শহিদ পরিবারের সন্তানরা যখন তাঁদের বাবা-মায়ের হত্যার বিচারের অপেক্ষায়, তখনই তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন৷ শহিদ বুদ্ধিজীবী জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার সন্তান আমি, আমিও তাঁদের একজন৷
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন মৃত্যুদণ্ডবিরোধী এক কনভেনশনে স্বাক্ষর করার পর থেকেই প্রশ্নটি উঠছে৷ এমন একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করা যে খুব ভালো উদ্যোগ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ড মুছে দেয়ার এ আন্দোলন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত, এমনকি সব মানবাধিকার সংস্থা পর্যন্ত যাওয়া উচিত৷ সেদিকে নজর না দিয়ে যেসব যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, তাদের বিচার চলার সময়, এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটা বিচারপ্রার্থীদের জন্য খুব দুঃখজনক৷ বিষয়টি আরো দুঃখজনক, কারণ, অপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনেও যুদ্ধাপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ যেসব দেশের সার্বভৌমত্ব এমনকি জাতিসংঘেও স্বীকৃত, তেমন কোনো দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করার আগে কেন আন্তর্জাতিক আইন থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি বাদ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে না?
এমন চাপের কারণে সুবিচারের প্রশ্নের চেয়ে রাজনৈতিক বিষয়গুলোই মুখ্য হয়ে ওঠে৷ এ কারণেই শহিদ পরিবারের সন্তানরা মৃত্যুদণ্ড রহিত করার বর্তমান উদ্যোগের পাশে থাকতে পারছে না৷ এতগুলো বছর তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অপেক্ষায় থেকেছে, বিচারের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই করেছে৷ শহিদ পরিবারের সন্তানদের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আন্তর্জাতিক ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় আইনে সর্বোচ্চ যে শাস্তির উল্লেখ রয়েছে, সেটাই শুধু গ্রহণযোগ্য৷ মৃত্যুদণ্ড রহিত করার জন্য একটা নির্দিষ্ট দেশ বা আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করার চেষ্টা যথেষ্ট নয়, বরং সবার আগে আন্তর্জাতিকভাবে বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে৷
‘যেন ভুলে না যাই'
দিনটা আজও মনে আছে৷ ঐতিহাসিক ‘গণ আদালত'-এর ক'দিন পর৷ প্রজন্ম একাত্তরের সদস্য হিসেবে আমারও ডাক পড়ে সাক্ষ্য দিতে৷ স্থান সোহরাওয়ার্দি উদ্যান৷ সেদিন লাখো মানুষের জমায়েত হয় সেখানে৷ তারিখ: ২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস৷
বিএনপি সরকার পুলিশকে সেই জমায়েত রোখার নির্দেশ দিয়েও জমায়েত রুখতে পারেনি৷ তা সত্ত্বেও বিএনপি প্রথমে দাবি করেছিল যে, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে কোনো জমায়েতই হয়নি! লোকজন নাকি ঢাকায় এসেছিল স্বাধীনতা দিবসের আলোকসজ্জা দেখতে৷ তারপর সরকারের সুর বদলে যায়: গুজব শোনা যায়, গণ আদালতের উদ্যোক্তা আর সাক্ষীদের নাকি দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার করা হবে৷
জেগে আছে প্রজন্ম চত্বর
মূল দাবি একটাই, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’৷ এই দাবি নিয়ে পাঁচই ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান করছে তরুণ প্রজন্ম৷ তাদের সমর্থন জানাচ্ছে সবশ্রেণির মানুষ৷ ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েকদিন৷ কিন্তু এক চুল নড়েনি তারা৷
ছবি: Reuters
লাগাতার আন্দোলন
শাহবাগে অবস্থান নেওয়া তরুণ প্রজন্ম গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি ধরে লাগাতার তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনড় তারা৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে নিয়মিত সেখানকার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় দলের আগমন
রবিবার প্রজন্ম চত্বরে এক টুকরো আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে এসেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা৷ আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, শাহবাগে অবস্থান নেওয়া ব্লগার, তরুণ সমাজের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসছেন তাঁরা৷ রবিবার সেই খবরের সত্যতা প্রকাশ পেলো৷
ছবি: REUTERS
টুইটার লড়াই
হ্যাশট্যাগ #shahbag, কেউ কেউ ব্যবহার করছেন #shahbagh - আসলে শাহবাগের ইংরেজি বানান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে৷ উইকিপিডিয়া শেষের এইচটি বাদ দিলেও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সেটি ধরে রেখেছে৷ এই বিভ্রান্তি অবশ্য টুইটার লড়াইকে পেছনে ফেলেনি৷ বরং সমানতালে দু’টি হ্যাশটাগ দিয়েই জানানো হচ্ছে আন্দোলনের অগ্রগতি৷
ছবি: REUTERS
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে ‘শোধরানোর’ চেষ্টা
শাহবাগের প্রতিবাদ কি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে না ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে? বিবিসি ইংরেজি বিভাগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনামে এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল৷ টুইটারে আন্দোলনকারীদের অব্যাহত দাবির পর সেই শিরোনামে বদল এসেছে৷ ইসলামপন্থী বাদ দিয়ে যুদ্ধাপরাধ শব্দটি জোড়া হয়েছে সেখানে৷ এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আমারব্লগ৷
ছবি: amarblog.com
‘শাহবাগ সাইবার যুদ্ধ’
প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করছেন ‘শাহবাগ সাইবার যুদ্ধ’ দলের অনেক সদস্য৷ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধীদের চরম শাস্তির দাবিকে আরো সোচ্চার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা৷ পাশাপাশি প্রজন্ম চত্বরের সর্বশেষ পরিস্থিতিও ইন্টারনেটে তুলে ধরা হচ্ছে এদের মাধ্যমে৷
ছবি: REUTERS
‘আপনার সহায়তা প্রয়োজন’
ডয়চে ভেলের টুইটার পাতাতে আন্দোলনকারীদের কিছু বার্তা আমরা পেয়েছি৷ জিন্নাত গোনিম নামক ঢাকার এক বাসিন্দা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমরা কোন রাজনৈতিক দল, ধর্ম বা জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নই৷ আমরা বাংলাদেশি৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছি, আমার মায়ের হত্যাকারীর, বোনের ধর্ষকের বিচার চাচ্ছি৷ আমাদের আপনার সহায়তা প্রয়োজন৷’’
ছবি: twitter.com
এই প্রজন্মের নারী মুক্তিসেনাদের লড়াই
গত কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নিচ্ছেন লাকি আক্তার৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী আন্দোলন শুরুর দিন থেকে রয়েছেন শাহবাগে৷ তাঁর মতো আরো কয়েকজন নারী মুহুর্মুহু শ্লোগানে কাপিয়ে তুলছেন প্রজন্ম চত্বর৷ বিভিন্ন স্কুলকলেজের ছাত্রীরা মাঝেমাঝে হাজির হচ্ছেন আন্দোলনে৷
ছবি: REUTERS
‘ফাঁসির মঞ্চ’ প্রস্তুত
‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ - এই হচ্ছে প্রজন্ম চত্বরে আন্দোলনরতদের মূল দাবি৷ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করলে তা প্রত্যাখ্যান করে তরুণ প্রজন্ম৷ তারা চায় ফাঁসির আদেশ৷ শাহবাগে প্রতীকী ‘ফাঁসির মঞ্চ’ তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের চরম শাস্তির অপেক্ষায় আছে ব্লগাররা৷
ছবি: Reuters
সপরিবারের শাহবাগে
শাহবাগে অনেকেই হাজির হচ্ছেন সপরিবারে৷ ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাহিত্যিক, অধ্যাপক অনেকেই এসেছেন সপরিবারে৷ এই ছবিতে এক শিশুকে দেখা যাচ্ছে শাহবাগ চত্বরে, প্রতিবাদী ব্যানার মাথায় জড়িয়ে৷
ছবি: REUTERS
ব্লগার এন্ড অনলাইন অ্যক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক
‘ট্র্যাইবুনালে কাদের মোল্লার প্রহসনের রায়ের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশ’ - এই শিরোনামে পাঁচ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল ব্লগার এন্ড অনলাইন অ্যক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক৷ ব্লগারদের আহ্বানে সেদিন শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে সাধারণ মানুষ৷ এখন এই আন্দোলন আমজনতার৷
ছবি: REUTERS
10 ছবি1 | 10
একদিন সন্ধ্যায় আমি ‘দৈনিক করতোয়া'-র এক রিপোর্টারের টেলিফোন পাই৷ তিনি উদ্বিগ্ন গলায় জানান যে, অ্যাটর্নি-জেনারেলের কার্যালয় নাকি সত্যিই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনতে চলেছে৷ অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন সম্মানীয় ব্যক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী: তিনি নাকি সেই নির্দেশে এত বিরক্ত হয়েছিলেন যে, আইনের বই দেয়ালে ছুঁড়ে মেরেছিলেন৷ তিনিই আমাকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আত্মগোপন করতে বলেন, কেননা গণ আদালতের সাক্ষী হিসেবে আমার নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বেরিয়ে থাকতে পারে৷
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযু্দ্ধে বাবার মৃত্যু, যে দেশের জন্য বাবা প্রাণ দিয়েছেন, সেই দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে আমাকে মানুষ করতে গিয়ে মায়ের সংগ্রাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে আমার উঠতি ক্যারিয়ার – এ সবই যেন অর্থহীন হয়ে পড়ল৷ তার পরের কয়েক দিন এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আরেক আত্মীয়ের বাড়ি পালিয়ে বেড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত যখন যাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের তালিকা বের হলো, তখন দেখা গেল, তাতে আমার কিংবা প্রজন্ম একাত্তরের অন্য কোনো সদস্যের নাম নেই৷
আমার চিন্তা দূর হলো, কিন্তু সেদিন শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে এক দল বিশিষ্ট মানুষ – যাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হলো – তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন৷ অন্যদিকে গণ আদালত যাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সেই গোলাম আযম, যিনি পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরেন ১৯৭৮ সালে, তাঁকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়, ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর আমির ঘোষণা করা হয় তাঁকে৷
‘প্রজন্ম চত্বরে’ জনসমুদ্র
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ৷ তার ফাঁসির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে ব্লগারদের সমবাশ সব মানুষের সমাবেশে পরিণত হয়েছে৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাকি আক্তার শাহবাগে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে অত্যন্ত সোচ্চার৷ অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রজন্ম চত্বর মাতিয়ে রেখেছেন তিনি৷ আন্দোলন শুরুর পর থেকেই লাকি অবস্থান করছেন সেখানে৷
ছবি: Reuters
মানুষের ক্ষোভের প্রতীক
সবার কণ্ঠেই একই সুর৷ তাঁরা আদালতের রায় মেনে নিতে পারছেন না৷ নানা শ্রেণি, পেশা আর বয়সের মানুষ শাহবাগে একাত্ম হচ্ছেন৷ তাঁদের দাবি সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি৷
ছবি: Getty Images
ব্লগারদের উদ্যোগ
শাহবাগ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় বাংলাদেশের ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক৷ সাড়া দেখে তাঁরা নিজেরাই অভিভূত, অনুপ্রাণিত৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
নিরলস প্রতিবাদ
সবার মুখে একটিই কথা – কাদের মোল্লার ফাঁসি ছাড়া ঘরে ফিরবেন না, মাঠে থাকবেন যতদিন প্রয়োজন ততদিন৷ রাতের অন্ধকারেও তাদের কণ্ঠ উজ্জ্বল রয়েছে৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
শাহবাগ থেকে প্রেরণা
শাহবাগের প্রতিবাদকারীদের ছবি অনেককেই অনুপ্রেরণা জাগাচ্ছে৷ এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর সহ সব বিভাগ ও জেলা শহরে৷ সেখানেও নেমেছে মানুষের ঢল৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
প্রতিবাদের পরিণতি
শুক্রবার শাহবাগে হয়েছে মহাসমাবেশ৷ হাজারো তরুণের ভিড় সেখানে৷ তাঁদের অবস্থান চলতেই থাকবে৷ এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জামায়াতকে কিভাবে নিষিদ্ধ করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার৷
ছবি: Getty Images
নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না
প্রচলিত সংবাদ মাধ্যমের পরিবেশিত তথ্য দিয়ে এখন আর সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না৷ ব্যক্তি নিজেই এখন তথ্য পরিবেশন করতে পারেন৷ কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় ব্লগাররা তাই প্রমাণ করল৷
ছবি: Reuters
ওয়াই-ফাই
শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বরে’ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ প্রতিবাদকারীরা অনলাইনে তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে যাতে আরো জানাতে পারেন, সেজন্য এই ব্যবস্থা৷ টুইটারে এই আন্দোলন সম্পর্কে #shahbag হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে৷
ছবি: REUTERS
রাজনৈতিক আন্দোলন নয়
শাহবাগের আন্দোলনকে কিছুতেই রাজনীতিকরণ করতে দেবে না প্রতিবাদকারীরা৷ গত কয়েকদিনে রাজনীতিবিদরা সেখানে গিয়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি৷ অবস্থানকারীরা তাদের বক্তব্য শুনতে রাজি নন৷
ছবি: Getty Images
প্রতিবাদ কতদিন?
দাবি আদায় না করে শাহবাগ ছাড়তে রাজি নন প্রতিবাদকারীরা৷ ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের ফেসবুক ইভেন্টে মেয়াদ রয়েছে ২৬ মার্চ অবধি৷ তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে প্রতিবাদকারীদের উপর৷ তাঁদের নিয়ন্ত্রক তাঁরা নিজেরাই৷
ছবি: Reuters
10 ছবি1 | 10
আজ সারা দেশ যখন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে, তখন অতীতের সেই সব ঘটনা স্মরণ করার প্রয়োজন আছে বৈকি৷
এটা মনে রাখা দরকার যে, একটির পর একটি সরকার বাংলাদেশের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা সত্ত্বেও, সেই জনগণই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রাষ্ট্রকে সচেতন করে দিয়ে আসছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের জনগণের মধ্যে জায়গা করে দেওয়া আমাদের নিজেদের নাগরিকত্ব বাতিল করার সমতুল৷
মেঘনা গুহঠাকুরতা শহিদ বুদ্ধিজীবী জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার একমাত্র সন্তান৷ ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা৷ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপনা ছেড়ে ‘রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ' (আরইবি) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে কর্মরত আছেন মেঘনা৷
বন্ধু, কেমন লাগলো আপনার এই লেখা? জানান মতামত, নীচের ঘরে৷