ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারী ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ'-এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াসির আরফাত তূর্যকে আটক করেছে পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাথে জড়িত আছেন ছাত্রলীগের অব্যাহতি পাওয়া সাবেকদের পাশাপাশি বর্তমান নেতারাও৷ তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের, বিশেষ করে বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর হয়ে কাজ করেন বলে জানা গেছে৷
সংগঠনটির বয়স এক বছরের কিছু বেশি৷ ২০১৮ সালের অক্টোবরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ গড়ে তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘রোববার ডাকসু ভবনে হামলার সাথে জড়িত বুলবুল ও মামুনকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে এই বছরের ১০ অক্টোবর সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়৷ কিন্তু তাদের বহিস্কার করলেও তারা একই নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে৷''
ডাকসু ভবনে ভিপি নুরের ওপর হামলাকারী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুন৷ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘তারা আমার কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলো৷ কিন্তু তাদের বহিস্কার করার পর তারাই নিজেদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একই সংগঠনের নামে নানা অপকর্ম চালাতে থাকে৷ তাদের আলাদা নামে সংগঠন করতে বললেও তারা তা শোনেনি৷''
হামলাকারী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে শুরুতে থাকলেও বিতর্কিত হিসেবে বাদ পড়ে৷ আর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ছাত্রলীগের বর্তমান ও গত কমিটির উপ-সম্পাদক৷ এই কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তূর্য এখন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক৷ আর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধার সম্পাদক সনেট মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি৷
একেএম জামাল উদ্দিন
তারা মূলত টেন্ডারবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর অনুসারী বলে জানা গেছে৷ গোলাম রাব্বানীর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলনও করেছিল৷ গত মাসে ভিপি নুরের ‘অডিও ফাঁসের' পর তারা ডাকসু ভবনে ভিপির কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়৷ তারা কোনো অপকর্ম করার পরপরই দৃশ্যপটে হাজির হন ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী৷ রোববারের হামলার পরও তাকে একই ভূমিকায় দেখা যায়৷
আগে তালা লাগানোর সময়ও রাব্বানী ছিলেন সক্রিয়৷ তিনি তখন ‘দুর্নীতির' অভিযোগ এনে ভিপি নুরের পদত্যাগ দাবি করেন৷ এবার হামলার পর তিনি বলেন, ‘‘নুর আহত হয়েছে নাকি, ডাজ নট ম্যাটার৷''
এ নিয়ে জানতে গোলাম রাব্বানীকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি৷ ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ভিপি নুরসহ ১৮ জনের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া মনোভাব জানার পর তিনি আড়ালে চলে গেছেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ও ডাকসু কর্মকর্তা জানান, রাব্বানী ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর ক্যাম্পাসে ও ছাত্রলীগে তার আধিপত্য ধরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে এদের ব্যবহার করেন৷
এর আগে গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মাঠে ছিলো ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড'৷ কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের পর মুক্তিয়োদ্ধা সন্তান কমান্ড থেকে বেরিয়ে গিয়ে গত বছরের চার অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের ছেলে আশিক খানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ গঠন করা হয়৷ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘তারা তাদের স্বার্থে আলাদা হয়ে গেছে, আগে আমাদের সঙ্গে ছিলো৷ তবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কোনো নিবন্ধন নেই৷ এ ধরনের সংগঠন করতে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুমোদন লাগে৷''
মেহেদী হাসান
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই সংগঠন করছে তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তা সত্য৷ কিন্তু তাদের কাজকর্ম মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছে৷''
কিন্তু জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘এ ধরনের সংগঠন করতে কোনো রেজিষ্ট্রেশন লাগে না৷ সারাদেশেই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের নামে নানা সংগঠন আছে৷ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই সংগঠনটি গড়ে তুলেছি সরকারি চাকরিতে আমাদের কোটা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে৷ সারাদেশে আমাদের শাখা রয়েছে৷ আর বুলবুল, মামুনের মত যারা আনরুলি তাদের বাদ দিয়েছি৷''
তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে যারা অপকর্ম এবং সন্ত্রাসী কাজ করছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই৷''
এদিকে রোববারের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরসহ মোট ২৫ জন আহত হন৷ এরমধ্যে ১৭ জনকে হাসাপতালে ভর্তি করা হয়৷ সোমবার ১২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ নুরসহ পাঁচজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন৷ তাদের মধ্যে তুহিন ফারাবির অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
পুলিশ হামলার অভিযেগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুইজনকে আটক করলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি৷ আর সরকারের কড়া মনোভাবের কারণে মঞ্চের অন্য নেতারা ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি৷
ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক নৃশংসতা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ৷ বিশ্বজিৎ থেকে আবরার পর্যন্ত তাদের নির্যাতনে মারা গেছে বেশ কয়েকজন৷ কেউ হারিয়েছেন দৃষ্টি, কারো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে শরীরের হাড়৷ বিচার হয়নি অনেক ঘটনারই৷
ছবি: bdnews24.com
দখলবাজির শিকার আবু বকর
২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শক্ত ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে আবু বকরের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়৷ এই হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়৷ ২০১৭ সালে আদালতের রায়ে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পায়৷ (ছবি: সাম্প্রতিক)
ছবি: bdnews24.com
খাবার নিয়ে বিরোধে হত্যা
২০১০ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ইফতারের টোকেন সংঘর্ষ বাধে রাজশাহী ছাত্রলীগের মধ্যে৷ তার জের ধরে দলটির কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে পিটিয়ে শাহ মখদুম হলের দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়৷ এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ১০ জন, যাদের সবাই এখন জামিনে৷
ছবি: DW/A. Khanom
জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা
২০১২ সালে জানুয়ারিতে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের৷ তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তারই সংগঠনের প্রতিপক্ষরা৷ এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন৷ গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রাখে হাইকোর্ট৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজনই পলাতক৷
ছবি: bdnews24.com
দুর্ভাগা বিশ্বজিৎ
বিশ্বজিৎ দাস ছিলেন পুরান ঢাকার একজন দর্জি৷ ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নৃশংস হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়৷ সেসময় ১৮ দলের অবরোধ চলছিল৷ বিশ্বজিৎ শিবির কর্মী এমন ধারণা করে তাঁকে চাপাতি, কিরিচ দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ আলোচিত এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে আট আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন, দুইজনকে খালাস আর পলাতক দুইজনের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট৷
ছবি: bdnews24.com
বাদ যায়নি শিশুও
২০১৩ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় মারা যায় ১২ বছরের শিশু রাব্বি৷
ছবি: bdnews24.com
আধিপত্য বিস্তারের বলি তাপস
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস সরকার৷ ২০১৬ সালে এই ঘটনায় ২৯ নেতাকর্মীর নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ৷ মূল আসামী আশরাফুজ্জামানসহ গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনই জামিনে পান৷ (ছবি: প্রতীকী)
ছবি: Fotolia/Scanrail
খাদিজার মৃত্যুর কাছ থেকে ফেরা
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবরের ঘটনা৷ এমসি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পরই খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)-র ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম৷ নার্গিসকে মৃত ভেবে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা বদরুলকে আটক কোরে পুলিশে দেয়৷ আলোচিত এই ঘটনায় বদরুলের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছে আদালত৷
ছবি: bdnews24.com
হেলমেট বাহিনীর হামলা
গত বছর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র কিছু যুবক ধানমন্ডি, জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে৷ হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে পরিচয় সহ খবর বের হয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, কারও বিচারও হয়নি৷
ছবি: Bdnews24.com
হাতুড়ি মামুনদের বিচার হয়নি
দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে৷ তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গত বছরের ২ জুলাই৷ তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পেটায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী৷ তাকে হাতুড়ি পেটা করে দলটির সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷
ছবি: bdnews24.com
চোখ হারানো এহসান
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে এহসান নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে এই হামলা চালায় তারা৷ এসময় তাকে শিবির কর্মী বলেও অপবাদ দেয়া হয়৷ হামলায় এহসানের চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়৷ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার হলেও তারা হলে থাকতেন বলে খবর বের হয়৷ অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছাড়ে এহসান৷
ছবি: bdnews24.com
আহ্ আবরার!
সবশেষ ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হল বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ৷ রাত ২টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা আগের দিন সন্ধ্যায় তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে৷ আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন, যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন ৷
ছবি: bdnews24
১০ বছরে ২৪ হত্যা
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত ১০ বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ যার প্রায় সবগুলোর সাথেই ছাত্রলীগ জড়িত রয়েছে৷ এর মধ্যে ১৭ টিই ঘটেছে নিজেদের অন্তর্কোন্দলে৷ সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত ১০ বছরে সেখানে ৮ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷
ছবি: bdnews24
ইচ্ছে হলেই মারধর, হামলা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচীতে ইচ্ছে হলেই হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ কোটা আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সময় মারধর করেছে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা৷ গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনেও ছাত্রলীগের হামলা এবং ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা ঘটে৷ একাধিকবার তাদের হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর৷