1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা

৪ জুন ২০১৫

মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসিকে লাল গালিচা পেতে স্বাগত জানিয়েছে বার্লিন৷ মিশরকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে দেখেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অপরদিকে রয়েছে মানবাধিকার পরিস্থিতি৷

Deutschland Besuch von Ägyptens Präsident al-Sisi
ছবি: Reuters/F. Bensch

আল-সিসির প্রথম সরকারি জার্মানি সফর গোড়া থেকেই বিতর্কিত, যে কারণে সংসদ সভাপতি নরব্যার্ট লাম্যার্ট গতমাসেই ঘোষণা করেন যে, তিনি প্রাক্তন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না৷ লাম্যার্ট এই প্রসঙ্গে মিশরে ‘‘গণগ্রেপ্তার, দীর্ঘমেয়াদের কারাদণ্ড এবং অবিশ্বাস্য সংখ্যক মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী গোষ্ঠীগুলির উপর পরিকল্পিত নিপীড়ন''-এর কথা বলেন৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ পাঁচটি বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন ইতিপূর্বেই ম্যার্কেলের প্রতি আবেদন জানিয়েছিল, ‘‘মিশরে বহু দশক যাবৎ সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার সংকট''-এর অবসান ঘটানোর জন্য আল-সিসির উপরে চাপ সৃষ্টি করার৷ ম্যার্কেল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, জার্মানি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী৷ অপরদিকে তাঁর বক্তব্য হলো, মিশর যা-তে স্থিতিশীলতা পায় এবং অর্থনৈতিক প্রগতি করে, সেজন্য জার্মানি সব কিছু করতে প্রস্তুত, কেননা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোটে একক দেশগুলির স্থায়িত্ব বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ: ‘‘যে কারণে মিশরের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷''

ম্যার্কেল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, জার্মানি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী৷ছবি: imago/M. Heine

আল-সিসি সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে জার্মানি তথা ইউরোপীয়দের প্রতি মিশরের আইন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান৷ মিশর একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র, ‘‘আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করে চলি,'' বলেন আল-সিসি৷ বহু মৃত্যুদণ্ড এখনও চূড়ান্ত নয়, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতে আইনের শাসনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন, এবং আল-সিসি তাঁকে চলতি বছরেই সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে প্রকাশ৷ ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল আল-সিসিকে বলেছেন, জার্মানি শুধু বাণিজ্য করতে চায় না, ‘‘সর্বাঙ্গীণ সহযোগী'' হিসেবে মিশরকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রণী হতে সাহায্য করতে চায়৷

বাণিজ্যও উপেক্ষিত হয়নি৷ আল-সিসির উপস্থিতিতেই সিমেন্স কোম্পানি গ্যাস এবং বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত ৮০০ কোটি ইউরো মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা কিনা কোম্পানির ইতিহাসে এ যাবৎ বৃহত্তম ‘কনট্র্যাক্ট' হিসেবে স্থান পাবে৷ সিমেন্স মিশরে তিনটি গ্যাস চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট, এবং সুয়েজ উপসাগর ও নীল নদের পশ্চিম তীর এলাকায় ৬০০টি উইন্ড টারবাইন সম্বলিত ১২টি উইন্ড পার্ক গড়ে তোলার কাজ পাচ্ছে৷ এছাড়া সিমেন্স উইন্ড টারবাইনের রোটর ব্লেড তৈরি করার একটি কারখানাও স্থাপন করবে৷ সব মিলিয়ে এই মেগা-চুক্তির ফলে মিশরে বিদ্যুৎ উৎপাদন এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াবে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ