1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ?

৮ ডিসেম্বর ২০১৫

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ঢোকা নিষিদ্ধ করার আহ্বান করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ও সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷

US-Kandidat Trump fordert Einreise-Stopp für alle Muslime
ছবি: picture-alliance/dpa

সোমবার সাউথ ক্যারোলিনায় এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আর কোনো উপায় নেই৷'' গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় এক মুসলিম দম্পতির গুলিতে ১৪ জনের নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ ‘‘যতদিন না আমাদের দেশের প্রতিনিধিরা আসলে কী ঘটছে, সেটা বের করতে না পারেন ততদিন পর্যন্ত'' মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি৷ বলা বাহুল্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই এর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন৷ বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোও ট্রাম্পের বক্তব্যের বিশ্লেষণ করছে৷

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশ ট্রাম্পকে ‘বিকৃত মস্তিষ্ক' বলেছেন৷ তাঁর ‘নীতি' প্রস্তাবনাগুলো চিন্তাশীল নয় বলেও মন্তব্য করেন জেব বুশ৷

ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা কিংবা মুসলিম অ্যামেরিকানদের ছোট করা যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ বিরোধী৷

‘কাউন্সিল অন অ্যামেরিকান-ইসলামিক রিলেশান্স'-এর পরিচালক নিহাদ আওয়াদ মনে করেন, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইসিস-কে সাহায্য করছেন৷

ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন এশিয়ার মুসলিম সমাজ৷ পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আসমা জাহাঙ্গীর বলেছেন, ‘‘এটা এমনই অযৌক্তিক মন্তব্য যে এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না আমি৷ এটা ধর্মান্ধতার চরম রূপ৷ এর সঙ্গে মিলেছে অজ্ঞতা৷ আমি আশা করবে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি পাকিস্তানের একজন অজ্ঞ অপরাধী মনের মোল্লার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবেন না৷''

ক্রিস্টোফার ডেওল্ফ বলেন, ট্রাম্প একজন ভাঁড় কিন্তু তিনি যা বলছেন তা উপেক্ষা করা অসম্ভব৷ তিনি এমন মন্তব্য করেছেন যেটা গণহত্যা উসকে দিতে পারে৷

মিশরের স্যাটায়ার নির্মাতা ও ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি'-র তালিকায় স্থান পাওয়া ড. বাসেম ইউসেফও ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন৷

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ ওয়েবসাইট ‘ভক্স'-এ প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম অভিবাসীদের প্রবেশ নিষেধের আহ্বান জানিয়ে ঠিক যে রকম প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলেন, সেটাই পাচ্ছেন৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন তার ঘণ্টা চারেক আগে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, আইওয়া রাজ্যে অন্য প্রার্থী টেড ক্রুজ তাঁর (ট্রাম্প) চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন৷ দু'টি উদ্দেশ্য এরকম মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ প্রথমত তিনি গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন৷ দ্বিতীয়ত, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেই অংশের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, যাঁরা হয়ত গোপনে ট্রাম্পের সঙ্গে একমত পোষণ করেন, যে সাধারণ রাজনীতিবিদরা যে কথা বলতে চান না, তিনি সেটা বলতে রাজি আছেন৷

গত কয়েকমাস ধরে চলা প্রচারণায় ট্রাম্পের দেয়া বক্তব্যের বিশ্লেষণ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস৷ তাদের মতে, প্রচারণার ক্ষেত্রে ট্রাম্প নতুন উপায় অবলম্বন করছেন৷ তিনি নীতি, এন্ডোর্সমেন্ট, বিজ্ঞাপন ও আর্থিক সহায়তা দানের মতো প্রচারণার চলমান উপায়গুলোর উপর জোর না দিয়ে ভাষা ও শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাইছেন৷ আধুনিক রাজনীতিতে সচরাচর এরকম দেখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছে নিউইয়র্ক টাইমস৷

২০১০ সালের মিস ইউএসএ রিমা ফাকিহ-র সঙ্গে ট্রাম্পের একটি ছবি টুইট করে ফ্রেজার নেলসন লিখেছেন, মুসলিম অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্প সবসময় চিন্তিত ছিলেন না৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ