মুক্ত প্রাণের বইমেলা
৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯মেলায় বইপ্রেমীরা আসছেন দলবেধে৷ আসছেন লেখকরা৷ নতুন বই আর নজরকাড়া চার রংয়ের প্রচ্ছদ যেন মেলায় উৎসবের আমেজ বয়ে এনেছে৷ তবে পাঠকেরা এখন কিনছেন কম, দেখছেন বেশী৷ প্রকাশকেরা জানান, দেখতে দেখতেই বই কেনা শুরু করবেন পাঠকেরা তবে একদম প্রথমদিকে হলেও পাঠকেরা যে হারে বই কিনছেন তা সন্তোষজনক৷ আর হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের ক্ষেত্রে কোন নিয়মই খাটে না৷ প্রথমদিন থেকেই তার উপন্যাসের কাটতি শীর্ষে৷
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক জোয়ার এসেছে এবার৷ আর এই চেতনা সব সময়ই সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তার পক্ষে৷ একারণে বইয়ের বিক্রিও বেশী হবে বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি জানান, এবার মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে অনেক বই আসবে মেলায়৷
প্রকাশক জাকির হোসেন বেজায় খুশী মেলায় দর্শক সমাগম দেখে৷ তিনি এই মেলাকে ব্যবসার দিক থেকে দেখেন না কখনোই৷ তার কাছে অমর একুশে বই মেলা চেতনার মেলা৷ তিনি জানান, বই মেলায় আমাদের চেতনাবোধ শানিত হয়৷ এবারের বই মেলায় সৃজনশীল বইয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ তাকে মুগ্ধ করছে৷ একই ধরনের কথা বলেন, লেখক ইমদাদুল হক মিলন৷ তিনি বলেন, বই মেলায় পাঠকের ভালবাসা তাকে ভাল লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়৷
প্রকাশকেরা জানান, বই মেলার প্রথম দু'দিনেই দেড় শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে বাংলা একাডেমীর হিসেবে ৬টি৷ হিসাবের এই বড় পার্থক্যের কারণ, প্রকাশকেরা এখনো বাংলা একাডেমীতে বই জমা দেয়া শুরু করেন নি৷
ডয়চে ভেলের ষ্টল
এই প্রথম অমর একুশে বই মেলায় অংশ নিয়েছে ডয়চে ভেলে, বাংলা বিভাগ৷ ইউরোপের হৃদয় থেকে ডয়চে ভেলে রেডিও বাংলা বিভাগের খবর আর অনুষ্ঠান মালা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়৷ তাই বইমেলায় ডয়চে ভেলের উপস্থিতিতে শ্রোতারা বেজায় খুশী৷