বিজ্ঞানীরা এমন মুরগি জন্ম দেবেন যার দেহে বার্ড ফ্লু বাসা বাঁধতে পারবে না৷ মুরগির জিন এডিট করে সেই পথে এক ধাপ এগিয়েও গেছেন তাঁরা৷
বিজ্ঞাপন
অন্তত একশ' বছর ধরে বিশ্বে বড় এক আতঙ্কের নাম বার্ড ফ্লু৷ সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস৷ তবে পাখিবাহিত ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে৷ তখন একই ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ৷
আবার বার্ড ফ্লু-র এমন হানার আশংকা থেকে বিশ্বকে দূরে রাখার উপায় দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা৷ এতদিন নিশ্চিত কোনো উপায় তাঁরা খুঁজে পাননি৷ তবে অবশেষে ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা তেমন সাফল্যই পেতে চলেছেন৷ পরীক্ষাগারে মুরগির ছানার ডিএনএ-র একটি অংশ থেকে এএনপি৩২ প্রোটিন সরাতে পেরেছেন তাঁরা৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রোটিনেই বার্ড ফ্লুর ভাইরাস আশ্রয় নেয়৷ সুতরাং এই প্রোটিন মুরগির ডিএনএ থেকে সরানোর ফলে মুরগি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থেকে একেবারে মুক্ত৷
গত ৪ জুন বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ইলাইফ-এ এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে৷ সেখানে রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানিয়েছেন, তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য জিন-এডিটিং টেকনোলজির মাধ্যমে এমন মুরগি জন্ম দেয়া যা বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হবে না৷ ইলাইফকে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা (গবেষণায়) এমন এক অগ্রগতি যার ফলে আমরা এখন জিন-এডিটিং টেকনোলজি ব্যবহার করে বার্ডফ্লু-প্রতিরোধী মুরগি জন্ম দেয়ার আশাও করতে পারি৷'' মাইক ম্যাকগ্রিউ অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন যে, এখনো সেই ধরনের মুরগির ছানা জন্ম দেয়া সম্ভব হয়নি৷ তা করার আগে এডিট করা ডিএনএ মুরগির দেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান বিজ্ঞানীরা৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখুন
যে কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া শরীরকে তখনই কাবু করতে পারে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে যা করতে পারেন, জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Patrizia Tilly - Fotolia
রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন নানা উপাদান৷ শাক-সবজি, রঙিন ফলমূলে তার অনেকটাই পাওয়া যায়৷ প্রতিদিনের খাবারে তাই এসব রাখার চেষ্টা করুন৷
ছবি: PhotoSG - Fotolia
প্রয়োজনীয় টিকা দিন
আপনার সব প্রয়োজনীয় টিকা দেয়া থাকতে হবে৷ প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন রিফ্রেশ করতে ভুলবেন না! বিশেষ করে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এমন অন্যান্য রোগের টিকা দেয়া আছে কিনা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিন৷
ছবি: J. Đukić-Pejić
ভাইরাস পালিয়ে যাবে!
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শরীরের পেশীগুলি নিয়মিত, অর্থাৎ সপ্তাহে তিনদিন জগিং, নর্ডিক ওয়াকিং বা হাঁটা-হাটি ও ব্যায়াম করে ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে৷
ছবি: Alexander Rochau/public domain
প্রয়োজন যথেষ্ট ঘুম
ঘুম শরীরকে শুধু বিশ্রামই দেয় না, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও সচল রাখে৷
ছবি: Gina Sanders - Fotolia
চাই জীবনে ‘আনন্দ’
সমীক্ষায় জানা যায়, শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো মন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ আমরা নিজেরাও দেখে থাকি যে , তুলনামূলকভাবে হাসিখুসি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে৷
ছবি: drubig-photo - Fotolia
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন!
বর্তমান বিশ্বে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ৷ তবে নেতিবাচক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ তাই এই চাপ কমাতে শরীরের ব্যাটারিকে রিচার্জ করুন, অর্থাৎ নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা এমন কিছু করুন৷
ছবি: ArTo - Fotolia
হাঁটুন
তাজা বাতাস এবং হাঁটা দুটোই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে৷ তাছাড়া মুক্ত বাতাসে হাঁটার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয়৷