অবিলম্বে জামাত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ ওদিকে কারাকর্তৃপক্ষ দু'জনের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞাপন
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ-র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে যে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে৷ অন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ায় প্রকৃত বিচার হতে পারে না, বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে৷'
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় দ্রুত প্রণয়ন করা আইনের মাধ্যমে, যা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ৷ এরপর প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য প্রমাণের স্বল্পতা এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অসঙ্গতিপূর্ণ বিবৃতি সত্ত্বেও, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ একইভাবে ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ায়ার মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) এবং মুজাহিদকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে৷'
আপিলেও বহাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি
অনেকের জন্য গত কয়েকটি দিন ছিল অধীর আগ্রহ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষার৷ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়৷ মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
৯টি অভিযোগ প্রমাণিত, চারটিতে মৃত্যুদণ্ড
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে৷ এর আগে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়৷ ৯টির মধ্যে চারটি অপরাধের জন্যয় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত৷ তবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন৷ বুধবার আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেই চার অভিযোগ
যে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো, চট্টগ্রামের কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠিাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের তিনজনকে, রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে এবং চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা করা৷
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/Getty Images
সাকা’র ছেলের দাবি
আপিলের রায় ঘোষণার পর সালাহদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (মাঝে) বলেন, ‘‘আমার বাবা একজন নির্দোষ মানুষ৷ আশা করি, একদিন না একদিন প্রমাণ হবে যে তিনি নির্দোষ৷’’
ঢাকার শাহবাগে আপিলের রায় ঘোষণার আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ৷ তাই ‘সাকার ফাঁসির আদেশ বহাল থাকছে’ – এই খবর পৌঁছানোর পর সেখানেও শুরু হয় আনন্দ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
‘সাকা’র শাস্তি না হলে জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হতো’
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘‘সাকা চৌধুরীর ফাঁসির এই রায় প্রত্যাশিত ছিল৷ এ শাস্তি না হলে পুরো জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হতো৷ এখন বাকি আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই রায় রাস্তবায়ন হবে৷’’ তিনি আরো জানান, ‘সাকা চৌধুরী একাত্তরে দেশে ছিলেন না’ – এমন বক্তব্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রহণ করেনি৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
আইনজীবীর আশা
তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন যে, রায়ের কপি পেলে তাঁরা রিভিউ আবেদন করবন৷ তিনি বলেন, ‘‘যেসব অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, আমরা আশা করি, রিভিউ-এর মাধ্যমে সেগুলো থেকে সাকা চৌধুরী খালাস পাবেন৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
7 ছবি1 | 7
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও দলিলপত্রের স্বল্পতার অভিযোগ রয়েছে৷ মুজাহিদের আইনজীবী তার পক্ষে ১,৫০০ সাক্ষীর নাম দিয়েছিলেন৷ আদালত ১,৫০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ন্যায় আচরণ করেনি৷ শুধু তাই নয়, মুজাহিদের অনুগতদেরও কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি৷ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরপরই পুলিশি অভিযানের মুখে মুজাহিদের এক আইনজীবী আত্মগোপনে বাধ্য হয়েছেন৷'
এইচআরডাব্লিউ আরো দাবি করে, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায় আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে ৪১ জন সাক্ষী উপস্থিত করার অনুমতি দিলেও, তার পক্ষে মাত্র চারজন সাক্ষীকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেয়৷ এছাড়া তার সাক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধাও দেওয়া হয়েছে৷'
মুজাহিদের ফাঁসি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে বুধবার (১৭.০৭.১৩) ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
‘আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে’ মৃত্যুদণ্ড
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির রায় দিয়েছেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২৷ বুধবার (১৭.০৭.১৩) দেওয়া রায়ে তাকে ‘আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে’ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Kumar Dey
আমৃত্যু কারাদণ্ড
মাত্র দু’দিন আগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নব্বই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১৷ বয়স বিবেচনায় এনে আযমকে মৃত্যুদণ্ড দেননি আদালত৷
ছবি: Nashirul Islam/AFP/Getty Images
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ এবং সেসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দুই লাখের মতো নারীকে ধর্ষণ করেছে৷ তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, মুক্তিযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ প্রাণহানি হয়েছিল৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷
ছবি: AP
আলবদর কমান্ডার
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে আলবদর বাহিনী গঠন করে হত্যা, গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ধর্ষণ ও লুটতরাজসহ পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে৷ ২০১০ সালের ২৯শে জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Stringer
‘‘মানুষ হত্যা করেছেন মুজাহিদ’’
যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মুজাহিদ শুধু বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং গণহত্যার পরিকল্পনাকারীই ছিলেন না, তিনি নিজেও সরাসরি গুলি করে মানুষ হত্যা করেছেন৷ ফরিদপুর এলাকায় তার নৃশংসতার সাক্ষী এখনো আছে৷’’ এই রায়ে সন্তুষ্ট বাদল৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: AP
ফেসবুক প্রতিক্রিয়া
ওয়াসেক বিল্লাহ সৌধ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এই রায় মানি৷’’ আর শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘‘যে যাই বলুন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমি শতভাগ তৃপ্ত না হলেও এ পর্যন্ত যা পেয়েছি তাতেও আমি অনেক খুশি৷’’ তবে তপু হোসেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এটা ভুয়া রায়... মানিনা মানবো না৷’’
ছবি: Reuters
‘‘এটি প্রহসনের রায়’’
জামায়াতে ইসলামী এই রায় ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে৷ মুজাহিদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এটি প্রহসনের রায়৷ রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি৷’’ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান ইসলাম৷
ছবি: Reuters
দুই দিনে নিহত ৯
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ১৫ ও ১৬ জুলাই সহিংসতায় কমপক্ষে নয় ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে৷ জামায়াতে ইসলামী এই সময় হরতাল পালন করেছে৷ মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে চার ব্যক্তি৷ আর সোমবার পাঁচ ব্যক্তি৷ দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশ করেছে এই তথ্য৷
ছবি: Reuters
ট্রাইব্যুনালের ষষ্ঠ রায়
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে এই রায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ষষ্ঠ রায়৷ এর আগে ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদকে ফাঁসি, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসি, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি এবং সর্বশেষ সোমবার গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, সরকার বিরোধী দলকে দুর্বল করতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
ব্র্যাড অ্যাডামস-এর কথায়, ‘‘নিরপেক্ষ বিচারে বাদি-বিবাদি উভয়পক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের সমান সুযোগ দেওয়া হয়৷ কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তা নিয়মিতভাবেই লঙ্ঘন করছে৷ অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার ব্যাগ্রতা থেকেই এই কাজ করছে তারা৷''
তবে শুধু এইচআরডাব্লিউ-ই নয়, ডয়চে ভেলের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাসও এই দু'টি মৃত্যুদণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷
এইচআরডাব্লিউ-এর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা কেন ফাঁসি কার্যকর বন্ধের দাবি জানাবে? তারা কি আমাদের দেশের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চেনে? তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হয়েছে৷ এবার শস্তি কার্যকর হবে৷''
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসি কখন কার্যকর করা হবে তা বলা যাবে না৷ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তবে এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে৷ আর সেগুলোই এখন শেষ করা হচ্ছে৷''
তারা কেন ফাঁসি কার্যকর বন্ধের দাবি জানাবে?
This browser does not support the audio element.
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খানের সঙ্গে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বৈঠক করেন৷ দুপুরের পর আইজি প্রিজন কারাগারে ঊর্ধতন কারাকর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারা ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়েই বৈঠক করেছেন৷''
প্রসঙ্গত, গত বুধবার জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের না চিনেই মন্তব্য করছে এইচআরডাব্লিউ৷ আপনিও কি তাই মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷