''