1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নূর হোসেন এখন কোথায়?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ মে ২০১৪

নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ এবং হত্যার মূল আসামি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়েছে বলে মনে করছে র‌্যাব৷

Bangladesch Parlamentswahlen
ছবি: AFP/Getty Images

তবে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের বিশ্বাস নূর হোসেন পালাতে পারেনি, দেশের ভেতরেই আছে৷ তদন্তকারীরা বলছেন, নূর হোসেনকে আটক করা গেলে সব কিছু পরিষ্কার হবে৷ তাই প্রশ্ন উঠেছে, প্রভাবশালীদের বাঁচাতেই কি নূর হোসেনকে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে?

এদিকে নারায়ণগঞ্জ এলাকার র‌্যাব-১১'র খোল নলচে পাল্টে ফেলা হচ্ছে৷ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রধানকে আগেই সরিয়ে দেয়া হয়৷ এখন উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে পুলিশের প্রায় সবাইকে বদলির প্রক্রিয়া চলছে৷ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে৷ কিন্তু আসল কাজের কিছুই হচ্ছে না৷ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত কাউকেই এখনো গ্রেফতার করা হয়নি বা গ্রেফতার করা যায়নি৷

কাউকেই এখনো গ্রেফতার করা হয়নিছবি: picture-alliance/dpa

এই মামলার প্রধান এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেন কোথায় তা নিয়ে র‌্যাব আর পুলিশের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন মত৷ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন মনে করেন নূর হোসেন এখনো দেশের মধ্যেই আছেন৷ তবে তার অবস্থান এখনো চিহ্নিত করা যায়নি৷

এদিকে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ধারণা নূর হোসেন এখন আর দেশে নেই৷ একই ধারণা র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের৷ তিনি ধারণা করছেন নূর হোসেন সীমান্ত পথে দেশের বাইরে চলে গেছে৷

গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হয়৷ ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠে৷ এরপর নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাব-১১'র অধিনায়কসহ ৩ র‌্যাব কর্মকর্তা সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করেছে৷ আর এই টাকা দিয়েছে নজরুলের প্রতিপক্ষ নূর হোসেনসহ কয়েকজন৷ এরপর র‌্যাব-১১র অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র‌্যাব থেকে প্রত্যাহার করে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতারের কোনো আইনি প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি৷ পুলিশ এপর্যন্ত এজাহারভুক্ত বা অভিযুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি বা করতে পারেনি৷ আসামিদের সঙ্গে সম্পর্কিত দু'একজন এবং তাদের স্ত্রীদের আটক করার মধ্যেই সাফল্য সীমাবদ্ধ৷

‘‘র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তা টাকা নিয়ে অপহরণ ও হত্যা করেছে''ছবি: Fotolia

জানা গেছে ২৭ এপ্রিল অপহরণের দিন এবং ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জেই ছিলেন নূর হোসেন৷ এরপর তাকে আর দেখা যায়নি৷ তার বাড়িতে অভিযানের পর তার আত্মীয় স্বজনও গা ঢাকা দিয়েছেন৷ পুলিশ জানায়, ৩০ এপ্রিল সাতজনের লাশ উদ্ধারের পর আসামিরা যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেজন্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে আসামিদের নাম ঠিকানা এবং ছবি পাঠানো হয়৷ আর এই দেরির কারণে আসামিদের কেউ কেউ এর আগেই দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারে৷ জানা গেছে প্রধান আসামি নূর হোসেনের সহযোগী ইয়াসিন, রাজু ও হাসুও দেশের বাইরে পালিয়েছে৷

নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, অপহরণের দিন ২৭ এপ্রিলই তিনি মামলা করেছেন৷ তখনই যদি পুলিশ তৎপর হত তাহলে ৭ জনকে হত্যা করতে পারত না অপরাধীরা৷ আর তারপরও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ পালাবার সুযোগ করে দিয়েছে৷ পুলিশ নূর হোসেনকে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল হাতের কাছে পেয়েও আটক করেনি৷ আর ৩ মে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়৷ তিনি প্রশ্ন করেন, আসামিদের কেন পলানোর সুযোগ করে দেয়া হল? শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তাকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হয়নি৷ তারাইতো টাকা নিয়ে অপহরণ ও হত্যা করেছে৷ র‌্যাবের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তা জানা যাবে৷ কিন্তু সেসব কিছুই করা হচ্ছে না৷'' তিনি মনে করেন বাইরে যতই ঢাকঢোল পেটানো হোক না কেন র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তাসহ মূল আসামিদের বাঁচানোর তৎপরতা এখনো অব্যাহত আছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ