মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা কমেছে: অ্যামনেস্টি
১০ এপ্রিল ২০১৯বিশ্বের ২০টি দেশের তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে ঐ দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা ছিল ৬৯০, যা ২০১৭ সালে ছিল কমপক্ষে ৯৯৩টি৷
শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনজীবী চিয়ারা সানগিওরগিও৷
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, চীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব না হলেও দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷
অ্যামনেস্টি বলছে, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া ৬৯০টি মৃত্যুদণ্ডের ৭৮ ভাগ ঘটেছে ইরান, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম ও ইরাকে৷
এদিকে, যে দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে সেগুলো হলো ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া৷ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৭ সালে ইরানে মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা ছিল ৫০৭, যা ২০১৮ সালে ৫০ ভাগ কমে ২৫৩ তে দাঁড়িয়েছে৷ একই সময়ে ইরাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার কমেছে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি, পাকিস্তানে কমেছে শতকরা ৭৫ ভাগ ও সোমালিয়াতে কমেছে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ৷
২০১৮ সালের পরিসংখ্যানে সংস্থাটি বাহরাইন, বাংলাদেশ, জর্ডান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন ও আরব আমিরাতকে যুক্ত করতে পারেনি, যদিও ২০১৭ সালে তারা এ দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছিল৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বতসোয়ানা, সুদান, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ড গত বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান আবারও চালু করেছে৷
মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ গত ডিসম্বরে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত বিষয়ক এক প্রস্তাবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২১টি সদস্যরাষ্ট্র সম্মতিসূচক ভোট প্রদান করে৷ ৩৫টি দেশ এ বিষয়ক প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে আর ৩২টি দেশ এ বিষয়ে ভোট দানে বিরত থেকেছে৷
তবে পুরো বিষয়টিকে মৃত্যুদণ্ড বাতিল বিষয়ক প্রচারণার সফলতা হিসেবে দেখছে এটি৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনজীবী সানগিওরগিও বলেন, প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা কমে আসছে৷
আরআর/জেডএইচ (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)