মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া সাফল্য
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জিতবেনই, সে নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না৷ কিন্তু ভোটের দিন একদিকে প্রবল বৃষ্টি, অন্যদিকে পুজোর বাজারে সবাই ব্যস্ত থাকার কারণে ভবানীপুরে ভোটের হার যে কম হয়েছে, তার জন্য কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা ছিল তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যবধান নিয়ে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, মাত্র ৪৫ শতাংশ ভোট পড়লেও তার প্রায় ৭৮ শতাংশ ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পেয়েছেন৷ আগের বারের তুলনায় জয়ের ব্যবধানও বেড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জিতেছেন ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে৷
অন্যদিকে বসিরহাট উত্তর আসনটিও এবারের উপ-নির্বাচনে নিজেদের দখলে নিয়ে নিল তৃণমূল৷ গতবার এই আসনে জিতেছিল সিপিএম৷ প্রায় ৩১ হাজার ভোটে সেটিও গেল তৃণমূলের দিকে, বিধানসভায় শাসকদলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ১৮৫৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এদিন আরও একটি সুখবর শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সিঙ্গুরে টাটা শিল্পগোষ্ঠীর মোটর কারখানার জন্য আগের বাম সরকারের অধিগৃহীত কৃষিজমি অনিচ্ছুক কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যে আইন করেছে তৃণমূল সরকার, তাকে সম্পূর্ণ বৈধ ঘোষণা করল আদালত৷ আইনটির সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিল টাটারা৷ কিন্তু ওই আইন যে সংবিধান সম্মত, এবং সম্পূর্ণত জনস্বার্থেই, তা আজ ঘোষণা করেছে আদালত৷ বলেছে, জমি ফেরত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে পারে টাটা গোষ্ঠী৷ এই প্রক্রিয়া যাতে মসৃন হয় সেজন্য দুজন স্পেশাল অফিসারকেও নিয়োগ করেছে হাইকোর্ট৷
যদিও রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবী এদিন আদালত চত্বরে বলেন, টাটাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আদালত বললেও, জমি ফেরত নেওয়ার প্রশ্ন ওঠেনা৷ কারণ ওই জমি সরকারেরই ছিল, টাটাদের শিল্প গড়তে লিজ দেওয়া হয়েছিল মাত্র৷ কিন্তু ওরা সেটা না করে চলে যান৷
শোনা যাচ্ছে, টাটা গোষ্ঠী এর পর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে৷ সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই সরকার পক্ষ খুব শিগগিরই ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে আদালতে৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ