মুক্তি পেলেন রোনাল্ডিনহো
২৫ আগস্ট ২০২০দুইবার তিনি ফিফার বিশ্বসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন। মূলত মাঝমাঠের প্লেয়ার। কিন্তু ফরোয়ার্ড বা উইং-এও অসাধারণ খেলতেন। গোলার মতো শট, নজরকাড়া ড্রিবল, গোলের ঠিকানা লেখা নিখুঁত পাস ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য। পায়ে বল পেলেই হয়ে উঠতেন বিপক্ষের ত্রাস। সে সময় তাঁকে সর্বকালের সেরাফুটবলারদের তালিকায় রাখতেন অনেক বিশেষজ্ঞই। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এই শিল্পী ফুটবলারই জাল নথিপত্র দিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে প্যারাগুয়েতে ঢোকার সময় আটক হন।
গত পাঁচমাস ধরে তিনি ছিলেন জেল ও গৃহবন্দি। অবশেষে সোমবার মুক্তি পেয়েছেন এই শিল্পী ফুটবলার। তাঁদের দুই লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে। তবে তাঁদের হাজতবাস থেকে রেহাই দিয়েছেন প্যারাগুয়ের বিচারক।
রোনাল্ডিনহোকে স্থানীয় একটি সংস্থা আমন্ত্রণ জানায়। তাঁর আত্মজীবনীর প্রচারের জন্য। তিনি গত ৪ মার্চ তাঁর ভাইকে নিয়ে প্যারাগুয়ে পৌঁছন। তাঁর ভাই রোনাল্ডিনহোর বিজনেস ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। দুই দিন পরেই পুলিশ সাবেক ফুটবল তারকা ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করে। তাঁরা প্যারাগুয়ের জাল পাসপোর্ট নিয়ে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রথমে তাঁদের ৩২ দিন হাই সিকিউরিটি জেলে রাখা হয়। সেখানেই তাঁর ৪২ তম জন্মদিন পালন করেন রোনাল্ডিনহো। তারপর বিলাসবহুল হোটেলে ঘরবন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। তার আগে অবশ্য তাঁরা জামিনের জন্য ১৬ লাখ ডলার দেন। বিচারক জানিয়েছেন, রোনাল্ডিনহো ও তাঁর ভাই দ্রুত ব্রাজিলে ফিরতে পারবেন।
রোনাল্ডিনহো বার্সিলোনা এফসি-তে খেলেছেন। এ সি মিলানের হয়েও ফুটবলের জাদু ছড়িয়েছেন মাঠে। তাছাড়াও বেশ কযেকটি ক্লাবে তাঁকে খেলতে দেখা গেছে। ২০১৫ সালে তিনি শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেন। ততদিনে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ৪৪১টি ম্যাচ খেলে ১৬৭টি গোল করে ফেলেছেন। দেশের হয়ে ১৩৫টি ম্যাচে ৫৬টি গোল করেছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)