1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ নভেম্বর ২০১৫

অবিলম্বে জামাত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ ওদিকে কারাকর্তৃপক্ষ দু'জনের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর৷

Symbolbild Todesstrafe Galgen
ছবি: picture-alliance/dpa

নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ-র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে যে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে৷ অন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ায় প্রকৃত বিচার হতে পারে না, বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে৷'

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় দ্রুত প্রণয়ন করা আইনের মাধ্যমে, যা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ৷ এরপর প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য প্রমাণের স্বল্পতা এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অসঙ্গতিপূর্ণ বিবৃতি সত্ত্বেও, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ একইভাবে ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ায়ার মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) এবং মুজাহিদকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে৷'

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও দলিলপত্রের স্বল্পতার অভিযোগ রয়েছে৷ মুজাহিদের আইনজীবী তার পক্ষে ১,৫০০ সাক্ষীর নাম দিয়েছিলেন৷ আদালত ১,৫০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ন্যায় আচরণ করেনি৷ শুধু তাই নয়, মুজাহিদের অনুগতদেরও কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি৷ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরপরই পুলিশি অভিযানের মুখে মুজাহিদের এক আইনজীবী আত্মগোপনে বাধ্য হয়েছেন৷'

এইচআরডাব্লিউ আরো দাবি করে, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায় আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে ৪১ জন সাক্ষী উপস্থিত করার অনুমতি দিলেও, তার পক্ষে মাত্র চারজন সাক্ষীকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেয়৷ এছাড়া তার সাক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধাও দেওয়া হয়েছে৷'

ব্র্যাড অ্যাডামস-এর কথায়, ‘‘নিরপেক্ষ বিচারে বাদি-বিবাদি উভয়পক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের সমান সুযোগ দেওয়া হয়৷ কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তা নিয়মিতভাবেই লঙ্ঘন করছে৷ অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার ব্যাগ্রতা থেকেই এই কাজ করছে তারা৷''

তবে শুধু এইচআরডাব্লিউ-ই নয়, ডয়চে ভেলের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাসও এই দু'টি মৃত্যুদণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷

এইচআরডাব্লিউ-এর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা কেন ফাঁসি কার্যকর বন্ধের দাবি জানাবে? তারা কি আমাদের দেশের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চেনে? তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হয়েছে৷ এবার শস্তি কার্যকর হবে৷''

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসি কখন কার্যকর করা হবে তা বলা যাবে না৷ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তবে এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে৷ আর সেগুলোই এখন শেষ করা হচ্ছে৷''

তারা কেন ফাঁসি কার্যকর বন্ধের দাবি জানাবে?

This browser does not support the audio element.

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খানের সঙ্গে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বৈঠক করেন৷ দুপুরের পর আইজি প্রিজন কারাগারে ঊর্ধতন কারাকর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারা ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়েই বৈঠক করেছেন৷''

প্রসঙ্গত, গত বুধবার জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের না চিনেই মন্তব্য করছে এইচআরডাব্লিউ৷ আপনিও কি তাই মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ