1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তপ্ত মিশর

Debarati Guha২৮ জুন ২০১৩

প্রেসিডেন্ট মুরসির পতন চান বিরোধীরা৷ এ দাবি নিয়ে কায়রোর তাহরির স্কয়ারে নামবে লাখো জনতার ঢল৷ দু’দিন আগে মুরসি সমর্থকরাও নামছেন ক্ষমতা প্রদর্শনে৷ সব মিলিয়ে বিস্ফোরণ উন্মুখ মিশর৷ গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন ধর্মীয় নেতারাও৷

ছবি: Hamlet Tajarod

এ আশঙ্কা থেকে সরকার এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন মিশরের ধর্মীয় নেতারা৷ কিন্তু মিশর তবু অশান্তির পথে৷ কারণ, মোহাম্মেদ মুরসি৷ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কাছে বিরোধী দল এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণে তিনি ব্যর্থ বলে দেশজুড়ে চলছে চরম অসন্তোষ, বিক্ষোভ৷

বিক্ষোভ অবশ্য শুরু হয়েছিল মুরসির ক্ষমতারোহনের ছয় মাসের মধ্যেই৷ ৩০ জুন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট  হিসেবে এক বছর পূর্ণ হবে তাঁর৷ সেদিনই হবে অগ্নিপরীক্ষা৷ কায়রোর তাহরির স্কয়ারে এক দফা দাবিতে সমবেত হবেন বিরোধীরা, তাঁদের একটাই দাবি – মুরসির অপসারণ৷

মুরসি সমর্থকরাও বসে নেই৷ শুক্রবার, অর্থাৎ বিরোধীদের বিক্ষোভ শুরুর দু'দিন আগেই কায়রোর রাবা আল-আদাইয়া মসজিদের সামনে প্রেসিডেন্টের প্রতি পূর্ণ সমর্থন সমবেত হন তাঁরা৷ তাঁদের দাবি, মুরসিকে পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে দিতেই হবে৷ সাবেক প্রকৌশলী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মুরসির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালে৷

স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক গণআন্দোলনের মুখে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর, দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার স্বপ্নই দেখেছিল মিশরের জনগণ৷ কিন্তু মুরসি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই দেখা দেয় সংকট৷ এক ডিক্রি জারি করার পর ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড দলনেতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা করছেন – এই অভিযোগে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিরোধীরা৷ সেই থেকে নিয়মিত বিরতিতেই চলছে মুরসিবিরোধী আন্দোলন৷

সরকার সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে৷ শুক্রবার এ সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন, আহত অনেক৷ রোববার তাহরির স্কয়ারে কী হয়, মিশর কোন পথধে এগোয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সারা বিশ্ব৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)      

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ