1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিম্বাবোয়েতে রাজনৈতিক সংকট

১৫ নভেম্বর ২০১৭

জিম্বাবোয়ের ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের ক্ষমতাবৃদ্ধি রুখতেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে বলে দাবি করছে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোষ্ঠীও এই পদক্ষেপের সমর্থন করছে৷ প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে গৃহবন্দি৷

রবার্ট ও গ্রেস মুগাবে
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T.Mukwazhi

সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম থেকে বহুকাল দূরে ছিল আফ্রিকার দেশ জিম্বাবোয়ে৷ গত ৩৭ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের নেতৃত্বে দেশটির চরম অর্থনৈতিক দুর্দশা অবশ্য বহুকাল ধরেই পরিচিত৷ এবার অস্পষ্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আবার বিশ্বের নজর কাড়ছে দেশটি৷ কিন্তু সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা শুধু প্রেসিডেন্টের আশেপাশে ‘অপরাধী'-দের দমন করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্দশার দায়ে তাদের বিচার হবে৷ ৯৩ বছর বয়সি মুগাবে নাকি সপরিবারে নিরাপদেই রয়েছেন৷ মুগাবে টেলিফোনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমার সঙ্গে কথা বলেছেন৷ জানিয়েছেন, তিনি গৃহবন্দি হলেও ভালো আছেন৷ 

রাজধানী হারারের ক্ষমতাকেন্দ্র অবরোধ করে রয়েছে সৈন্যরা৷ সরকারি ভবন, সংসদ ও আদালত ভবনগুলি সেই এলাকায় অবস্থিত৷ সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্রও সেনাবাহিনীর দখলে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা কমপক্ষে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন৷ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এসবি মোয়ো জাতীয় টেলিভিশনে এক ভাষণে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন৷ তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণ হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশা করছেন৷

মুগাবের জানু-পিএফ দল সেনাবাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনেছে৷ তারা এই পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান হিসেবেই গণ্য করছে৷ অর্থমন্ত্রী ইগনেশিয়াস চম্বো সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি রয়েছেন৷

উল্লেখ্য, অশীতিপর মুগাবে-পরবর্তী জিম্বাবোয়ের ক্ষমতাকেন্দ্রে আধিপত্য নিয়ে এর মধ্যেই সংঘাত শুরু হয়ে গেছে৷ ১৯৮০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাবার পর মুগাবেই একটানা ক্ষমতায় রয়েছেন৷ ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে মুগাবের ৫২ বছর বয়সি স্ত্রী গ্রেস-এর নেতৃত্বে ‘জি-৪০' নামে এক গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ দলের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সহযোগীদের কোণঠাসা করে দেওয়ায় সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কনস্টানটিনো চিওয়েঙ্গা ২৪ ঘণ্টা আগেই হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ গ্রেস শিবির দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাওয়াকে বরখাস্ত করার পর তিনি হস্তক্ষেপ করতে দেরি করেননি৷ মোটকথা গ্রেস মুগাবে যাতে তাঁর স্বামীর উত্তরসূরি না হতে পারেন, সামরিক বাহিনী তা নিশ্চিত করতে চায়৷ গত সপ্তাহে জেনারেল চিওয়েঙ্গা চীন সফর করেছেন৷ তাই তাঁপ পদক্ষেপের পেছনে চীনের সমর্থন আছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে৷ চীন অবশ্য এমন যোগসূত্র মেনে নিতে অস্বীকার করেছে৷

স্বাধীনতা আন্দোলনের যোদ্ধাদের সঙ্গে গ্রেস মুগাবের নেতৃত্বে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মের নেতাদের সংঘাতের ফলে দেশে অনিশ্চয়তা বেড়ে চলেছে৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গ্রেস শ্বেতাঙ্গ চাষিদের ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ নিচ্ছিলেন, ‘ওয়ার ভেটারান'-রা তা মোটেই পছন্দ করছেন না৷ মুগাবের ঘনিষ্ঠ মহলের অনেকেও গ্রেস-এর উত্থানের বিরোধিতা করছেন বলে জানা গেছে৷

ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবোয়েতে অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রকাশ্যে না আসার পরামর্শ দিয়েছে৷ যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়, তাদের বাসভবনে থাকতে বলা হয়েছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স , এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ