মুম্বই মহানগরী ডুবে যাচ্ছে প্লাস্টিক আবর্জনায়, সাগরতীরে যা বিশেষ করে চোখে পড়ে৷ তাই সমুদ্র সৈকতের লাগোয়া বহুতল ভবনগুলির বিত্তশালীরাও নেমেছেন সেই আবর্জনা পরিষ্কার করতে৷
বিজ্ঞাপন
সমুদ্রসৈকত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা
05:17
আরব সাগরের উপকূলে মহানগরী বলতে যা বোঝায়, দূর থেকে দেখলে মুম্বই ঠিক তাই৷ কিলোমিটারের পর কিলোমিটার বেলাভূমি – কিন্তু শুধু দূর থেকে দেখলে৷ আইনজীবী আফরোজ শাহ দু'বছর আগে এখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, বাড়িতে বসেই সাগর আর বেলাভূমি দেখবেন বলে৷
তারপর স্বপ্নভঙ্গ৷ কারণ জানাতে গিয়ে বললেন, ‘‘ জানলা থেকে তাকিয়ে দেখলাম, শুধু আবর্জনা আর আবর্জনা, প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক৷ তাহলে কি এই নিয়ে পৌরসভার কাছে নালিশ করব, নাকি পিটিশন করব? না, নাগরিক হিসেবে আমি নিজেই দায়ী৷ আমি নিজেই কিছু একটা করব৷''
‘আন্দোলন নয়'
সমুদ্রসৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চান আফরোজ শাহ৷ প্রতি শনি-রবিবার সকালে দু'ঘণ্টা করে ঠিক সেই কাজ করেন আফরোজ শাহ৷ প্রতিবেশীরাও হাত লাগান৷শাহ শোনালেন সেই কাহিনী৷
যে ছবিতে ধরা পড়েছে প্রকৃতির শক্তি
এ বছরের ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ এর পুরস্কার জিতেছেন টিম ল্যাম্যান৷ এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে৷ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও যেসব ছবি জিতেছে সেগুলো দেখলে আপনি বিস্মিত অথবা দুঃখ ভারাক্রান্ত হতে পারেন৷
হলদে সবুজ ওরাংওটাং
এই একটি ছবিতে ৫০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলেছেন টিম ল্যাম্যান৷ আর জিতে নিয়েছেন ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি অফ দ্য ইয়ারের’ সেরা পুরস্কার৷ ইন্দোনেশিয়ার রেইন ফরেস্টে বিলুপ্ত হতে যাওয়া বোর্নিয়ান ওরাংওটাংয়ের ছবি এটি৷ বেশ কিছুদিন চেষ্টা করে অনেক উঁচু এই গাছটিতে উঠে ক্যামেরা সেট করতে হয়েছে ল্যাম্যানকে৷ একসাথে ৬ টি ছবি তুলেছেন তিনি৷ ছবিগুলোর মাধ্যমে বিলুপ্ত হতে যাওয়া প্রাণিটির গল্প জানিয়েছেন৷
কাক আর চাঁদ
মাত্র ১৬ বছরের ব্রিটিশ আলোকচিত্র শিল্পী গিডেয়ন নাইট জিতে নিয়েছেন ‘ইয়ং ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ারের’ খেতাব৷ তার ছবিতে তেমন বিশেষত্ব না থাকলেও রোমান্টিক ছবিটিতে একটি রহস্য লুকিয়ে আছে, যাতে রূপকথার আভাস পাওয়া যায়৷
প্যাঙ্গোলিন
আলোকচিত্রী পল হিল্টনের এই ছবি তোলার সময় এ দৃশ্য সহ্য করতে নিশ্চয়ই কষ্ট হয়েছিল৷ যে কাউকে এ ছবি আহত করবে৷ ৪ হাজার মৃত প্যাঙ্গোলিন জমা করে রাখা হয়েছে এখানে৷ চীন ও ভিয়েতনামে এই মাংসের খুব চাহিদা৷ আর তাদের চামড়া ও হাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷ এই প্রাণীগুলোর আটটি প্রজাতিই রয়েছে হুমকির মুখে৷
স্ত্রী ফুল
আলোকচিত্রী ভালতের বিনোতোসের ইটালির উত্তরাঞ্চলে নিজের বাড়িন উঠোনে এই হেজেল নাট বা হেজেল বাদামের গাছ৷ একটি গাছে একসাথে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল ফোটে৷ সবচেয়ে কষ্টসাধ্য হলো বাতাসে যখন ফুলগুলো দোলে তখন স্ত্রী ফুলের (লাল রঙের) ছবি তোলা৷
শহরের উপকণ্ঠে চিতাবাঘ
মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি সরু গলিতে রাতের বেলায় এই চিতাবাঘটির দেখা মিলেছিল৷ খাদ্যের খোঁজে বেড়িয়েছিল এটি৷ এই ছবিটি তুলেছেন নয়ন খনলকার৷ ‘আর্বান’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে এটি৷
পেঁচার শোক
সুইডিশ আলোকচিত্রী ম্যাটস অ্যান্ডারসন ‘সাদা-কালো’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারটি জিতেছেন এই ছবির জন্য৷ বসন্তের দিনগুলোতে অ্যান্ডারসন বনের মধ্যে হাঁটতে যেতেন৷ প্রায়ই দু’টো পেঁচা সঙ্গী হতো তাঁর৷ এর মধ্যে একটি একদিন মারা গেলো৷ অন্য পেঁচাটির দুঃখ তাঁকে স্পর্শ করলো৷ এই সাদা-কালো ছবির মাধ্যমে সেই শোককেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি৷
স্ন্যাপার পার্টি
প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে পূর্ণিমার সময় হাজারো ‘টু স্পট’ লাল স্ন্যাপার ডিম ছাড়ার জন্য এভাবে ঝাঁক বেঁধে ঘুরতে থাকে৷ আলো-আঁধারিতে শুক্রানু আর ডিম্বানু পানিতে খেলা করে৷ টনি উ এই ছবিটি তুলেছেন, যা জিতে নিয়েছে, ‘আন্ডার ওয়াটার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার৷
স্টারফিসের সঙ্গে খেলা
ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে এই ছোট্ট সিন্ধু ঘোটকটিকে একটি স্টারফিসের সঙ্গে খেলতে দেখা যাচ্ছে৷ লুই হাভিয়ের সান্দোভাল এই ছবির জন্য ‘ইমপ্রেসন’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন৷
8 ছবি1 | 8
‘‘প্রথম কয়েক মাস বেশ কঠিন ছিল, আমরা মাত্র চার-পাঁচজন লোক ছিলাম৷ কিন্তু আমি কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইনি৷''
আজ এলাকার প্রায় একশ' স্বেচ্ছাসেবী আফরোজের সঙ্গে যোগ দেন, ময়লা জড়ো করেন, বালি খুঁড়ে প্লাস্টিক বের করেন৷ বলিউডের তারকারাও থাকেন এই স্বেচ্ছাসেবীদের দলে৷ অভিনেতা নরেশ সুরি জানালেন, ‘‘আমি প্রায় সত্তর সপ্তাহ ধরে এদের সঙ্গে আছি৷ আমার বাড়ি তো আর ঢোকার দরজাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, গোটা শহরটা আমার বাড়ি, গোটা দেশটা আমার বাড়ি৷ ঐভাবে ভাবা দরকার৷''
ধীরে ধীরে লক্ষ্যে পৌঁছনো
গোটা তিন কিলোমিটার স্ট্র্যান্ড ক্রমে আরো পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে৷ কিন্তু মুম্বইতে আরো অনেক এ ধরনের স্ট্র্যান্ড আছে৷ এছাড়া অতি নোংরা সব নদীনালা, যা দিয়ে সারা শহরের আবর্জনা সাগরে গিয়ে পড়ে৷
টুরিস্টদের স্বস্তি
প্রতিদিন মুম্বইতে দশ হাজার টন আবর্জনা সৃষ্টি হয়৷ সে ময়লা ফেলার স্তূপ বিশেষ নেই, কেননা, মুম্বই একটি উপদ্বীপ, এখানে জায়গা কম৷ পর্যটনের উপরেও তার প্রভাব পড়ে৷ ট্রাভেল এজেন্ট নলিন কাপাডিয়া জানালেন, আবর্জনার পাহাড় বিদেশি পর্যটকদের ভয় পাইয়ে দেয়৷
নলিন কাপাডিয়ার মতে, ‘‘এটা হলো একদিকে মানুষজন, অন্যদিকে সরকারের মনোবৃত্তির ফল৷ বিশেষ করে সরকারি তরফে গাফিলতি অতি দুঃখজনক৷ লোকের মনোবৃত্তি পাল্টাবে, যখন সরকার প্রেরণা জোগাবে৷''
কিন্তু সরকারের কী দায়? বহু গরীব ঐ আবর্জনা ঘেঁটেই বেঁচে থাকে৷ তারাবাঈ যে জাতের মানুষ, তারা অচ্ছুৎ বলে গণ্য হয়, কেননা, তারা ময়লা পরিষ্কার করে৷ তারাবাঈ বাবুরাও ময়লা কুড়োন৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি প্রতিদিন দেড়শ' থেকে দুশ' কিলোগ্রাম প্লাস্টিক কুড়াই৷ তারপর প্লাস্টিক ও কাগজ আলাদা করে পাঁচ টাকা কিলোগ্রাম, একটাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি করি৷''
কার কাছে বিক্রি করেন সেটা আর দেখানো গেল না, কেননা, পুলিশ এসে ছবি তোলা বন্ধ করল৷ নইলে যে মুম্বইয়ের বদনাম হবে!
কেমন আছে হরিদ্বারের ‘মা’ গঙ্গা?
গঙ্গাকে দেবীরূপে পুজো করার চল আদি যুগ থেকেই৷ সম্প্রতি এ নদীকে মানুষের স্বীকৃতিও দিয়েছে ভারত৷ অথচ নদীর দূষণ রোধ করা যায়নি৷ উল্টে অসচেতনভাবে ধর্মচর্চার কারণে দূষণ বেড়েই চলেছে হরিদ্বারের মতো হিন্দু ধর্মের পীঠস্থানগুলোতে৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
গঙ্গাবক্ষে আরতি
হরিদ্বারের প্রবহমান গঙ্গায় ‘হর কি পৌরি’ ঘাট৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী এ ঘাটে ‘গঙ্গাস্নান’ করেন৷ সন্ধ্যাবেলায় এখানেই অনুষ্ঠিত হয় জাঁকজমকপূর্ণ গঙ্গা-আরতি, যা দেখতে বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমান৷ ‘হর কি পৌরি’ ঘাটে সন্ধ্যারতির সময় হরিদ্বারের অন্যান্য ঘাটও গঙ্গা-আরতিতে মেতে ওঠে৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
দূষণের জন্য দায়ী পুজোর সামগ্রি?
গঙ্গা-আরতির পর পুজোর পরিত্যক্ত সামগ্রীতে ‘হর কি পৌরি’ ঘাটের দশা হয় ঠিক এ রকম৷ তাই দর্শনার্থীদের দিয়ে ‘মা’ গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেওয়া আজকাল গঙ্গা-আরতির অবিচ্ছেদ্য অংশ৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
প্লাস্টিকের নয়, বুনো গাছের ভেলা
গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য বুনো গাছের পাতায় সাজানো ফুল, ফল, দুধ, নারকেল ও অন্যান্য সামগ্রী৷ এগুলো বিক্রি হয় প্রতিটি ঘাটেই৷ এক সময় প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ভেলাতে বিক্রি হতো এসব৷ তবে এখন দিন পাল্টেছে৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
‘মা’ গঙ্গা কি সত্যিই তুষ্ট হচ্ছেন?
সার্বজনীন গঙ্গাপুজো ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ইতিউতি কয়েকশ’ মানুষ ‘মা’ গঙ্গাকে তুষ্ট করতে পুজোর আয়োজন করেন৷ গঙ্গায় ফুল, ফল, ধূপ ও অন্যান্য সামগ্রী ভাসিয়ে দেন তাঁরাও৷ অন্যান্য জিনিস প্রাকৃতিক হলেও, মোমদানিটা কিন্তু হয় প্লাস্টিকের বা মেটালেরই৷ তা এতে ‘মা’ কি আসলেই তুষ্ট হন?
ছবি: DW/R. Chakraborty
‘পুণ্যস্নান’ এবং গঙ্গা দূষণ
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের ‘পুণ্যস্নান’-ও গঙ্গা দূষণের জন্য দায়ী৷ স্নানের সময় জলে সাবান, ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট তো যায়-ই, ফেলে রাখা জামা-কাপড়, প্লাস্টিক একটা নোংরা, অপরিষ্কার পরিবেশের সৃষ্টি করে৷ তাছাড়া গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নানের পর নদীর জলে দুধ ঢেলে পুজো দেন ভক্তরা৷ চলে বাসন মাজার কাজও৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
ফুল থেকে চুল – সবই যায় গঙ্গায়
‘মা’ গঙ্গার কাছে বাবা-মায়ের ‘মানসিক’ অনুযায়ী কোলের শিশুটির মস্তক মুণ্ডন হরিদ্বারের পরিচিত দৃশ্য৷ অর্থাৎ মাথার চুলও গিয়ে পড়ে সেই গঙ্গার জলেই৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
এভাবেই হচ্ছে আত্মার শান্তি!
গঙ্গাকে ‘মা’, ‘দেবী’ হিসেবে সেই আদিকাল থেকে পুজো করে আসছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা৷ প্রয়াত আত্মীয় পরিজনের আত্মার শান্তির জন্য গঙ্গা ঘাটে পূজার্চনা এবং ‘পিণ্ডদান’-এ হরিদ্বারে বহুল প্রচলিত৷ পিণ্ডদান করার সময় ছাই-ভস্ম, মাটি, ধূপকাটি, এমনকি মৃত ব্যক্তির জামা-কাপড়ও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
জীবিকায় সহায়ক ধর্মবিশ্বাস
বয়স মেরেকেটে ছয় অথবা সাত৷ ‘মা’ গঙ্গার নামে হাতে পুজোর থালা ও জ্বলন্ত প্রদীপ নিয়ে ‘ভিক্ষা’ করে চুমকি, রোশনি, মুন্নিরা৷ গঙ্গাস্নানে আসা পুণ্যার্থীদের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে পেটের ভাত জোগাড় করে এরা৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
নিশ্চিন্ত দিবানিদ্রায় সাধুবাবা
গঙ্গার পাড়ে ‘ব্যোম ভোলে’ বলেই মাথায় হাত বুলিয়ে দেন এই সাধুবাবারা৷ বিনিময়ে দু-এক টাকা রোজগার ওঁদের৷ এখানে এক সাধুবাবার সুখনিদ্রা, ঘাটের ধারে ধুলো-ময়লার ওপরেই৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’
সকাল-বিকেল ঝাড়ু হাতে দেখা যায় এঁদের৷ সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর কর্মী ইনি৷ পুণ্যার্থীদের ফেলে যাওয়া ময়লা, প্লাস্টিকের প্যাকেট, জলের বোতল, বিড়ি-সিগারেট – সমস্তরকম নোংরা সাফ করে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তাঁর৷ কিন্তু, এভাবে কি ‘মা’ গঙ্গার দূষণ রোধ করা সম্ভব?
ছবি: DW/R. Chakraborty
10 ছবি1 | 10
আবর্জনা সংকট দূর করার একমাত্র পন্থা হলো শিক্ষা৷ ‘কালার ড্রামা' রিসাইক্লিং প্রকল্পের নাতাশা ডি'কোস্টার তা-ই বিশ্বাস৷ নাতাশা পুনর্ব্যবহারযোগ্য আবর্জনা কিনে নিয়ে স্কুলের ছেলেমেয়েদের দেখান, দেখান আবর্জনা থেকে কত কিছু তৈরি করা যায়৷
নাতাশা বললেন, ‘‘ভারতের ঐটাই মজা৷ আমরা রিসাইক্লিংয়ের এক্সপার্ট, ওটা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ৷ আজ আমরা বড় বেশি আবর্জনা সৃষ্টি করছি৷ আমাদের শিখতে হবে, এই আবর্জনায় কী পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য পদার্থ আছে, যা আমরা ফেলে দিচ্ছি৷''
সৈকত না শৌচালয়?
কিন্তু যত আবর্জনা সাগরে গিয়ে পড়ে, তার সব কিছু দিয়েই যে শিল্পকলা সৃষ্টি করা যায়, এমন নয়৷ বিশেষ করে মানুষের বর্জ্য থেকে তো তা সম্ভবই নয়৷ অথচ সমুদ্রসৈকত আবার ‘শৌচালয়ও' বটে, বিশেষ করে যাদের শৌচালয় নেই, তাদের জন্য৷
আফরোজ শাহ বললেন, ‘‘গরীবরা করবেই বা কী, তাদের পায়খানাগুলো এত নোংরা৷ আর আমারই বা কী কর্তব্য? পুলিশ ডেকে ওদের ফাইন করব? পায়খানা পরিষ্কার করাটাই হবে আমাদের কাজ৷ গত তিন মাস ধরে আমরা ঠিক তা-ই করছি৷''
কিন্তু প্রথমে স্ট্র্যান্ড থেকে সব প্লাস্টিক সরাতে হবে, যে কাজটা খুব সহজ নয় – যে কোনো সপ্তাহান্তে এখানে হাত লাগালেই তা বোঝা যায়৷
রবিবার ছুটির দিনে আফরোজ ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা যে ‘ক্লিন স্ট্র্যান্ড' কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, সেটা একটা ঘাম ঝরানো কাজ, আবার খুব গুরুত্বপূর্ণও বটে৷