1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তপ্ত মিশর

২০ জুন ২০১২

মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন৷ জেলখানা থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও মারা যাননি বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র৷ এদিকে, নতুন প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা নিয়ে উত্তপ্ত কায়রো৷

epa02680277 (FILE) A file picture dated 18 August 2009, shows the then Egyptian president Hosni Mubarak looking on during his meeting with President Barack Obama in the Oval Office of the White House in Washington D.C., USA. The El Arabiya TV channel on 10 April released an audio speech from the Former Egyptian President recorded in Sharm el Sheikh in Egypt the 09 April. During his speech, Mubarak denied that he has any assets outside the country, it is the first public comments he has made since his ouster, he also said that he would agree to any measures taken to reveal any bank assets or real estate he owns abroad. Mubarak stepped down on February 11 after an 18 day uprising across the country. EPA/DENNIS BRACK/POOL
ছবি: picture-alliance/dpa

গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর ২রা জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক৷ ফলে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর থেকে তোরা জেলখানায় ছিলেন মুবারক৷ কিন্তু মঙ্গলবার তিনি স্ট্রোক করেন৷ এরপর থেকেই তাঁকে কৃত্রিমভাবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে জেলখানা থেকে তাঁকে কায়রোর সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছে৷ এমনকি তাঁর হৃদযন্ত্রের স্পন্দন সাময়িকভাবে থেমে যায়৷ কৃত্রিম উপায়ে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ দেশটির ক্ষমতায় থাকা সামরিক পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল মোহসেন আল-ফানগারি স্বীকার করেছেন যে, মুবারক সংকটজনক অবস্থায়৷ তবে তিনি এখনও মারা যাননি বলে উল্লেখ করেন আল-ফানগারি৷ এছাড়া এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুবারককে দেখতে হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুজানে৷

কায়রোর তাহরির চত্বরে নেতা-কর্মীদের সমাবেশছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে, মুবারকের পতনের প্রায় ১৬ মাস পর নতুন প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত৷ সপ্তাহান্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এখন উভয় পক্ষই দাবি করেছে তাদের বিজয়ের কথা৷ ব্রাদারহুডের দাবি, মুবারকপন্থী প্রার্থী আহমেদ শফিক পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট এবং তাদের প্রার্থী পেয়েছেন ৫২ শতাংশ ভোট৷ নিজেদের প্রার্থীর বিজয়ের কথা ঘোষণা করে ইতিমধ্যে কায়রোর তাহরির চত্বরে নেতা-কর্মীদের সমাবেশ ঘটিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ সেখানে প্রায় ৫০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷ তারা ব্রাদারহুড মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মেদ মুরসির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে৷

অন্যদিকে, মুবারক শাসনামলের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক নির্বাচনে নিজের জয় দাবি করেছেন৷ তিনি ব্রাদারহুডের বিজয়ের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তাঁর নির্বাচনি মুখপাত্র আহমেদ সারহান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘জেনারেল আহমেদ শফিক ৫১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ তিনিই মিশরের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট৷'' এমনকি মুরসি'র চেয়ে পাঁচ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বলে দাবি শফিক শিবিরের৷ শফিকের সমর্থকরাও বিজয় উল্লাস করতে কায়রোর রাজপথে জড়ো হয়েছেন৷ তবে নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে কোন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন তা বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলেই জানা যাবে৷ আর পহেলা জুলাই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে বর্তমান সামরিক পরিষদের৷

এএইচ / ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ