ভারতে কোভিড রুখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তবে নাগরিকের দোষও কিছু কম নয়।
বিজ্ঞাপন
ছবিটা মনে পড়লে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। দিল্লির রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। ঘরে ঘরে কান্নার রোল। শহরের অদূরে শয়ে শয়ে চিতা জ্বলছে খোলা আকাশের নীচে। অক্সিজেনের অভাবে, বেডের অভাবে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাগলের মতো অক্সিজেন বেড খুঁজছেন রোগীর আত্মীয়। যখন পাচ্ছেন, ততক্ষণে প্রয়োজন ফুরিয়েছে। শ্মশান, কবরস্থানের বাইরে দীর্ঘ লাইন। মরা পোড়াতে লেগে যাচ্ছে দুই-তিন দিন। আর তারই মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যু পাল্লা দিচ্ছে তার সঙ্গে।
ভয় পেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় রাজধানী। কিছুদিনের জন্য যেন মনে হয়েছিল, সভ্যতা থেমে যাবে এখানেই। দিল্লিতে আর প্রাণের স্পন্দন থাকবে না। একমাস আগের সেই ছবি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। বাকি দেশের তুলনায় দিল্লিতে এখন করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কম। কিন্তু আতঙ্ক এবং আশঙ্কা কোনোটাই কি কেটেছে?
আশঙ্কা যে কাটেনি, তা স্পষ্ট। তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আতঙ্ক কমতে কমতে শূন্যে পৌঁছে গেছে। কথায় বলে মানুষের স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। অতীত ভুলতে সময় লাগে না। কিন্তু তাই বলে এত দ্রুত? কয়েক সপ্তাহ আগে যে মানুষ নিজের জন্য, পরিবারের জন্য সামান্য অক্সিজেনের প্রয়োজনে ভিটে-মাটি বিক্রি করে দিচ্ছিল, সেই এখন মাস্কহীন, সামাজিক দূরত্বহীন জীবন কাটাচ্ছে পরম আহ্লাদে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে দিল্লি স্বাভাবিক হচ্ছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা ছিল ভয়াবহ। সেই স্মৃতি কাটিয়ে রাজধানী এখন স্বাভাবিক হচ্ছে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল
কিছুদিন আগেও করোনায় বেহাল ছিল দিল্লি। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মারা যাচ্ছিলেন প্রচুর মনুষ। হাসপাতালে বেড ছিল না। অক্সিজেনের আকাল। অক্সিজেন না পেয়ে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছিল না। শ্মশানে, কবরস্থানে লম্বা লাইন। তারপর কড়া লকডাউন চালু হয়।
ছবি: Adnan Abibi/REUTERS
রাজধানীর অবস্থা
এখন দিল্লির অবস্থা অনেকটাই ভাল। দিনে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একশর মতো মানুষ। লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লির লাগোয়া গুরুগ্রাম, নয়ডা, ফরিদাবাদেও।
ছবি: Seerat Chabba/DW
বাজারে ভিড়
লকডাউন তুলে নেয়ার পর বাজারে আবার প্রবল ভিড়। ফিরে এসেছে চেনা ছবি। কিন্তু এর ফলে কি করোনার প্রকোপ আবার বাড়বে? দিন কয়েক আগে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছিল ৫৯। এখন তা আবার একশ ছাড়িয়েছে। গুরুগ্রামের একটি বাজারের ছবি।
ছবি: Seerat Chabba/DW
শপিং মলেও মানুষ
খুলে গেছে শপিং মল। যথারীতি সেখানেও ভিড় হতে শুরু করেছে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
অফিস খোলা
সরকারি ও বেসরকারি অফিসও খুলেছে। তবে এখনো অফিসগুলিতে প্রতিদিন ৫০ শতাংশ কর্মী যাচ্ছেন। কনট প্লেসের গাড়ি পার্কিংয়ের এই ছবিই বলে দিচ্ছে দিল্লির পরিস্থিতি।
ছবি: Seerat Chabba/DW
খুলেছে অস্থায়ী বাজারও
রস্তার ধারের বাজারও খুলছে। ভিড়ও হচ্ছে। এতদিন ধরে বাড়িতে বন্দি মানুষ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কেনাকাটা করতে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
ভ্যাকসিনে জোর
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন দেয়ার গতি বাড়াতে চাইছে। রাজ্য সরকার এখন তাদের স্কুলেও ভ্যাকসিন সেন্টার খুলেছে। বিনা পয়সায় সেখানে টিকা দেয়া হচ্ছে। উপরের ছবিতে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ।
ছবি: Adnan Abidi/REUTERS
7 ছবি1 | 7
সম্প্রতি হিমাচলের পাহাড়ে গিয়ে সে কথাই মনে হলো। টেলিভিশনের স্ক্রিনও বিশ্বাস হচ্ছিল না। কোনো কোনো চ্যানেলে দেখানো হচ্ছিল কীভাবে সমস্ত নিয়ম উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ দিল্লির অদূরে একাধিক হিলস্টেশনে গিয়ে ফূর্তি করছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, টেলিভিশনের বাড়াবাড়ি। এমন ভাবে ফ্রেম ধরা হচ্ছে, যে মনে হচ্ছে মানুষ গাদাগাদি করে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। বাস্তব নিশ্চয় এমন নয়। প্রাণের মায়া নেই নাকি কারোর?
সম্বিত কাটল পাহাড় পৌঁছে। দিল্লি থেকে এক রাতের বাসে ধর্মশালা। দিল্লি এবং পাঞ্জাববাসীর অন্যতম প্রিয় পাহাড়। এমনিতে গরমকালে ধর্মশালা, মানালি, সিমলা-সহ একাধিক জায়গায় ভালোই ভিড় হয়। দিল্লির গরম থেকে বাঁচতে মানুষ পাহাড়ে সময় কাটান। কিন্তু এবার তো প্রতিবারের মতো নয়! লকডাউন উঠলেও কোভিড নিয়ম এখনো বহাল।
কী এসে যায় তাতে! হাজার হাজার মানুষ গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গেছেন পাহাড়ে। গাড়ির জ্যাম এতই, যে কার্যত গোটা পাহাড় অবরুদ্ধ। কারও মুখে মাস্ক নেই। গলা জড়াজড়ি করে এমন ভাবে ঘুরছেন, যেন মনে হচ্ছে মেলায় এসেছেন। প্রশ্ন করলে উত্তর আসছে, ''যা হওয়ার হয়ে গেছে। আর কিছু হবে না।'' তৃতীয় ঢেউকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছেন তারা। আর অন্যদিকে, ভয় পাচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ। শহরের মানুষ পাহাড়ে ফূর্তি করে ফিরে যাবেন। কোভিড হলে প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে সময় লাগবে না। কিন্তু পাহাড়ে করোনা একবার ছড়িয়ে গেলে দাবানলের চেহারা নেবে। তখন কে দেখবে তাদের?
দেখার যে কেউ নেই, এতদিনে এ দেশে তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। করোনাকালে এ দেশে হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। করোনার ভয়াবহতা দেখেও পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন চালিয়ে গেছে নির্বাচন কমিশন। সময় সময় ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার কিনেছে মধ্যবিত্ত। মৃত মানুষকে শ্মশানে অথবা কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার গাড়ি পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে বসে থেকেছে সরকার। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা কোন অথৈ জলে।
তৃতীয় ঢেউ এলে পরিস্থিতি যে আরো খারাপ হবে, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বুঝতে অসুবিধা হয় না, রাজ্য বা কেন্দ্র কোনো সরকারই আচমকা দেবদূতে পরিণত হবে না। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের এত সাহস হচ্ছে কী করে?
উত্তর জানা নেই। জানা নেই, কার ভরসায় আজ হঠাৎ তারা এই ভরসাফূর্তি উৎসবে নেমে পড়েছেন। শুধু একটি কথাই বলতে ইচ্ছে হয়। যে দেশের মানুষ মূর্খ, সে দেশের সরকারের থেকে অতিরিক্ত কিছু আশা করা গণ্ডমূর্খতা।
করোনা: সরকারের অঙ্গীকার, বাস্তবতা ও অব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকারের নানা অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে৷ অনেক ক্ষেত্রে কথা ও কাজের মিল থাকেনি, কেন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটি বোঝাও দুরুহ হয়েছে অনেক সময়৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Harun-Or-Rashi/Zuma/picture alliance
‘প্রস্তুতির ঘাটতি নেই’
গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ তখন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই৷ অথচ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে দেশের চিকিৎসা খাতে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়৷ করোনায় সংক্রমিত ছাড়া অন্য রোগীদেরও চিকিৎসা বঞ্চিত হওয়ার চিত্র উঠে আসে গণমাধ্যমে৷ এমনকি করোনাকালীন চিকিৎসা সরঞ্জামের কেনাকাটা নিয়ে দুর্নীতির খবরও বেরোয়৷
ছবি: bdnews24.com
ছুটি ও লকডাউন বিড়ম্বনা
করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশ যখন লকডাউন আরোপ করে, বাংলাদেশ সেসময় সরকারি ছুটি ঘোষণা করে৷ এতে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা৷ এরপরও কয়েক দফা কখনো বিধিনিষেধ আরোপ, কখনো শিথিলতা চলতে থাকে৷ ‘লকডাউনে’ শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে কিন্তু বন্ধ থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ গণপরিবহন বন্ধ থাকে, চলে ব্যক্তিগত যান৷ ঈদযাত্রায় ফেরিঘাটে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
‘করোনা দূর হয়ে যাবে’
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা টিকা দিয়ে সাত ফেব্রুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি চালু করে সরকার৷ সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি করোনা ভাইরাস দূর হয়ে যাবে। ফাইনাল ব্লো-টা আমরা দেবো ভ্যাকসিনের মাধ্যমে৷’’ বাস্তবতা হলো, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় কয়েক মাসের মধ্যেই টিকা নিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ৷
ছবি: Rashed Mortuza/DW
দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তা
দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন তাদের মধ্যে ১৫ লাখ যথাসময়ে দ্বিতীয় ডোজ পাননি৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
‘সব ব্যবস্থা আছে’
করোনা সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কথা হয়েছে, তারা যেন তাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখে। হাসপাতালে যে বেড বরাদ্দ ছিল, সেগুলো আবারও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে৷ এছাড়া চিকিৎসার জন্য যা লাগে, সব ব্যবস্থা করা আছে৷”
ছবি: bdnews24.com
তবু আইসিইউ সংকট
বাসস্তবতা হলো, করোনা সংক্রমণ শুরুর দেড় বছর পরও দেশের শতকরা ৫২ ভাগ কোভিড হাসপাতালে আইসিইউ নেই৷ আইসিইউ সুবিধা নেই এমন হাসপাতালের ৩৫টিই আবার ঢাকার বাইরের জেলা সদরগুলোতে৷ এরমধ্যে সারাদেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরের জেলা ও গ্রামে করোনা চিকিৎসা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে৷ কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অক্সিজেন সংকটে রোগীরা মৃত্যুবরণ করছেন৷
ছবি: bdnews24
বাজেট ব্যবহারে অক্ষমতা
৯ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কম- এটা বাড়াতে হবে। ...যদি আমরা ব্যয় না বাড়াই, লোকবল, যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা না করি, হাসপাতালের ব্যবস্থা না করি, তাহলে কী যে হবে তা করোনা ভাইরাস শিখিয়ে দিয়ে গেল৷’’ বাস্তবতা হলো গত অর্থবছরের বাজেটে এডিপিতে এই খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তার মাত্র ২৫ ভাগ ব্যয় হয়েছে দশ মাসে৷ গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল তা-ও ব্যবহার করা হয়নি৷
ছবি: PID
গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোয় ব্যর্থতা
শুরুতে করোনা সংক্রমণ শহর পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে৷ এর মধ্যে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা ও সক্ষমতা গড়ে তুলতে দৃশ্যত তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার৷ ১২ জুলাই উল্টো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল, তাদের করোনা হবে না৷ কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি৷’’
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/Reuters
মানুষের জীবিকা
করোনা বিধিনিষেধ বা লকডাউনের জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষ দরিদ্র হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপে৷ কিন্তু লকডাউন বা বিধিনিষেধ দেওয়ার আগে নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের কথাও মাথায় রাখা হয় না৷ ১৩ জুলাই নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও কবে নাগাদ, কিভাবে বিতরণ হবে তা এখনও পরিস্কার নয়৷
ছবি: Mortuza Rashed
কেন কড়াকড়ি, কেন শিথিল
১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়৷ সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট হাজারের উপরে, মৃতের সংখ্যা ১৪৩৷ সেটি বেড়ে ১৪ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু প্রতিদিন গড়ে ২০০ জনের উপরে৷ অথচ ঈদের কারণে বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ করোনা ভাইরাসে রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর হার যখন বেড়ে চলেছে, তখন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় বিশেষজ্ঞরাও বিস্মিত, উদ্বিগ্ন৷