1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মূল্য কমে গেছে শিক্ষার, পাচার হয়েছে মেধা

১০ জানুয়ারি ২০২৫

স্বাধীনতার পর ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে শিক্ষার মান সন্তোষজনক হয়নি। এখনো দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে তলানিতে অবস্থান বাংলাদেশের। কেন এ অবস্থা?

শিক্ষার মান নেমে যাওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাকেও দায়ী করেছেন অনেক শিক্ষাবিদ।
বাংলাদেশে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ (প্রতীকী ছবি)ছবি: Mortuza Rashed/DW

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশে শিক্ষার মূল্য কমে গেছে। অর্থনৈতিক মূল্যের কাছে শিক্ষার মূল্য গৌণ হয়ে গেছে। শিক্ষা আমাদের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, দিতে পারছে না সম্মানও। শিক্ষা জীবিকার নিশ্চয়তা নিতে পারছে না। বেকারত্ব বাড়ছে। এর বড় কারণ আমাদের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটাতে কর্মসংস্থান বাড়েনি। পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকে শুধু অর্থ পাচায় হয়নি, হয়েছে মেধারও পাচার। মেধাবীরা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দেশ ছেড়েছে।”

ইউনাইডেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-র উপাচার্য ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া সম্প্রতি শিক্ষা সম্মেলনে বলেছেন, "বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিগত ১৫ বছরে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে শিক্ষা খাতের ক্ষতি অপূরণীয়। ব্যাংক খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা হয়তো কয়েক বছরে পূরণ করা যাবে। কিন্তু শিক্ষা খাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে কতদিন লাগবে তা বলা কঠিন। উচ্চ শিক্ষার মান বজায় রাখতে হলে প্রয়োজন দুটি জিনিস, মানসম্মত শিক্ষার্থী ও মানসম্মত শিক্ষক। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পিএইচডিধারী শিক্ষক পাওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয়ত, আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন, তাদের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের শ্রেণিকক্ষে পড়াতে গিয়ে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে।” 

‘বাংলাদেশে শিক্ষার মূল্য কমে গেছে’

This browser does not support the audio element.

৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাপ্তি কতটুকু

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের কথা বলে গত এক যুগে দুটি বৃহৎ প্রকল্পের আওতায় ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যদিও জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করা এ বিপুল ব্যয়ের প্রভাব পড়েনি শিক্ষার্থীদের পারফর্ম্যান্সে। বরং এ সময়ে কয়েকটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারফর্ম্যান্সের আরো অবনতি ঘটেছে। বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকে প্রাথমিকসহ সর্বস্তরের শিক্ষামানে অবনমনের অন্যতম বড় উদাহরণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, এ সময় শিক্ষাখাতে অবকাঠামোসহ নানা ধরনের ভৌত উন্নয়ন কার্যক্রমে জোর দেওয়া হলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের বিষয়টি। ফলে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তাদের পারফর্ম্যান্সে উন্নতির পরিবর্তে অবনতির বিষয়টিই সামনে এসেছে বারবার।

অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, "শিক্ষার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো, ভালো শিক্ষকের অভাব। কারণ, একজন মেধাবী ছাত্র পাশ করার পর যদি বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে যায়, তাহলে সে যে সুযোগ-সুবিধা পায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে তার কয়েকভাগ কম সুযোগ-সুবিধা পায়। পাশাপাশি যে কোনো সিদ্ধান্ত নেন সচিবরা। এখানে শিক্ষকদের ভূমিকা গৌণ। ফলে ভালো ছাত্ররা শিক্ষকতায় আসছে না। আর ভালো শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীও ভালো শিক্ষা পাবেন না। ফলে দিন দিন শিক্ষা অবহেলার শিকার হয়েছে। আবার এতদিন শিক্ষক হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের শিক্ষার মানের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। তাহলে আপনি ভালো শিক্ষক কিভাবে পাবেন?” 

২০১১ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করা'র লক্ষ্য সামনে রেখে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৩) শুরু করে সরকার। ১৮ হাজার ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্প শেষ হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। বিপুল ব্যয়ের এ প্রকল্প শেষে শিক্ষার্থীদের দক্ষতামানেরও উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। তবে এ প্রকল্প শেষে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মানে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখন ও শেখানোর গুণগত মানের উন্নয়ন, সর্বজনীনভাবে বিস্তৃত একটি সুষ্ঠু সমতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী সুশাসন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৪) কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এ প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৩১৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এ দুই প্রকল্পের অধীনে গত এক যুগে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "ভালো শিক্ষক পেতে হলে শিক্ষকের সুযোগ-সুবিধাও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ছাড়া এমন একটি দেশও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে শিক্ষকের কদর এত কম। শিক্ষার মান বাড়াতে হলে, এখানে বিনিয়োগ করতে হবে। সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে তো গবেষণার খরচ এত বেশি, যেটা একজন শিক্ষার্থীর জন্য বহন করা কঠিন। শুধু অবকাঠামো বাড়ালেই হবে না, শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে সমৃদ্ধ করতে হবে। লাইব্রেরিকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে। শিক্ষা সরঞ্জাম বাড়াতে হবে।”

বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা পেছানো

শিক্ষার মান নেমে যাওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাকেও দায়ী করেছেন অনেক শিক্ষাবিদ। সর্বশেষ যে শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি ছিল, সেটার সমালোচনা করেছেন অনেকে। এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সবাই ছিলেন বিভ্রান্তিতে। মূল্যায়ন পদ্ধতি পুরোপুরি কেউই বুঝে উঠতে পরেননি। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে একদিকে যেমন শিক্ষায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক মান থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। আবার সরকার পরিবর্তনের পর প্রাইমারি থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশকে দাঁড়িয়ে দেশের আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা সূচকে উন্নতি হলেও শুধুমাত্র শিক্ষা সূচকে আমাদের অবস্থান নিচের দিকে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) তথ্য বলছে, বাংলাদেশে যুবগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ আর্থ-সামাজিক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বৈষম্য আর গুণগত শিক্ষার অভাবে ৭৮ শতাংশ তরুণ মনে করেন, পড়াশোনা করে তারা চাকরি পাবেন না। গরিব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশ। এছাড়া চাকরি, পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণে নেই ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ তরুণ। অর্থাৎ কেবল চাকরির জন্য শিক্ষা মাধ্যমের অঘোষিত যাত্রাও সাফল্য পাচ্ছে না।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জমান মনে করেন, "এতে বড় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পরোক্ষভাবে মেধার অপচয় হচ্ছে। ফলাফল আমাদের শিক্ষা মাধ্যম তরুণদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারছে না।”

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, চায়না ৫০ বছর আগেও উন্নতির সূচকে বাংলাদেশের সম-পর্যায়ে ছিল। আর কিউবা তাদের স্বাধীনতার পাঁচ বছরের মাথায় শিক্ষার হার শতভাগ নিশ্চিত করতে পেরেছে। তাহলে আমাদের যা পরিমাণগত বৃদ্ধি, তা-ও মান বিচারে না হওয়ার পাশাপাশি সন্তোষজনক নয় চলমান পরিমাণেরও। পরিসংখ্যান মতে, পাঁচ দশকের একটি পরিণত বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আর এ সময়ে আমাদের জনমিতিতে যে পরিবর্তন, তার সুফল পেতে আমাদের বর্তমান তরুণদের জন্য জন্য আশা বাঁচিয়ে রাখতে হবে

বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

শিক্ষার মান তুলে ধরে এমন তিনটি বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেশ খারাপ। এর মধ্যে দু'টি সূচকে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নীচে। যদিও এই রিপোর্টগুলো পাওয়া গেছে ২০২২ সালের মাঝামাঝি। ইউএনডিপি ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ২০২১ সালের বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ১৫৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম। বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে পাকিস্তান (১২৩), নেপাল (১২৮) ও আফগানিস্তান (১৫১)। দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা (৮৬)। ভারত ও ভুটান আছে যথাক্রমে ৯৭ ও ১০৮তম স্থানে আছে।

ফ্রান্সভিত্তিক বিজনেস স্কুল ‘ইনসিয়েড' ও ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘পোর্টুল্যান্স ইনস্টিটিউটের' ২০২১ সালের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সে' ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩ নম্বরে। প্রতিভা সূচক দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। এই অঞ্চলে শীর্ষে আছে ভারত (৮৮)। এরপর আছে শ্রীলঙ্কা (৯৩), পাকিস্তান (১০৭) ও নেপাল (১১৩)। জাতিসংঘের সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের' প্রকাশিত ২০২১ সালের বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ১৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৬ নম্বরে। উদ্ভাবন সূচকেও দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে আছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত (৪৬)। এরপর আছে শ্রীলঙ্কা (৯৫), পাকিস্তান (৯৯) ও নেপাল (১১১)। 

‘এতে আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে’

This browser does not support the audio element.

ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিকসের হিসেব বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দকে দায়ী করছে। ১৯৭১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা দেখেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে সবচেয়ে কম বাজেট বরাদ্দ করা হয়। বাংলাদেশের বাজেটে শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ১.৮৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একটি দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলে মনে করে ইউনেস্কো।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমাদের সরকারগুলো শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে পারে না। এর কারণও আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় আমরা যে শিক্ষার্থীদের পাই তারা অত্যন্ত মেধাবী। অথচ এই মেধাবীদের আমরা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছি না। তারা হলে থাকতে পারে না, হলের খাবারের মান খারাপ। এমনকি লাইব্রেরীতেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এখন আমরা এগুলো কিভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করছি। এতে আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”

বেকার সাড়ে ২৬ লাখ

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তিনদিন আগে। সেখানে সেখানে দেখা গেছে, দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বেকার ছিলেন। বিবিএসের ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বেকারের এই নতুন হিসাবটি ১৯তম আইসিএলএস (পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন) অনুযায়ী প্রস্তুত করেছে বিবিএস। এই পদ্ধতি অনুসারে যারা উৎপাদনমূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন, কিন্তু বাজারে পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন না, তারা কর্মে নিয়োজিত নন হিসেবে ধরা হয়। তারা বেকার জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হন। এবারই প্রথমবারের মতো এভাবে হিসাব করেছে বিবিএস।

এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসাব করা হতো। নতুন হিসাবের পাশাপাশি এবার পুরোনো হিসাবটিও দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাব অনুসারে, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশের বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার। এর আগের প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৪০ হাজার, তারা বেকার ছিলেন। এর মানে হলো পুরোনো হিসাবে বেকারের সংখ্যা কমেছে। তবে নতুন হিসাবে বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ