গত মাসের ৭ তারিখে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ পল্লী রেশনিং কার্যক্রমের আওতায় সেদিন থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল হতদরিদ্রদের দেয়া হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবার এ সুবিধা পাবে৷ তবে চাল বিক্রি শুরুর পর থেকে এ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে৷
একাত্তর টেলিভিশন এই অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার শুরু করেছে৷
পল্লী রেশনিং কার্যক্রমের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল কেজিপ্রতি ২৮ টাকা করে ব্যবসায়ীরা কার্ডধারীদের কাছ থেকে কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এ চাল ব্যবসায়ীদের কেনার বৈধতা নেই৷
এছাড়া গত এক মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে যেসব খবর প্রকাশ হয়েছে, তাতে জানা যাচ্ছে, এই চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে৷ বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকজনের ডিলারশিপ৷ এছাড়া অভিযোগ আছে কালোবাজারে এই চাল বিক্রি করে দেয়ার৷
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে পাচারকালে সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ৷
এছাড়া টুইটারে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে৷
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে লিখেছেন, শেয়ার করেছেন এসব খবর৷ ড. ইমরান এইচ সরকার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এদের পকেট এত বড় যে সুযোগ পেলে পুরো দেশটাকে ভরে ফেলবে৷ খাল-বিল, বন-জঙ্গল, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, পাবলিক টয়লেট; কিছুই তো বাদ যায়নি এদের থাবা থেকে৷ আর গরীব মানুষের ১০ টাকা কেজি চাল? সেটাও নাকি শেষমেশ তাদের পকেটেই! ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এই লুণ্ঠন আর কতদিন?''
সাংবাদিক ফারদিন ফেরদৌস লিখেছেন,
এপিবি/এসিবি
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
যেসব খাবার কখনো নষ্ট হয় না
খাবার-দাবার বেশি দিন রাখতে গেলেই চলে আসে দুশ্চিন্তা – নষ্ট হয়ে যাবে না তো? তখন বারবার মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখেন সবাই৷ তবে এমন কিছু খাবার আছে যা অনায়াসে ১০, ২০ অথবা ৩০ বছরও নিশ্চিন্তে রেখে দিতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/Inga Nielsen
মধু
খাঁটি মধু নাকি কখনো নষ্ট হয় না৷ ফুলের রেণু আর মৌমাছির শরীরের এক ধরনের ‘এনজাইম’ মিশে থাকার কারণেই নাকি মধুতে কখনো ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না৷
ছবি: Colourbox
সাদা চাল
ক্সিজেনমুক্ত কোনো জায়গায় চার ডিগ্রি বা তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় সাদা চাল রেখে দিলে, ৩০ বছরেও নাকি সেই চালের স্বাদ, গন্ধ বা খাদ্যগুণের কোনো হেরফের হয় না৷ তবে বাদামি চাল এতদিন টেকে না৷ এ ধরনের চালে তেল থাকে বলে এগুলো বড়জোর ছয় মাস পর্যন্ত একেবারে ঠিক থাকে৷
ছবি: Colourbox
লবণ
ঠিকভাবে রাখতে পারলে লবণেরও কয়েক বছরে অন্তত কিছুই হয় না৷ আর সে কারণে অনেক সময় পচনশীল অনেক বস্তুর পচন রোধ করতে লবণ ব্যবহার করা হয়৷ তবে আয়োডিনযুক্ত লবণ বা নুন কিন্তু বড়জোর পাঁচ বছর ঠিক থাকে৷
ছবি: Fotolia
সয়া সস
ভালো সয়া সস প্যাকেট না খুললে অনেক বছরেও নষ্ট হয় না৷ সয়া সসেও লবণ থাকে আর সেই লবণের গুণেই তা পচতে ভুলে যায়!
ছবি: picture alliance/Arco Images/J. Pfeiffer
চিনি
‘এয়ারটাইট’ কোনো পাত্রে চিনি, বিশেষ করে গুঁড়ো চিনি রাখলে, সেই চিনিও বহুবছর থাকে৷
ছবি: bit24 - Fotolia
শুকনো বাদাম
শুকনো বাদাম বা শিমের বিচিও অক্সিজেনমুক্ত স্থানে রাখতে পারলে তা ৩০ বছরও ঠিক থাকতে পারে৷
ছবি: Colourbox
সাদা ভিনেগার
গবেষকরা বলছেন, সাদা ভিনেগারও বহুবছর ঠিক থাকে৷
ছবি: Fotolia/fovito
ভ্যানিলা
দামি, ভালো ভ্যানিলা যত্ন করে রাখলে ১০-২০ বছরে অন্তত একটুও নষ্ট হয় না৷ ভ্যানিলায় অ্যালকোহল থাকে৷ আর সে কারণেই তা সহজে নষ্ট হয় না৷