1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর

২৫ নভেম্বর ২০১২

মিশরের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে তুলে ঘোর সংকটে পড়েছেন মোহাম্মেদ মুরসি৷ তার সমর্থক ও বিরোধীরা এখন মুখোমুখি৷ ওদিকে গত সপ্তাহের প্রেসিডেন্টের বিশেষ আদেশ বাতিল করার আহ্বান জানালেন বারাদি৷

epa03483533 Egyptian protesters hold a banner depicting Egyptian President Morsi as a Pharaoh, during a rally over Morsi decrees, in Garden City, Cairo, Egypt, 23 November 2012. Opposition planned a mass rally to protest constitutional changes ordered by the Islamist President Morsi. Morsi on 22 November signed constitutional amendments making his decisions immune to judicial review. EPA/ANDRE PAIN
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসির গত সপ্তাহে জারি করা বিশেষ আদেশ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজপথ উত্তপ্ত৷ রাজধানী কায়রোয় বিক্ষোভকারীরা প্রতীকী তাঁবু স্থাপন করে মুরসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন৷ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই নতুন আন্দোলন ও বিক্ষোভে অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছে৷ মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির তিনটি কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে

তবে রাজপথের এমন উত্তাল পরিস্থিতির সাথে এবার যুক্ত হয়েছে মুরসির আদেশের বিরুদ্ধে বিচারকদের শক্ত অবস্থান৷ শনিবার দিনশেষে বিচারকদের প্রতিনিধিত্বশীল জোট ‘জাজেস ক্লাব' জরুরি বৈঠক করে মুরসির ২২শে নভেম্বরের আদেশ ও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন৷ ঐ বিতর্কিত আদেশে বলা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ও আদেশের বিরুদ্ধে কোন আইনি আপত্তি তোলার অবকাশ থাকবে না৷ এছাড়া হোসনি মুবারকের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দেল মাগিদ মাহমুদকে বরখাস্ত করেছেন মুরসি৷ জাজেস ক্লাবের বৈঠকে বরখাস্ত কৌঁসুলিকে বীরের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং ক্লাবের প্রধান আহমেদ আল জিন্দ প্রেসিডেন্টের আদেশের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা দেখিয়ে মাহমুদকে তাঁর আগের পদবী উল্লেখ করেই সম্বোধন করেন৷

মুবারকের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দেল মাগিদ মাহমুদছবি: picture-alliance/dpa

জাজেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট মুরসি তাঁর এই বিতর্কিত ডিক্রি প্রত্যাহার না করলে বিচারকরা কর্মবিরতি পালন করবেন৷ এছাড়া মিশরের সর্বোচ্চ বিচারিক প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এক জরুরি বৈঠক করে মুরসির নতুন সিদ্ধান্তকে বিচার বিভাগের উপর ‘অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ' বলে এর সমালোচনা করেছে৷ কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নতুন ঘোষণা বিচার বিভাগের ক্ষমতা এবং স্বাধীনতার উপর অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ৷'' তাই বিচার বিভাগের অবমাননা হয় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য মুরসির প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷

এদিকে, নোবেল পদক বিজয়ী জাতিসংঘের সাবেক কূটনীতিক মোহামেদ এল বারাদি প্রেসিডেন্টের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইঙ্গিতবাহী বিতর্কিত আদেশের সমালোচনা করে বলেন এই আদেশের ফলে ‘নতুন ফেরাউন' সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি প্রেসিডেন্ট মুরসির প্রতি এই আদেশ বাতিলের আহ্বান জানান৷ এল বারাদি বলেন, ‘‘যখন কোন স্বৈরশাসক নিপীড়নমূলক এবং ঘৃনিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে যে, বিভেদ দূর করতে আলোচনায় বসুন, তখন আলোচনার কোন মানে হয় না৷ আমি মনে করি না যে, মুরসি এই আদেশ বাতিল করার আগে কোন আলোচনা সম্ভব৷''

এএইচ / আরআই (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ