1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রান্তিক মানুষ

৩০ এপ্রিল ২০১২

গ্যালপের অর্থনৈতিক কল্যাণসূচক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব, মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চহার ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায়৷ এতে আগামী দিনে সব থেকে মার খাবে মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষেরা৷

ছবি: AP

সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব, মুদ্রাস্ফীতি, চড়া সুদের হার ও দুর্নীতি সাম্প্রতিক কালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারকে করে তুলেছে নিম্নমুখী৷ এর পরিণামে ব্যাহত হচ্ছে বিনিয়োগ৷ বহু কোম্পানি তাদের প্রকল্প স্থগিত রেখেছে৷ কিংবা অন্যত্র বিনিয়োগ করছে৷ পরিণামে সঙ্কুচিত হচ্ছে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ৷

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক আশীষ নন্দী ডয়চে ভেলেকে একটু ভিন্ন সুরে বললেন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অচলাবস্থা বা চড়া হারে সুদ – সবই আগে ছিল, এখনো তাই৷ নতুন নয়৷ তা সত্ত্বেও ভারত টিকে ছিল, এখনো থাকবে৷ তবে হ্যাঁ, আর্থিক প্রবৃদ্ধির হারটা ৯-১০ শতাংশ হতে হয়ত অনেক সময় লাগবে৷

সমীক্ষায় বলা হয়, আগামী দিনে এর ফলে গত বছরের তুলনায় সব থেকে দুরবস্থার মুখে পড়তে পারে ভারতের মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক শ্রেণি৷ সেই তুলনায় উচ্চবিত্ত শ্রেণির অবস্থাটা ভাল থাকবে৷

সেই নিরিখে ভারতের স্থান চীন ও ব্রাজিলে নীচে৷ জীবনের মানোন্নয়নের মাপকাঠি আয়, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান৷ সবকটি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমনটাই মনে করেন গ্যালপের প্রধান জিম ক্লিফটন৷ তাঁর মতে, ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে এর মোকাবিলার সম্ভাব্য উপায় হলো, অনুকূল বাণিজ্যিক পরিবেশ গড়ে তোলা, শিক্ষা ও সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর বিনিয়োগ বাড়ানো৷

জীবনের মানোন্নয়নের এক বড় দিক শিক্ষা৷ ভারতে ৬২ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়নি৷

মুম্বই-ভিত্তিক জিও-পলিটিক্যাল পাওয়ার ইনডেক্স সংক্ষেপে (জিপিও ) নামে আরেকটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আর্থিক সংস্কারের গতিরোধ, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু সংসদের আশঙ্কা ভারতের ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করবে৷

ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফায়দা ২০৩০ সাল পর্যন্ত৷ কিন্তু শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই জনশক্তিকে যদি কাজে লাগানো না যায়, তাহলে তা হয়ে দাঁড়াবে অভিশাপে৷ সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দী মনে করেন, ‘‘আদিবাসীদের ছেড়ে দিন৷ তারা নিজের মত করে ঠিক বেঁচে থাকবে৷ তারা উন্নয়ন নিয়ে অত মাথা ঘামায়না৷ তারা চায় তাদের বাসভূমি জঙ্গল এলাকাটা যেন তাদের থাকে৷ তাদের জোর করে প্রোলেতারিয়েত বানিয়ে ‘হোয়াইট-কলার' কাজে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়াটা কাজের কথা নয়৷ তাদের বাসভূমিতে মাইনিং শুরু করে তাঁদের উদ্বাস্তু বানানোটাও কাজের কথা নয়৷''

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ