মুদ্রা পাচার অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক: এলিনা খান
৩০ মার্চ ২০১২বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল-মামুনের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন গুলশান থানার সাবেক ওসি কামাল উদ্দিন৷ এই মুদ্রা পাচারের আইনি দিক নিয়ে আইনজীবী এলিনা খানের বক্তব্যে উঠে এসেছে মুদ্রা পাচারের ফলে কোন দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকগুলি৷
অর্থনীতিতে মুদ্রা পাচারের কুপ্রভাব প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এলিনা খান বলেন, ‘‘কোন দোশ থেকে বিদেশি মুদ্রা বেরিয়ে গেলে সেদেশের অর্থনীতি ভারসাম্য হারাতে থাকে৷ একইসঙ্গে দুর্নীতির হার বেড়ে চলতে থাকে৷ যার ফলে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষ অতিরিক্ত ধনী হয়ে যায় আর দরিদ্যশ্রেণির সামনে সমস্যা বাড়তে থাকে৷ মুদ্রাস্ফীতির কারণও হয়ে যায় এই মুদ্রা পাচার৷''
এলিনা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের আইন আন্তর্জাতিক আইনের সমতুল এই ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে অপরাধ প্রমাণিত হলে৷ সর্বনিম্ন সাজা হল ১০ বছরের কারাদণ্ড৷
এখন প্রশ্ন হল, এ পর্যন্ত কতজনের সাজা হয়েছে বাংলাদেশে এ ধরণের মামলায়? এই প্রশ্নের জবাবে এলিনা খান বলছেন, ‘‘আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই৷ দুঃখের বিষয়, মানি লন্ডারিং বা মুদ্রা পাচারের কাজ সচরাচর ধনী আর প্রভাবশালী লোকেরাই করে থাকে, তাই তারা প্রভাব এবং অর্থবলকে কাজে লাগিয়ে আইনের ফাঁক গলে চলে যায়৷''
এলিনা বলতে পারেন নি এ পর্যন্ত কারও সাজা হয়েছে কিনা৷ কারণ, আপীল ডিভিশন পর্যন্ত যায়নি এ জাতীয় কোন মামলা৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ