1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুখ্যমন্ত্রীদের বশে আনতে পারছেন না ম্যার্কেল

১৭ নভেম্বর ২০২০

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জার্মানির নেতাদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব আবার স্পষ্ট হয়ে পড়লো৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইলেও কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করে চলেছেন৷

ছবি: Odd Andersen/REUTERS

প্রতিবেশী দেশগুলির মতো জার্মানির করোনা পরিস্থিতি ততটা মারাত্মক না হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আগেই দুই সপ্তাহ আগে সে দেশে এক মাসের জন্য ‘লকডাউন লাইট’ ঘোষণা করা হয়েছিল৷ মূলত হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখে ও প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ সীমিত রেখে সংক্রমণের হার কমানোর চেষ্টা করছিল প্রশাসন৷ সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই দুই সপ্তাহের প্রবণতা খতিয়ে দেখলেন৷ এ দিন তাঁরা তেমন কোনো পরিবর্তনের বিষয়ে ঐক্যমতে আসতে পারেন নি৷ আগামী ২৫শে নভেম্বর আবার আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চান জার্মানির নেতারা৷

শেষ পর্যন্ত ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের নেতারা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে অন্য মানুষের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ যতটা সম্ভব কম রাখার আবেদন জানিয়েছেন৷ যে সব মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি, তাদের জন্য সরকারি ভরতুকির মাধ্যমে কম দামে এফএফপি-২ মাস্ক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

গত দুই সপ্তাহে জার্মানিতে সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে বটে, কিন্তু সরকার ও প্রশাসন সেই মাত্রা আরও কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর৷ সরকারের যুক্তি, জার্মানির অবকাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার পঞ্চাশের সীমার মধ্যে না রাখলে নির্ভরযোগ্যভাবে ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং' করা যাবে না এবং হাসপাতালে আইসিইউ-র উপর চাপ কমানো যাবে না৷ বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের গড় হার ১৪৩৷ বিশেষ করে আরও শীত পড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এমনকি বাজারে করোনার টিকা এলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ম্যার্কেল৷

কীভাবে, কোন গতিতে এবং কত দ্রুত সেই লক্ষ্য পূরণ করা উচিত, সে বিষয়ে জার্মানির ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে মতপার্থক্য কিছুতেই দূর হচ্ছে না৷ দক্ষিণে বাভেরিয়ার মতো ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইলেও বিশেষ করে পূবের জনবিরল রাজ্যগুলি এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলও অবিলম্বে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবার পক্ষে৷ বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ কমাতে তিনি কড়াকড়ি বাড়াতে চেয়েছিলেন৷ বিষয়টি নিয়ে সোমবার তাঁর সঙ্গে অনেক মুখ্যমন্ত্রীর তুমুল সংঘাত দেখা গিয়েছিল বলে জানা গেছে৷ চ্যান্সেলরের দফতর আলোচনার আগেই সিদ্ধান্তের খসড়া প্রস্তুত করেছিল বলে অনেক মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন৷

বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করতে কড়া পদক্ষেপের প্রতি

জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন রয়েছে৷ তবে কিছু মানুষ প্রকাশ্যে নিয়মিত প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে৷ এমনকি মাস্ক পরা ও যথেষ্ট ব্যবধান বজায় রাখতেও তারা নারাজ৷ ফলে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় সরকারি পদক্ষেপের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ