1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্ত বিচারালয়, না কারাগার?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বুধবার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচার শুরু হলেও তাঁর আইনজীবীরা সেখানে যাননি৷ তাঁরা ‘কারাগারের মধ্যে আদালতকে' সংবিধানপরিপন্থি বলেন৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘ওটা কারাগার নয়, পরিত্যক্ত ভবন৷''

Bangladesch Prozess gegen Ex-Regierungschefin Khaleda Zia
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার এতদিন বকশীবাজারের বিশেষ আদালতেই হয়ে আসছিল৷ কিন্তু সরকার মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে  ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করে৷ খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই কারাগারেই রয়েছেন৷

সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘‘বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে৷ সেজন্য নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশেষ জজ আদালত-৫ নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো৷' 

‘খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী হাজির ছিলেন না’

This browser does not support the audio element.

বুধবার দুপুর ১২টার পরপরই পুরনো কারাগারের ওই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়৷ কিন্তু সেখানে খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী হাজির ছিলেন না৷

সেখানে উপস্থিত বাংলা নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকম-এর বিশেষ প্রতিনিধি মবিনুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে এজলাসে হাজির করা হয়৷ তাঁকে হুইল চেয়ারে করে আনা হয়৷ আদালতটা করা হয়েছে প্রশাসনিক ভবনে৷ খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে ভবনে রাখা হয়েছে, সেখান থেকে এর দূরত্ব ৫-৭ মিনিটের হাঁটা পথ৷ সেখানে খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী যাননি৷ আদালতে দুদকের আইনজীবী ( রাষ্ট্রপক্ষ) অ্যাডভোকোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সরকারের প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে৷ তাঁদের জানানো হয়েছে, তারপরও তাঁরা আসেননি৷ এরপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী  ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর  নির্ধারণ করেন বিচারক আখতারুজ্জামান৷''

তিনি জানান, ‘‘এ সময় খালেদা জিয়া আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি অসুস্থ৷ বারবার এখানে আসা সম্ভব না৷ আপনারা আগেও আমার বিচার করেছেন, এখনো করছেন৷ আপনাদের যা ইচ্ছা হয় সাজা দিয়ে দিন৷ আমি এই কোর্টে আর আসতে পারব না৷''

পুরনো কারাগারের আদালতে না যাওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ওই আদালত সংবিধানবিরোধী৷ সংবিধান অনুযায়ী প্রকাশ্য আদালতে বিচার হতে হবে৷ জেলাখানা তো জেলখানা৷ সেখানে আবার বিচার হয় কিভাবে? সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রকাশ্যে বিচার হতে হবে৷''

‘জেলখানায় বিচার হয় কিভাবে? সংবিধান অনুযায়ী প্রকাশ্যে বিচার হতে হবে'

This browser does not support the audio element.

তিনি দাবি করেন, ‘‘জেলখানার ভিতরে যে আদালত করা হয়েছে, সেখানে সবার প্রবেশের সুযোগ নেই৷ এটা ক্যামেরা ট্রায়েল৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছি, খালেদা জিয়া অসুস্থ৷ তিনি এই আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন না বলে জানিয়েছেন৷''

খালেদা জিয়ার আইনজীবীর এই কথার জবাবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ কাজল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ওনাদের (খালেদা জিয়ার আইনজীবী) ইচ্ছে হয়নি, তাই আসেননি৷ এটা কোনো জেলখানা নয়৷ এটা এখন পরিত্যক্ত ভবন৷ আগে জেল খানা ছিল৷ খালেদা জিয়াকে যে ভবনে রাখা হয়েছে, সেখানে আদালত স্থাপন করা হয়নি৷ করা হয়েছে প্রশাসনিক ভবনে৷ এটা একটা মুক্ত আদালত৷সব গেট খোলা৷ যে কেউ এই আদালতে আসতে পারেন৷ তাঁরা না এসে কথা বললে তো হবে না৷ তাঁরা আসলে বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এসব কথা বলছেন৷'' 

‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রাজনৈতিক কারণে এসব কথা বলছেন’

This browser does not support the audio element.

কারাগারে আদালত স্থাপন করা যায় কিনা, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটাতো জেলখানা নয়৷ এটা পুরনো জেলখানা৷ ওখানে জাদুঘর আছে৷ কম্বল কারখানা আছে৷ প্রশাসনিক ভবন তো আর জেলখানা নয়৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া যেহেতু দূরে যেতে চান না, তাই ওখানে আদালত স্থাপন করা হয়েছে৷ ৫-৭ মিনিটের হাঁটা পথ৷ তাঁর সুবিধার জন্যই এটা করা হয়েছে৷''

এদিকে প্রজ্ঞাপনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার নতুন স্থাপিত পুরনো কারাগারের আদালতে করার কথা বলা হয়েছে৷ অন্যান্য মামলার ব্যাপারে কী হবে, তা জানা যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ