সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এবং সরকারের উন্নয়নের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷ নির্বাচন সম্পর্কে মোটেই আশাবাদী নন অনেক পাঠক৷ সে কথাই তাঁরা জানিয়েছেন ফেসবুক পাতায়৷
বিজ্ঞাপন
যেমন আগামী নির্বাচন সম্পর্কে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বেশি কিছু আশা করার মতো কোনো সুযোগ দেখছি না৷ কারণ এবারের নির্বাচনও গতবারের মতোই হবে, অর্থাৎ হবে নাম সর্বস্ব নির্বাচনমাত্র!
পাঠক আমিনুর রহমানেরও এমনটাই ধারণা৷ একই মত মাসুদ খান, শাহীন বাবু, কামরুল হাসান ও জাকিরেরও৷ মাসুদ বলছেন, ‘‘আগামী নির্বাচনেও একইভাবে হবে, অর্থাৎ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না৷''
পাঠক আরাফাত রনি নির্বাচন সম্পর্কে একেবারে সরাসরি তাঁর মতামত তুলে ধরেছেন এভাবে: ‘‘বাংলাদেশে ফ্রি, ফেয়ার এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়৷ এখানে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, এমনকি কেয়ারটেকার সরকার থাকলেও নয়৷ কারণ দুর্ভাগ্য হলেও এ কথা সত্য যে, এ দেশে গণতন্ত্র নেই৷ বাংলাদেশ চলে অর্থ এবং পেশির শক্তিতে৷''
মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে ভোটারদের কথা
প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্য কোনো সভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেননি৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি শুধু বলেছেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে৷ এরপরও মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কী বলছেন সাধারণ মানুষ?
ছবি: AFP/Getty Images
প্রথম ভোটার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করা আনিসুর রহমান প্রথম ভোটার হিসেবে সর্বশেষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন৷ তিনি দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন দেখছেন না৷ তবে সময়মত নির্বাচন অবশ্যই চান তরুণ এই ভোটার৷
ছবি: DW/M. Mamun
বেসরকারি চাকুরিজীবী
ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি চাকুরে মুনসুর আলী মনে করেন, দেশে এই মুহূর্তে কোনো মধ্যবর্তী ইলেকশানের প্রয়োজন নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
একজন শিক্ষক
সদ্য শিক্ষকতা পেশা শুরু করা ময়মনসিংহের আহসান উল্লাহর কোনো মতামতই নেই মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে৷ তবে নাগরিক হিসেবে নির্বাচন হলে নিজের ভোটটি প্রয়োগ করতে চান তিনি৷ এর বেশি কোনো মন্তব্য করতে নারাজ আহসান উল্লাহ৷
ছবি: DW/M. Mamun
রিকশা চালক
ঢাকায় রিকশা চালান বগুড়ার হবিবর৷ মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে তাঁর বিশেষ কিছু বলার নেই৷ তবে সামনের নির্বাচনে নিজের ভোটটি প্রয়োগ করতে চান তিনিও৷
ছবি: DW/M. Mamun
রিকশা চালক
আকরাম হোসেনের বাড়ি বগুড়ায়৷ তবে তিনি ঢাকা শহরে রিকশা চালান৷ তাঁর মতে, সরকার যদি এতই জনপ্রিয় হয় তাহলে নির্বাচন দিতে দোষ কি? ভোট তো আমরাই দেব, তাই না?
ছবি: DW/M.M. Rahman
বেসরকারি চাকুরে
শহীদুল ইসলামও মনসুর আলীর মতো বেসরকারি চাকরি করেন৷ আর তিনিও আলীর মতো এই মুহূর্তে ভোটের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না৷
ছবি: DW/M. Mamun
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আহমেদ আলী মধ্যবর্তী ভোট নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন৷ তবে নির্বাচন হলে তিনিও ভোট দিতে চান এবং দেশে সময়মতো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিবহন শ্রমিক
হারুন মিয়া পরিবহন শ্রমিক৷ দেশে এই মুহূর্তে মধ্যবর্তী কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন দেখছেন না তিনিও৷ তাঁর মতে, একটি সরকারকে তার শেষ পর্যন্ত সময় দেয়া উচিত৷
ছবি: DW/M. Mamun
8 ছবি1 | 8
অন্যদিকে হাসান মিয়া মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বে না৷ আর পাঠক বাশার বলছেন, ‘‘নির্বাচনের সময় যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকে, তাহলে নাকি এই নির্বাচনও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মতোই হবে৷''
পাঠক মোহাম্মদ জুয়েল ইব্রাহিমের তো নির্বাচন সম্পর্কে পুরোপুরি অবিশ্বাস৷ আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘‘নির্বাচনের প্রয়োজন কী? শেষে গিয়ে নাটক আর শুধু শুধু টাকা লস৷''
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলের নেতা খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে ফেসবুক পাঠক আতিকুর তাঁর মত প্রকাশ করেছেন এভাবে: ‘‘আপনাদের দু'জনের গ্যারা কল থেকে জাতিকে মুক্তি দিন৷ মুক্তি দিন দেশের মানুষকে৷''