1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুর পরেও বিতর্কের কারণ হয়ে রয়েছেন গাদ্দাফি

২১ অক্টোবর ২০১১

শুধু জীবিত অবস্থায় নয়, মৃত গাদ্দাফিও লিবিয়ায় এখনো চরম বিতর্কের সৃষ্টি করে চলেছেন৷ বৃহস্পতিবার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল, এখন তার বদলে দেখা দিচ্ছে অসংখ্য প্রশ্ন৷

epa02974040 Libyans celebrate the fall of Sirte and death of fugitive former Leader Muammar Gaddafi, in Tripoli, Libya, 20 October 2011. According to media report, the head of the executive board of Libya's ruling National Transitional Council (TNC) Jibril confirmed the death of Muammar Gaddafi, Libyans poured into the streets to celebrate the news of Muammar Gaddafi's death on 20 October, as Western leaders called on the country's transitional government to embrace a new era of democracy after decades of despotism in the North African state. EPA/MOHAMED MESSARA +++(c) dpa - Bildfunk+++
সাধারণ মানুষের উচ্ছাসছবি: picture-alliance/dpa

মুয়ম্মর গাদ্দাফির মরদেহ নিয়েও জটিলতা

মিসরাটা শহরে এক মাংসের গুদামে রাখা আছে গাদ্দাফির মরদেহ৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক তা নিজের চোখে দেখেছেন৷ কোঁকড়া ও লম্বা চুলের ফাঁকে দেখা যাচ্ছে বুলেটের চিহ্ন৷ এখন কোথায়, কখন, কীভাবে মরদেহ দাফন করা হবে, তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক৷ এনটিসি'র বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে এবিষয়ে চরম মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷ ইসলামি রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যথাযথ সম্মানের সঙ্গে মরদেহ দাফন করার উচিত৷ কিন্তু গদ্দাফির কবর তার অনুগামীদের নতুন করে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে, এই আশঙ্কায় গোপন কোনো স্থানে তার মরদেহ দাফন করার দাবি উঠছে৷ মিসরাটা, সির্ত বা অন্য কোথায় মরদেহ দাফন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে৷ এমনকি সত্যি গাদ্দাফির মৃত্যু হয়েছে, সংশয়বাদীদের কাছে তা প্রমাণ করতে মরদেহ আরও কয়েকদিন কোল্ড স্টোরেজে রেখে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন এনটিসির এক মন্ত্রী৷

গাদ্দাফির মৃত্যুতে কোন শোক নেইছবি: DW/Issam Soubair

গাদ্দাফির মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য

গাদ্দাফির অন্তিম মুহূর্ত সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য উঠে আসছে৷ তার গাড়ি বহরের উপর ন্যাটোর বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে গতকাল শোনা গিয়েছিলো৷ আজ ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেই বহরের মধ্যে গাদ্দাফি যে উপস্থিত ছিলেন, তা তাদের জানা ছিলো না৷ এদিকে একাধিক ভিডিও দেখে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, যে সশস্ত্র যোদ্ধারা অত্যন্ত নির্মমভাবে গাদ্দাফিকে মারধর করে তার উপর অত্যাচার করছে৷ অর্থাৎ তাদের উপর এনটিসি'র নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ যে অত্যন্ত দুর্বল, সেবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার নেতারা করছেন, বাস্তবে তা কার্যকর করা যে কতটা কঠিন, গাদ্দাফির নৃশংস হত্যাকাণ্ডই তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় গাদ্দাফির মৃত্যু হয় এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিল৷ ঘটনাস্থলে তোলা ভিডিও দেখে এই দাবি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না৷ গাদ্দাফির স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷

স্বাধীন লিবিয়ার স্বাধীন নাগরিকছবি: dapd

প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য এনটিসিকতটা প্রস্তুত?

গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো, তাদের সাধারণ উদ্দেশ্য ছিল একটাই৷ ত্রিপোলি দখল ও গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে তা আংশিকভাবে সফল হয়েছিল৷ বাকি ছিল দেশের অবশিষ্ট এলাকা থেকে গাদ্দাফি ও তার অনুগামীদের বিদায় করা৷ বনি ওয়ালিদ ও সির্ত দখল এবং গাদ্দাফির মৃত্যুর ফলে সেই উদ্দেশ্যও সফল হয়েছে৷ কিন্তু তার ফলে এবার ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে৷ যেমন মিসরাটা শহরের যোদ্ধারা ভবিষ্যৎ সরকারে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে৷ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ তারপর নতুন সংবিধান রচনা ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ