1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুদণ্ড: একদিকে মানবতা, অন্যদিকে রাষ্ট্র ও ধর্ম?

আশীষ চক্রবর্ত্তী৩ নভেম্বর ২০১৪

‘মৃত্যুদণ্ড’ কেন হওয়া উচিত নয় – এ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই৷ তবে একটা নতুন প্রশ্নই রাখতে পারি, ‘পৃথিবী একটা মাত্র দেশ না হলে মৃত্যুদণ্ড কি কখনো যাবে?’’

Texas Huntsville USA Todestrafe Protest Kammer Hinrichtungsraum Liege Injektion
ছবি: picture-alliance/dpa

এই পৃথিবীতে এক দেশেও আবার মৃত্যুদণ্ডের আইন এক নয়৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও মৃত্যুদণ্ড আছে, কোথাও নেই৷ টেক্সাসে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় মুড়িমুড়কির মতো, আবার ১৮টি রাজ্যে যে যত বড় অপরাধই করুক, মৃত্যুদণ্ড দেয়া বারণ৷

এক যুক্তরাষ্ট্রেই যখন দু'রকম আইন, তখন অনেক দেশে এক আইন কল্পনা করা গেলেও কবে যে সেটা হবে! মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ইউরোপে কোনো ফাঁসি হয়নি৷ মধ্য এশিয়াতেও হয়নি৷ তবু ইউরোপের কথা আগে বললাম বিশেষ কারণে৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মৃত্যুদণ্ডের ঘোর বিরোধী৷ কিন্তু ইউরোপেরই দেশ বেলারুশে এখনো মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ ২০১৩ সালে যে সে দেশে কারো ফাঁসি হয়নি এটা আপাতত শুধুই ব্যতিক্রম৷ এই ব্যতিক্রমটাই যদি সারা বিশ্বের নিয়ম হয়ে যায়, তাহলে? তাহলে আর কি, পৃথিবীটা তখন স্বপ্নপুরী হবে! প্রশ্ন হলো, কবে হবে?

ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি এখনো মৃত্যুদণ্ড৷ তাই যুদ্ধাপরাধী এবং অন্য অপরাধীদেরও অপরাধ সবচেয়ে বড় হলে সবচেয়ে বড় শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই দেয়া হয়৷ ভারতেও মৃত্যুদণ্ড আছে৷ সেখানে অবশ্য মৃত্যুদণ্ড আসে শেষ বিবেচনায়৷ বিশেষ বিবেচনায় কেউ রেহাই পান, কেউ পান না৷ তাই রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেও হত্যাকারী ফাঁসি এড়াতে পারেন৷ আবার মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র জীবিত ও ধৃত আসামী আজমল কাসাবের ফাঁসিই হয়৷ হয়ত এমন দিন আসবে যখন ভারত তো বটেই, বাংলাদেশেও ফাঁসি থাকবে না৷

ক'দিন আগেই ইরানে ধর্ষণে উদ্যত হওয়া এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো রেহানি জব্বারিকে৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তো বটেই, সব মানবতাবাদী মানুষই ছিল এর বিপক্ষে৷ কিন্তু ইরান মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে৷

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় চীনে৷ সবচেয়ে জনবহুল দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড৷ দেশটি আবার এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশেই রাজি নয়৷ তবে সম্প্রতি সে দেশেও কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ইরান, ইরাক আর সৌদি আরবেও মৃত্যুদণ্ডের হার খুব বেশি৷ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোতে এখনো মৃত্যুদণ্ড কমানোর কোনো লক্ষণ নেই৷

আশীষ চক্রবর্ত্তীছবি: DW/Matthias Müller

উপমহাদেশের প্রথম আলোচিত মৃত্যুদণ্ড সম্ভবত ‘ক্ষুদিরামের ফাঁসি'৷ ১৯০৮ সালে বাঙালি এই যুবককে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসক৷ ফাঁসি কার্যকর করার দিনে ক্ষুদিরাম বসুর বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন৷

১৯৪৭-এ ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশ থেকে পাত্তারি গোটালেও ব্রিটেনে মৃত্যুদণ্ড ছিল অনেকদিন৷ ব্রিটেনে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৬৪ সালে৷ ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট, অর্থাৎ সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া পুরোপুরি উঠিয়ে দেয়া হয় ১৯৯৮ সালে৷

এক সময় কিশোরকে ফাঁসি দেয়া ব্রিটেনই এখন মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে৷ মৃত্যুদণ্ড এখনো চলছে এমন দেশগুলোতেও হয়ত এমন পরিবর্তন আসবে৷ কবে আসবে? দুঃখিত, জবাবটা জানা নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ