1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার দায় এড়ানোর কৌশল নিয়েছে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৬ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশ একের পর এক খুন, বিশেষ করে মুক্তচিন্তার ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের হত্যার দায় এড়ানোর কৌশল নিয়েছে৷ এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে সব পক্ষকে খুশি রাখতে চাইছে সরকার৷

প্রতীকী ছবি
ছবি: Robert Richter

[No title]

This browser does not support the audio element.

‘নিরপত্তাহীন বোধ করার কোনো কারণ নেই' – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজধানী ঢাকায় নিজ বাসায় খুন হন বাংলাদেশের প্রথম গে ম্যাগাজিন ‘রূপবানের' সম্পাদক জুলহাজ মান্নানসহ দু'জন৷

এই হত্যাকাণ্ডের একদিন পর, মঙ্গলবার, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান বলেছেন, ‘‘সবাইকে নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে৷ পুলিশ নিরাপত্তা দেবে, তবে নাগরিকেদের নিজ নিজ নিরাপত্তার হুমকির দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে৷''

[No title]

This browser does not support the audio element.

জুলহাজ মান্নানসহ দু'জনের খুন হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব খুন এক কারণে হয় না৷ এ কথাটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে৷''

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ডের পর সোমবারই বলেছিলেন, ‘‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে৷ তবে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে সাধারণ নাগরিকদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই৷''

এই পরিস্থিতিতে সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যতীন সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুব দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে৷ যেমস সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিরাপত্তা৷ কিন্তু শিক্ষক, ব্লগার, মুক্ত বা ভিন্নচিন্তার মানুষ হত্যার ব্যাপারে দায় এড়াতে চাইছে তারা৷ সরকারের ভাব এমন যে, এ সব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই৷ যেন তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই৷ এটা একটি আত্মঘাতি প্রবণতা৷''

তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের এই আচরণে হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে৷ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে৷ এতে করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে৷''

জতিন সরকার

This browser does not support the audio element.

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান এ বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে চাইছে বলেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে৷ এতে উগ্রবাদীরা এখন বেপরোয়া৷ সরকারের কারুর কারুর কথায়ও তারা উৎসাহও পাচ্ছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘রাষ্ট্র যখন তার নাগরিকদের নিরপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তখন রাষ্ট্রের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন ওঠে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের উঁচু পর্যায় থেকে যেভাবে কথা বলা হচ্ছে, তাতে খুনিরা উৎসাহিত হবে৷ সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করবে৷ সরকারের দায়িত্ব হলো নাগরিকদের জানমালের হেফাজত করা৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা পুলিশ প্রধান যেভাবে কথা বলছেন তাতে গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তির মনোবল ভেঙে যাবে৷ অপরাধীরা মনে করবে, এই তো সরকার আমাদের কাছে নতিস্বীকার করছে৷''

সরকার কি সত্যিই দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে? আপনার মতামত জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ